আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সোনা ঝড়া দিন

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

গত কয়েক দিন ধরেই সোহেল ভাইয়ের মুড একটু অফ, আড্ডায় আসছে না, এমন কি সামনা সামনি দেখা হলেও না চেনার ভান করছে, অবশ্য এত কিছু খেয়াল করবার সুযোগ থাকতো না, কিন্তু প্রতি বছর এই সময়টাতে অন্তত সোহেল ভাইয়ের পিকনিকের উৎসাহ থাকে চোখে পড়ার মতো, এ বছর শীত শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও সোহেল ভাই একবারও পিকনিকের কথা বললো না আমাদের, এটা নিয়েই কথা হচ্ছিলো নান্টুর সাথে। নান্টুই বোমা ফাটালো বলতে হবে, মারুফ, আমি, নান্নু, রফিক বসে আছি, এর ভেতরেই বললো, জানিস, সোহেল ভাইকে ঐ দিন দেখলাম, পার্কের ভেতরে গিয়ে চুপচাপ বসে আছে, একা একা, আমি তো ভাবলাম কোনো কেস আছে, কিন্তু কোনো পাখীর দেখা পাইলাম না, তো কি করবো, গেলাম সোহেল ভাইয়ের সামনে, গিয়া ভাবলাম মওকা মতো পাইছি, এইবার কিছু খসাবো, ও মা, সোহেল ভাই আমারে চিনলোই না। কান্ডটা কিরম হইলো ক দেখি। সোহেল ভাই পার্কে একা একা বসে আছে এই খবরটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতোই আচানক খবর, এর ভেতরে নান্টুকে চিনতে না পারা বিষয়টা যুক্ত হওয়ায় আমরা সবাই আকাশ থেকে পড়লাম। তখনই মারুফ বললো, দেখ, এই বছর শীত শেষ হয়ে গেলো, কিন্তু গত ২ সপ্তাহে একদিনের জন্যও সোহেল ভাইয়ের কাছে পিকনিকের গল্প শুনছিস? না রে সোহেল ভাইয়ের কি জানি হইছে, আমার ভালো লাগতেছে না, সোহেল ভাইয়ের বাসায় যাবি? বাসায় যাওয়া উচিত হবে না কি হবে না, এই নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম, কিন্তু তখনই দেখা গেলো সোহেল ভাইকে, হেলে দুলে হাঁটতে হাঁটতে আসছে, আমাদের ধরে প্রাণ ফিরে আসলো সোহেল ভাইকে দেখে।

সোহেল ভাই ষড়যন্ত্র করবার মতো ফিসফিস করে বললো, এক কাপ চা দিয়েন ময়না ভাই। আমাদের সবার ভেতরটাই আগ্রহে ফেটে যাচ্ছে কিন্তু কিছু বলবার সাহস পাচ্ছি না, সবাই উঁশখুস করতেছি মনে মনে। মারুফ হাত কচলাতে কচলাতে বললো, সোহেল ভাই, আপনি দেখি আমাদের আড্ডাকে তালাক দিয়ে দিলেন, গুলশানের থাই মাইয়া আমাদের চেয়ে আপন হইলো আপনার? সোহেল ভাইয়ের চোখে মনে হয় আগুন জ্বলে উঠলো গুলশান আর থাই মেয়ের কথা শুনে, তুই আমাকে এই কথা বলতে পারলি? তুই, তুই পারলি এই কথা বলতে? হঠাৎ করেই সোহেল ভাই আর মারুফের নাটকীয় সংলাপ শুনে মনে হলো জুলিয়াস সিজারের কথা, সেই একই রকম ভঙ্গিতেই মনে হয় সিজার ব্রুটাসকে বলেছিলো, ব্রুটাস তুমিও, শেষ পর্যন্ত তুমিও এমন করলে? আমরা চায়ের কাপ হাতে দম নিয়ে বসি, কিছু একটা ঘটনা ঘটছে, কিন্তু বুঝা যাচ্ছে না এখনও। ঘোমটা উঠতেছে ধীরে ধীরে, অনেক কিছুই বের হয়ে যেতে পারে, কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হওয়ার বদলে হয়তো ড্রাগন ডাইনোসরও বের হতে পারে, একটু কাছা-কোঁচা সামলে বসতে হবে। ঘটনা মোটামুটি সামান্যই, মানে গুলশানের থাই মেয়ে আর সোহেল ভাইয়ের ঘটনা আর কি।

