অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।
২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট বরাক ওবামা শপথ নেবেন। নতুন প্রেসিডেন্টের সাথে যুক্ত হবে নতুন কেবিনেট, নতুন কংগ্রেস। সৃষ্টি হবে নতুন ফরেন পলিসি।
হোয়াইট হাউসের ই¯ট উইংয়ে সৃষ্টি হবে নবধারা। নতুন নতুনে, নতুন পুরাতন ও পুরাতন পুরাতনদের মাঝে করমর্দন, আলিঙ্গনের মাঝে বন্ধুতে¦র পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
এর বাইরেও হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট জগতে বেশ কিছু বিষয় পূর্বের প্রেসিডেন্টের সময় যেমন ছিল তেমনি থেকে যায়। হোয়াইট হাউসে কর্মরত চাকরিজীবী, হাউজ কিপার, কিচেন ¯টাফ, গার্ডেনার- যারা হোয়াইট হাউস পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন, সবকিছু গুছিয়ে রাখেন। প্রেসিডেন্টের বেড গোছানো, কিচেনে রান্নাবান্নার কাজ, বাগান কর্মচারীদের রোজ গার্ডেনে ৩৫০০ টিউলিপ ফুলের গেদ লাগানো, এমনি করে হোয়াউট হাউসের অন্যান্য কাজ, হোয়াইট হাউসে চাকরিজীবীরা করেই চলেছে।
প্রেসিডেন্টকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রক্ষণাবেক্ষণ, তত্ত¦াবধান, খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে শত শত সরকারি কর্মচারী নিয়োজিত। এই কর্মচারীদের বেতন দেয়া হয় আমেরিকান জনগণের ট্যাক্স এর অর্থে। ১৬০০ পেনসিলভেনিয়া এভিনিউর এই বাড়িতে প্রেসিডেন্ট জনগণের ভোটে ৪ বা ৮ বছরের লিজে আসেন। এই বাড়িতে প্রতিনিয়ত কি ঘটে জনগণ তার কতটুকুইবা জানে। সূত্র: সাপ্তাহিক সচিত্র সময়
গেরেওয়ালটার এই এক্সিকিউটিভ মেনশনে ৩১ বছর ধরে ডেপুটি ম্যানেজারের দায়িতে¦ ছিলেন, সেই প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড থেকে ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডবি¬উ বুশ পর্যন্ত।
২০০৭ সালে অবসর নেন। ৬ জন প্রেসিডেন্টের মেয়াদ কালে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার অধীনে ছিল ৯০ জন কর্মচারী। যাদের বলা হয় হোয়াইট হাউস রেসিডেন্ট ¯টাফ। পরিচারিকা, সেফ, বাটলার, খাবার পরিবেশনকারী, ইলেভেটর ¯টাফ, বাগান পরিচর্যাকারী, কার্পেন্টার, ইলেকট্রিশিয়ান, প¬াম্বার, আর্ট গ্যালারি, গ্রন্থাগার, মিউজিয়াম-এগুলোর তত্ত¦াবধানসহ অন্যান্য কাজে নিয়োজিত তারা।
গেরে ওয়ালটারের ভাষায় হোয়াইট হাউস বিশ্বের অন্যতম একটি হোটেল পরিচালনার মতোই। ব্যতিক্রম এখানে যে, হোয়াউট হাউসে আবাসিক বিষয়, গ্র্যান্ড মিউজিয়াম, অফিস, বিশেষ ইভেন্ট একত্রে এই চারটি বিষয় জড়িত। তার ভাষায় প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৩০ হাজার অতিথিকে ¯¦াগত জানায় হোয়াইট হাউজ।
গেরে ওয়ালটার এক্সিকিউটিভ প্রোটেকটিভ সার্ভিস (বর্তমানে এর নাম সিক্রেট সার্ভিস ইউনিফর্মড ডিভিশন) এর প্রাক্তন অফিসার। হোয়াইট হাউসে চাকরি জীবনে তাদের জন্য কঠিন সময় জানুয়ারি ২০-যখন বিদায়ী ফা¯র্ট ফ্যামিলার আসবাব পত্র সকাল ১০টায় হোয়াইট হাউস থেকে বের করতে হয় এবং বিকাল ৪টায় নতুন ফা¯র্ট ফ্যামিলির আসবাবপত্র হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করে।
ঐ দিন ছকে বাধা ৬ ঘন্টা সময়ের মাঝে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সকল ব্যক্তিগত ফার্নিচার, ছবি, ড্রেসারে রাখা জামা কাপড়, দেয়ালে ঝুলানো ছবি, ফ্যামিলি ছবি, কিচেনে থাকা যাবতীয় স্নেকসহ সবকিছুই প্যাকেট করতে হয়।
