গত কয়েকদিন আগে ইজরাইলে একচোখওয়ালা একটি শিশু জন্মগ্রহন করেছে। আজকে একটা গ্রুপে ঔ ভিডিওটা দেখলাম । সেখানে বলা হয়েছে , নবীজী(স) বলেছেন দাজ্জালের জন্ম হবে ঈহুদী বংশে আর তার চোখ থাকবে একটা। সুতরাং এই নবজাতক আগামীদিনের দাজ্জাল হয়ে গেল। (এই লিংকে পাবেন )
আসলে বর্তমান যুগের মানুষদের মাঝে এই দাজ্জাল নিয়ে মাথা নষ্ট করার প্রবনতাটা প্রবল।
প্রকৃতঅর্থে দাজ্জাল নিয়ে দুই একটার বেশি সহীহ হাদীস নেই। এমনকি হযরত উমর(রাঃ),হযরত আবু বকর(রা: ) প্রমুখ সাহাবীরাও দাজ্জাল সম্পর্কে বেশি কিছু জানতেন না। কারন এই বিষয়টা মুসলিমদের মাথা ব্যাথার কোন কারন না। যদি আসলেই মাথা ব্যাথার কারন হত তাহলে অবশ্যই হাদীসে বিষয়টা বারবার আসত। যেমন: নামাজ,যাকাত,রোজা,পর্দা,সুদ,ইসলামী শাসন ইত্যাদী এইসব বিষয় নিয়ে অনেক অনেক হাদীস আছে।
আর দাজ্জাল প্রসংগটা একেবারেই গুরুত্বহীন। গুরুত্ববহ হলে রাসুল(স) অবশ্যই হযরত উমর(রাঃ ),হযরত আবু বকর(রা: ) প্রমুখ বড় বড় সাহাবীদেরকে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতেন।
মজার ব্যাপার হল এই দাজ্জাল নিয়ে বিশাল বিসাল পুস্তক বাজারে খুবি কম দামে কিনতে মিলে। এখানে দাজ্জালের চেহারা কি রকম হবে,তার ঘোড়ার খুর কত লম্বা হবে এইসবের বিস্তর বিবরন থাকে। আসলে এগুলোর ভিত্তি সুন্নাহ নয় লেখকের সৃজনশীল মন যা মানুষকে ভুল জিনিসের দিকে ধাবিত করছে।
সবশেষে একটা কথাই বলতে চাই এই ছোট্ট ছেলেটির সাথে দাজ্জালের কোন সম্পর্ক নাই। নবজাতক সকল শিশুই নিষ্পাপ সে কার ঘরে জন্মগ্রহন করল সেটা মুখ্য না। অই নবজাতকটি সহ সকল নবজাতকের সুস্থতা কামনা করি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।