ভাবনার কথা
শেষ পর্যন্ত তাকিয়ে থাকতে হবে ইজরাইলি মন্ত্রীসভার দিকে। জাতিসংঘ মহাসচিব যতই গর্জন করে বলুন, যুদ্ধ থামাতেই হবে; দেশে দেশে যতই প্রতিবাদ হোক, তাতে কিচ্ছুটি হয় না। যে দেশ থেকে যুদ্ধ বিরতির যত প্রস্তাবই আসুক না কেন ইজরাইলি মন্ত্রীসভার ভোটাভুটিতে যা সিদ্ধান্ত হবে, সে মতই কাজ হবে! আর মন্ত্রীসভার বিবেচনায় কোনটি বেশি থাকবে- নিরীহ প্যালেস্টাইনি শিশুর মুখ নাকি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন? তর্জন গর্জনের বহর বলে দিচ্ছে ইজরাইলি ক্ষমতাসীন সরকারের কাছে নির্বাচনের হিসেবটাই অনেক বড়।
জাতিসংঘের গত বৃহস্পতিবারে নেয়া প্রস্তাব নিয়ে ইজরাইল আলোচনা করেছে মিশরের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের সাথে। আরব দেশগুলো নিজেদের নিরাপদ দূরত্বে রেখে ঝগড়া ঝাটি চালাচ্ছে ভালই।
হামাসের ওপর সব দোষ চাপাতে পারলে নিজেদের নপুংসতাকে কিছুটা হলেও বৈধতা দেয়া যায়। অতএব সে আয়োজনই চলছে।
বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন প্রস্তাব হাজির করেছেন, যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হলে তারা নৌবাহিনী পাঠাবে। সাথে থাকবে জার্মানি ও ফ্রান্স। কি জন্য? না, গাজায় যাতে অস্ত্র চোরাচালান না হয় সেটা দেখভাল করার জন্য।
উদ্দেশ্য খুবই পরিষ্কার। হামাসের হাতে প্রতিরোধের হাতিয়ার যাতে পৌঁছাতে না পারে সেটাই তাদের দেখার ইচ্ছা। এদিকে ইজরাইল নিয়মিত বৃটিশ আমেরকান অস্ত্র পাবে অন্যদিকে হামাসকে নিরস্ত্র করা হবে। ফলে পরেরবার যখন আরেকটা অজুহাত বের করে ইজরাইল হামলা চালাবে, আরও নিশ্চিন্তে চালাতে পারবে হত্যাযজ্ঞ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।