ভাষাবিভ্রাট সাংঘাতিক জিনিষ কিংবা বয়েসও একটা বড় ফ্যাক্টর এখানে। মেরে কেটে ঘটনা যা কিংবা যতটুকু, তা হলো, গুলশানের থাই মেয়ের সাথে সোহেল ভাইয়ের চোখাচোখি অনেক দুর পর্যন্ত গিয়েছিলো, এমন কি বিল দেওয়ার সময়ে প্রায় মুখোমুখি কথাও হয়েছে, সেই মেয়ে সোহেল ভাইকে একটা মালাও গিফট করেছিলো, এই আনন্দে সোহেল ভাই গুলশানের আড়ং থেকে গোল্ড প্লেটেড একটা রুপার গয়নার সেটও গিফট করেছিলো সেই মেয়েকে। সোহেল ভাই একদিন গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের পাশে দেখে সেই মেয়ে এক নাকবোঁচা ছেলের সাথে বেশ ঘনিষ্ট হয়ে বসে আছে, কিছুটা মনে কষ্ট পেলেও সোহেল ভাই তেমন কিছু বলে নি, পরের দিন রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখে, সেই মেয়ের হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে ঐ নাকবোঁচা পোলা। সোহেল ভাইয়ের সাথে ঐ পোলার পরিচয় করায় দিছে থাই মেয়ে, আমার ছোটো ভাইয়ের মতো, তবে সোহেল ভাই এই নাকবোঁচা দুলাভাইয়ের ধাক্কা সামলাতে পারে নি, তাই কয়েক দিন একটু বিষন্ন। আরে মিয়া এইটা কোনো ঘটনা হইলো, এই রকম ঘটনা তো ঘটতেই পারে জীবনে, নান্টু সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করে, সোহেল ভাইয়ের ক্ষতে কতটা প্রলেপ লাগলো কে জানে।

নারে আর কিছুই ভালো লাগে না, দুনিয়াটা আর ভালো লাগে না। এইটা একটা কথা বলছেন ভাই, লাখ কথার এক কথা, মারুফ মাঝখান থেকে ছুঁড়ি চালায় কথায়, পৃথিবীতে সব সময় টপ চার্টে থাকা একটা গান হলো, কিছু ভালো লাগে না। আর অন্য গানটা কি জানেন? আমরাও তাকাই মারুফের দিকে, টপ চার্টে থাকা অন্য গানটার খোঁজে। অন্য গানটা হলো, আর পারি না। আর পারি না।

নিয়মিত এই গানের বাইরে অন্য কোনো গান মানুষ বেশী গায় না। কথা সত্য। কর্কশ শব্দ করে ক্যাটক্যাটে হলুদ একটা মোটর সাইকেল সামনে দিয়ে চলে গেলো, এখনও কানে পরিস্কার কিছু শুনতে পারছি না। বাকি সবার অবস্থাও আমার মতোই, মারুফ মোটর সাইকেলের পেছনে রেখে যাওয়া ধোঁয়ার দিকে তাকিয়ে আছে কিংবা মনে মনে মোটরসাইকেল চালকের উর্ধতন চৌদ্দ পুরুষ এবং অধস্তন চৌদ্দ পুরুষের সবাইকেই হয়তো বিভিন্ন ভাবে শোয়াচ্ছে বিছানায়, বলা যায় না ওর মাথার ভেতরে এখন কি চিন্তা ঘুরছে। নান্টু সিগারেট জ্বালাতে গিয়েও ম্যাচটা হাতে নিয়ে স্তম্ভিত, শুধুমাত্র সোহেল ভাইয়ের বিকার নাই কোনো, তিনি আস্তে চায়ে চুমুক দিয়ে মারুফকে বললেন, কি রে শেষ হইছে? না কি আরেক রাউন্ড চলবে? মারুফ সোহেল ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললো, কি চলবে ভাই? না যা ভাবতেছিস, শুন বাসার পুরুষদের বাদ দিয়ে দিস, এইসব পুরুষবাদী কল্পনাতে পুরুষদের রাখতেও হয় না।

