বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
তসলিমা নাসরীন। মূলত কবি। তবে নারীস্বাধীনতা বিষয়ক বক্তব্য রাখায় একাধারে তিনি বিশ্বজুড়ে নন্দিত ও নিন্দিত।
এবং নির্বাসিত। আশ্চর্য এই- তসলিমা যা বিশ্বাস করেন সে বিশ্বাস এখন এদেশের অনেককের কাছেই অস্বাভাবিক মনে হয় না, বরং তাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যেহেতু আমরা অন্ধকার থেকে ক্রমেই আলোয় যাচ্ছি। যেহেতু অন্ধকার পিছনে হটছে ...
নিচের এই খবরটা হয়তো এরই মধ্যে অনেকেই জেনে গেছেন।
Taslima Nasreen:Menaced Bangladeshi writer to settle in Paris; city hall.
PARIS (AFP) — Bangladeshi writer Taslima Nasreen, under threat of death from Islamist extremists who accuse her of blasphemy in her writings, is to take up residence in Paris, the city hall said Saturday.
Municipal authorities will provide her with a large studio in an artists' residence in the 10th arrondissement, in the east of the French capital, and initially pay her rent.
Nasreen, who was made an honorary citizen of Paris in July 2008, put in an application for housing six weeks ago.
"You are at home here, in the city where it was proclaimed that men are born and remain free and equal and nobody can be condemned for their beliefs," Paris Mayor Bertrand Delanoe said when she was given honorary citizenship.
Nasreen was forced to flee her native country in 1994 after her novel "Lajja" (Shame) about the persecution of a Hindu family by Muslims in Bangladesh drew accusations of blasphemy.
A gynaecologist by training, she spent several years moving between Europe and the United States before settling in India in 2004. Renewed threats drove her to Sweden in March 2008.
সংবাদটা পড়তে পড়তে আমার Nietzsche -এর একটি উক্তি মনে পড়ে গেল-
An artist has no home in Europe except in Paris.
তসলিমা নাসরীন প্রবাসে স্থায়ী হলেন: এ লজ্জা আমাদের।
কেন?
কেননা, আমরা মধ্যযুগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি। আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি না।
-মত প্রকাশের স্বাধীনতা? তসলিমা ধর্মবিশ্বাসীদের আহত করেছেন?
-তা হলেও অনেক ধর্মীয় বক্তব্যও যে আমাদের আহত করে। সে ক্ষেত্রে? সেসব নির্বাসিত করা হয় না কেন?
কতগুলি অন্ধ অন্ধকার নিম্নকায় রুচিহীন খাটো বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের জন্য তসলিমা নির্বাসিত হলেন। নির্বাসিত হয়ে এখন প্রবাসে কষ্ট পাচ্ছেন।
আমরা তাঁকে বঞ্চিত করলাম ব্রহ্মপুত্রের নির্মল বাতাস থেকে, শাহবাগের মোড়ের আড্ডা থেকে।
তসলিমা এখন প্রবাসে কষ্ট পাচ্ছেন; তবে থেমে নেই নাসরীনের কলম। ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক নইপলকে তুলোধুনো করেছেন তসলিমা নইপালের সংকীর্ণতা নিয়ে। পড়ুন-
Click This Link
তসলিমা তাঁর দায়িত্ব ও ভূমিকা ঠিকই পালন করে যাচ্ছেন। কবি বলেই।
তসলিমা আমার কাছে কবি। বৃদ্ধ বয়েসে হলেও কবিকে স্বদেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আলোর মুখে দাঁড়িয়ে আজ আমাদের এই অঙ্গীকার। তসলিমাকে ফিরিয়ে আনুন। এক্ষুনি বলে রাখছি-তসলিমাকে নির্বাসিত করার কারণে ভবিষ্যতের সেক্যুলার প্রজন্ম আমাদের দুষবে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।