পারভেজ
আজকের ইত্তেফাকের নিউজ এটা।
দেশে চিটাগুড় থেকে পাওয়ার ইথানল (বায়ো ফুয়েল) তৈরির প্লান্ট স্থাপনে বিলম্ব হচ্ছে। চিনি শিল্প করপোরেশন চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় কেরু এন্ড কোম্পানীর চিনি কলের পাওয়ার ইথানল তৈরির উদ্যোগ নেয় ২০০৭ সালে। কিন্তু এ প্লান্ট স্থাপনে তেমন অগ্রগতি নেই।
দেশে পাওয়ার ইথানল উৎপাদন শুরু হলে বছরে ৬০ লাখ লিটার (৬ মিলিয়ন লিটার) পেট্রোলের সাশ্রয় হবে।
পেট্রোলের সাথে পাওয়ার ইথানল মিশ্রিত জ্বালানিতে গাড়ি চলবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়ার ইথানল তৈরি হয় এবং পেট্রোলের সাথে মিশিয়ে মোটর গাড়ি চালানো হয়। বাংলাদেশ চিনি শিল্প করপোরেশনের প্রতিষ্ঠান কেরু কোম্পানীর চিনি কলের জিস্টিলারীতে বিভিন্ন প্রকার স্পিরিট ও এ্যালকোহল তৈরি হয়। এ্যালকোহল দিয়ে আবার বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ তৈরি হয়ে থাকে। দর্শনা চিনি কলের ডিস্টিলারীতে কয়েক বছর আগে এ্যালকোহল তৈরির জন্য একটি নতুন প্লান্ট বসানো হয়।
এটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চিনি শিল্প করপোরেশনের বিজ্ঞানিগণ ২০০৬ সালে যৌথভাবে এই প্লান্টে পাওয়ার ইথানল তৈরি করেন। পেট্রোলের সাথে ১০ ভাগ পাওয়ার ইথানল মিশিয়ে গাড়ি চালিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়। আর এর সফলতা দেখে কেরু কোম্পানীর ডিস্টিলারীতে একটি পাওয়ার ইথানল তৈরির প্লান্ট বসানোর উদ্যোগ নেয় সরকার।
চিনি শিল্প করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের চিনি কলগুলোর উপজাত হিসাবে বছরে ৭৫-৮০ হাজার টন চিটাগুড় পাওয়া যায়।
এর মধ্যে ১০-১৫ হাজার টন দর্শনা চিনিকলের ডিস্টিলারীতে স্পিরিট ও এ্যালকোহল তৈরিতে ব্যবহার হয়ে থাকে। বেসরকারি ডিস্টিলারী, গো-খাদ্য, বিড়ি কোম্পানী ও রপ্তানি মিলে ৩০ হাজার টনের মত চিটাগুড় বিক্রি হয়। এরপর আরো ৩০ হাজার টন চিটাগুড় অবিক্রীত রয়ে যায়।
এ প্রকল্পের সাথে যুক্ত চিনি শিল্প করপোরেশনের সাবেক সচিব লুৎফর রহমান ইত্তেফাককে জানান, ৩০ হাজার টন চিটাগুড় থেকে ৬০ লাখ (৬ মিলিয়ন) লিটার পাওয়ার ইথানল উৎপাদন করা যাবে। ২০০৭ সালে পাওয়ার ইথানল তৈরির প্লান্টের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহবান করা হয়।
প্রথম দফা টেন্ডারে একটি চীনা ও একটি ভারতীয় কোম্পানী যোগ্যতা অর্জন করে। চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় পাওয়ার ইথানল তৈরির প্লান্ট স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।