কিছুই লিখতে পারিনা। পুরাই বকলম বলতে পারেন। শুধু পোস্ট পড়তে আসি। সামুতে ঢুকলে যে কিভাবে সময় পার হয়ে যায়। সবাই এত ভাল লিখে দেখে মনে হয়, আহা আমিও যদি এদের মত লিখতে পারতাম সারাদিন কৃষিকাজ করে দূপুরে বাড়ি এসে বৌকে খাবার দিতে বলে গনি মিয়া।
খাবার আনতে একটু দেরী হওয়ায় বৌকে কিছুক্ষন ধমকাধমকি করে খেতে শুরু করে সে। খাবার মুখে দিয়েই চেহারাটা রক্তবর্ন হয়ে উঠে গনি মিয়ার, খাবারে ঝাল আর লবন দুটোই বেশি হয়েছে অনেক।
" খাওনের মইধ্যে এত নুন দিছস ক্যান?"
" শইলডা বালা না, মাতা গুরাইতাসিল খুব। এই শইল লইয়া যে কাম করি এইডাই ত বেশি। "
"কী মুহে মুহে কতা" বলেই কোমর বরাবর লাথি মারল গনি মিয়া।
দূরে গিয়ে ছিটকে পরল তার অন্ত:সত্বা স্ত্রী, প্রচন্ড ব্যাথায় কাতরাতে দেখেও মায়া হল না গনি মিয়ার একটুও।
চার মাস পর একটা মৃত সন্তানের জন্ম দিল গনি মিয়ার স্ত্রী। যথারীতি মৃত সন্তান প্রসব করার দোষটাও মেয়েটার ঘাড়েই চাপালো সবাই।
এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে, পান থেকে চুন খসলেই বৌকে পিটানোর লোকের অভাব নেই বাংলাদেশে। এমনকি অন্ত:সত্বা স্ত্রীকে মারধর করতেও অনেকের বাধে না!
'প্রসূতি মায়ের যত্ন নিন নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করুন' এই প্রতিপাদ্যে সারাদেশজুড়ে বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হচ্ছে আজ।
দিবস তো কতই পালিত হয়, সচেতনতা কি সেইভাবে বাডে়? আসুন আমরা একটা ব্যাপার সবাইকে বোঝাই, আপনার স্ত্রী আপনার আপনজন, আপনজনের সাথে কেনো দুর্ব্যবহার করবেন? আর আপনার অন্ত:সত্বা স্ত্রী আপনার সন্তানকেই ধারন করেছে। তার প্রতি আপনি ততটুকু সদয় হোন যতটুকু আপনার শিশু বাচ্চার প্রতি হতেন।
তাকে সাহায্য করুন সকল কাজে, আর স্পর্শ করুন আপনার ভালবাসার হাতটি দিয়ে... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।