আপনার কিছু মনে হয় নি? আমার আর কি মনে হবে? নাহ এই রকম বিশ্রী আওয়াজ শুনেও আপনার বিরক্তি আসে না? মানুষ এই রকমই বুঝলি- সোহেল ভাইয়ের দার্শনিকতা মাঝে মাঝে চামড়া জ্বালায় কিন্তু মাঝে মাঝে বিষয়টা মোটেও খারাপ না। কোথায় আসে জানিস? আমরা এই কথায় নড়ে চড়ে বসি, মোটর সাইকেল আরোহীকে নিয়েই যাবতীয় চিন্তা ব্যয় করার মানে হয় না, যদি এখানে কোনো উদ্দেশ্যে আসে তবে বুঝতে হবে পরবর্তী দিনগুলোতে এই উৎপাত আরও সহ্য করতে হবে। সুতরাং জেনে রাখা ভালো, কখন কোথায় এর আগমনের সম্ভবনা আছে, বাঁচতে হলে জানতে হবে। কোথায় আসে সোহেল ভাই? ৬/ ডি, বিলকিসের বাসায়। মেয়েটার নাম শোনা মাত্রই তার অবয়ব আর হাঁটবার ভঙ্গী পর্যন্ত চোখের সামনে ভেসে উঠে- বিলকিস? হ্যাঁ বিলকিস, কেনো? নাহ বিলকিস এই চিজ ম্যানেজ করলো কিভাবে সেইটাই ভাবতেছি।

পৃথিবীতে অনেক কিছুই ঘটে, ধরে নে এটাও একটা মিরাকল। বিলকিস, আমাকে আর মারুফকে জোড়া দিলে যেমনটা হবে তেমন সাইজের একটা মেয়ে, বিশাল বপু, এক একটা হাত আমার থাইয়ের সমান মোটা হবে, স্ফীতি সব জায়গায় সমান মাপেই ছড়িয়েছে, বিলকিস যদি কোনো দেশের অর্থনীতির উদাহরণ হিসেবে আসতো তবে নিশ্চিত ভাবেই বলা যেতো, সমাজের সকল শ্রেণীই সমান ভাবেই উদ্বৃত্ত সম্পদ ধারণ করে। সেই বিলকিস- কি জানি, বাংলাদেশের ছেলেরা কেনো যেনো বিশাল বপুর মেয়েদের দিকে ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে তাকায়, এই মেয়ের খোরাকীর টাকা জোগার করতে হলেও তো রাজাকে টাকশালে টাকা ছাপাতে হবে। মোটর সাইকেলের ইঞ্জিনের অবস্থা করুণ, অবশেষে নান্টু কথাটা শেষ করে। আমরাও সায় দেই সেই কথায়, মারুফ বললো, বুঝলেন সোহেল ভাই, আমি দেখি নি, শোনা কথা, বিলকিস নাকি গত পহেলা বৈশাখে শখ করে এক্কা গাড়ী চড়ছিলো, সদর ঘাটের ঘোড়াগাড়ীগুলো দেখেছেন না, ঐগুলাতে, তো কিছু দুর যাওয়ার পরে ঘোড়ার নাকি জিহ্বা বাহির করে রাস্তায় বসে পড়ছে।

আমরা সবাই খ্যাক খ্যাক করে হাসলাম কিছুক্ষণ, হাসির দমক কমলে নান্টু বললো, তার ভালো ঘোড়ার উপরে চড়ে নি, যদি চড়তো তাহলে ঘোড়াকে আর খুঁজে পাওয়া যেতো না। আমার তো এখন পোলাটার জন্যই খারাপ লাগতেছে, যদি কোনো দিন ভুল করে বিলকিস পোলার উপরে চড়ে তাহলে তো পোলারে চামচ দিয়ে তুলতে হবে, একেবারে ভর্তা হয়ে যাবে। তাইলে বুঝ মোটর সাইকেল এইরকম আওয়াজ করে ক্যান? ওর জানের উপর দিয়া যা যাইতেছে সেইটা কি তুই আমি বুঝি। ঐটা ওর মরণ চিৎকার। সোহেল ভাইয় টোকা দিয়ে ম্যাচের কাঠিটা সামনে ছুড়ে ফেলে বললো।

একটা জিনিষ মনে রাখিস তোরা, যারা শুধ চৌকিতে ঘুমায় তাদের কিন্তু ব্যপক মোটা মেয়েদের ব্যপারে বিশাল আগ্রহ, কিন্তু যেই পোলা এইরকম মোটর সাইকেল হাঁকায়, ওর ঘটনা এই রকম হওয়ার কথা না। সোহেল ভাইয়ের কথা শেষ হওয়ার আগেই বাতাসে গর্জন শোনা গেলো, মোটর সাইকেল ত্রাহি ত্রাহি চিৎকার করে ফিরে আসছে। রফিক স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বললো, খাঙ্কির পোলার কামটা দেখছোস, তোরা কামটা দেখছোস ওর? শালায় মায়েরে বাপ। মহল্লার শান্তির গোয়া মারে দিলো, খাঙ্কির পোলারে ধইরা যদি ঘাড় না দিছি, দিন নাই রাইত নাই, ক্যাটোর ক্যাটোর মোটর সাইকেল নিয়া আইতাছে। ওকে ধরে বসালাম, অন্তত ওর কারণে হলেও বিলকিস এলাকায় থাকছে না, এটাও কম বড় পাওয়া না, ও এলাকার রাস্তা দিয়ে ঘোরাঘুরি করলেই আতঙ্কে থাকি, এমনিতেই ঢাকা শহর না কি অতিরিক্ত ফ্ল্যাট বাড়ীর চাপে তলিয়ে যেতে পারে, এই এলাকায় বিলকিসের মতো মেয়ে রাস্তা ঘাটে ঘুরলে এই সম্ভবনা অনেক বেশী বেড়ে যাবে।

বুঝলেন সোহেল ভাই দুধ আর গুদ খুব ফাঁপড়ের জিনিষ, সবাইরে রামভোদাই বানায়া ফেলে। আপনেরে দেখেন কিরম নাজুক কইরা ফেললো। বন্দুকের গুলি আর মুখের কথা একবার বাহির হয়ে গেলে ফেরত আনবার উপায় নাই, কিন্তু সোহেল ভাইয়ের চেহারায় কোনো ভাবান্তর নাই, দিব্যি সাধারণ গোবেচারা মুখে চায়ে চুমুক দিচ্ছে। কথাটা পছন্দ হইলো আমার, জটিল কথা কইলি তুই ভাইটি। আমরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।

কিন্তু সোহেল ভাইয়ের কথা শেষ হয় নাই, তিনি পুরোনো কথার রেশ ধরেই বললেন, রফিক তুই ঢাকা শহরের রাস্তায় ঘুরিস তো? ঠিক না? রাস্তায় সবচেয়ে বেশী কিসের বিজ্ঞাপন থাকে বল দেখি? আমরা সবাই রাস্তায় ঘুরি, মানে নানান কাজে রাস্তায় থাকি অনেকটা সময়, কিন্তু বিজ্ঞাপন খেয়াল করে দেখি নি, রফিকও মাথা নাড়লো, কি আর হবে, এই গার্মেন্টেসের চাকরির বিজ্ঞাপন, কিংবা এই রকম কিছু হবে। নাহ ঢাকা শহরের রাস্তায় প্রতিটা ল্যাম্পপোষ্ট আর ইলেকট্রিক পোলে খেয়াল করে দেখবি, একটাই বিজ্ঞাপন, আপনি কি পুরুষত্বহীনতায় ভুগছেন? আপনি কি যৌনদুর্বলতায় ভুগছেন? মাত্র কয়েক সপ্তাহে............ শুধু তাই না, প্রতিটা রাস্তায় অন্তত একটা চর্ম যৌন ও সেক্স রোগ বিশেষজ্ঞ আছে, বাংলাদেশের অবস্থা জানি না, কিন্তু ঢাকা শহরের বেশীর ভাগ মানুষের যৌনসমস্যা আছে, ফুটপাতের মজমা, হেমিও, ইউনানি, কবিরাজি, সব ডাক্তারই পুরুষত্বহীনতা কিংবা যৌনদুর্বলতার চিকিৎসা করে, কিন্তু ঢাকা শহরের রাস্তায় খেয়াল করে চললে দেখবি এইখানে এইসব পুরুষত্বহীন ক্লীবগুলা কিন্তু যখন তখন, যার তার মায়ের সাথে, বোনের সাথে, এমন কি চৌদ্দ গুষ্টির সাথেই শুইতে চায়। এমনিতেই অপুষ্টি তার উপরে এত ধকল, কথা শুইনা বুঝার উপায় নাই শহরের অর্ধেক মানুষের প্রধান সমস্যা যৌনসংক্রান্ত সমস্যা, নাইলে এইটা উঁচা ফ্ল্যাট থেকে ফুতপাত সব জায়গার প্রধান আলোচনা হইতে পারতো না। আমরা মৌন সমর্থন জানাই সোহেল ভাইকে। কোনো কথা খুঁজে পাই না এই মুহূর্তে।

নান্নু কোথা থেকে একটা কথা খুঁজে পায় , একটা বই কিনছি বুঝলি। কি বই? সোনা ঝড়া দিন। রফিক খ্যাক খ্যাক করে হাসে, নামটা জব্বর দিছে ভাই, কার বই? আমরাও রফিকের হাসিতে যোগ দেই, বৃষ্টিমুখর দিনের মতো সোনা ঝড়া দিনও থাকতে পারে। কি কইলি নামটা ? সোনা ঝড়া দিন, তো সোনা থেইকা ঝড়তেছে না কি সোনা ঝরতেছে, খোলাসা কইরা জানাইয়া যাবি, বইটা শেষ কইরা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।