প্রাক্তন ফা¯র্ট ফ্যামিলির আসবাবপত্র সকাল ১০টার মধ্যে হোয়াইট হাউস থেকে বক্সে করে বাইরে আনা হলেও সাথে সাথে নতুন প্রেসিডেন্টের আসবাবপত্র হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে পারে না। নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেন ঠিক দুপুর ১২টায়। তার দুই ঘন্টা পর ২টায় তাদের আসবাপত্র গাড়িবহর এসকর্ট করে হোয়াইট হাউসের ড্রাইভ ওয়ে ত্যাগ করে। তার ২ ঘন্টা পর ৪টায় নতুন ফা¯র্ট ফ্যামিলির আসবাবপত্র হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করে।
ঐ দিন গেরে ওয়ালটারের অধীনে ৯০ জন হোয়াইট হাউসের কর্মচারী সবাই বিভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে একযোগে কাজ করেন। ২০ জানুয়ারির কাজগুলো কিভাবে সুচারুভাবে সমাধা হয় সে ব্যাপারে বিবিধ প¯œ্যান, পরিকল্পনা করে পর্যায়ক্রমে মাঝে মাঝে মিটিং হয়। প্রসঙ্গত উলে¬খ্য যে, আগত ও বিদায়ী প্রেসিডেন্টের আসবাবপত্র হোয়াইট হাউসে ঘড়ির কাটায় কাটায় আসবে ও যাবে-এই নিয়মটি আগে ছিল না। প্রেসিডেন্ট নিক্সন যখন পদত্যাগ করেন তখন বিদায়ী ফা¯র্ট লেডি হোয়াইট হাউসে অভ্যর্থনা জানায় এমন কর্মচারীদের অনুরোধ জানান তাদের আসবাবপত্র বাক্সে প্যাকেট করে দেয়ার জন্য। বিষয়টি জানাজানি হয়।
ফা¯র্ট লেডিকে অনুরোধ জানাতে হবে? এ যেন আমেরিকান জাতীয় সি¯েটমের কলংক। এমন যেন আর না হয় তাই প্রেসিডেন্ট ফোর্ডের বিদায় সময় থেকে সময়ের কাঁটায় কাঁটায় এসব কাজ সমাধা হয়ে আসছে।
কোনো কোনো বিদায় পর্বে আসবাবপত্র গোছানো বড় কঠিন হয়ে দাড়ায়। ২০০১ সালের ২১ জানুয়ারি ভোর ৪টা পর্যন্ত বিল ক্লিনটন হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে ছিলেন। ওভাল অফিসের ডেক্সটি প্রেসিডেন্টের, এই ডেক্সটি সকাল ১০টার মধ্যেই হোয়াইট হাউস থেকে প্যাকেটে ভরে বাইরে গাড়িতে নিতে হবে।
প্রেসিডেন্ট ওভাল অফিস থেকে উঠছেন না। তাই প্রেসিডেন্ট উঠে বিছানায় যাওয়া পর্যšত্ম কর্মচারীদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
নতুন ফা¯র্ট ফ্যামিলির আসবাবপত্র কোন কোন স্থানে রাখা হবে তার প্রস্ত–তি পূর্ব থেকেই নেয়া হয়। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট যখন হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান তখন নতুন ফা¯র্ট লেডিকে হোয়াইট হাউসের কর্মচারীরা জিজ্ঞাসা করে জেনে নেন বেডরুমের জন্য কোন রুম পছন্দ করেন। সকালে তারা কটায় ঘুম থেকে ওঠেন।
কোন ব্র্যান্ডের টুথ পে¯ট ব্যবহার করেন। কিচেন পেন্ট্রিতে কোন কোন স্নেক রাখা হবে। ডিনারে ফা¯র্ট ফ্যামিলি কী পছন্দ করে।
হোয়াইট হাউসে সাধারণত প্রেসিডেন্ট ও ফা¯র্ট লেডি রান্না বান্না করেন না। যদিও হোয়াইট হাউসের ফ্যামিলি কোয়ার্টারে তাদের ব্যবহারের জন্য কিচেন আছে।
হোয়াইট হাউসের মেইন কিচেন রয়েছে গ্রাউন্ড ফ্লোরে। হোয়াইট হাউসের অতিথি আপ্যায়িত হয় কিচেনের সাপ্তাহিক মেন্যুতে যে সব খানা প্রস্ত–ত হয় তা দিয়েই। কংগ্রেসম্যানদের আপ্যায়ন করা হয় ¯েটট ডিনার বারবিকিউ পার্টিতে, ডিপে¯œামেটদের আপ্যায়ন করা হয় ছুটির দিনগুলুতে। এসব পার্টির অর্থের যোগান আসে আমেরিকান জনগণের ট্যাক্সের অর্থ থেকে। প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবার এবং তাদের ব্যক্তিগত অতিথির খাবারের অর্থ ফা¯র্ট ফ্যামিলি বহন করেন।
প্রথম ক’মাসে তাদের ব্যক্তিগত অতিথি বেশি। তাই তাদের ব্যক্তিগত বাজার বিল আশাতীতভাবে বেশি। জানা যায়, অতীতের সব প্রেসিডেন্ট এই বিশাল বিল দেখে বি¯ি¥ত হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট কার্টারের স্ত্রী রোজলিন কার্টার তাদের বিল দেখে আশ্চর্য হয়েছিলের। জর্জিয়ায় দ্রব্যমূল্য কম।
কিন্ত– ওয়াশিংটন ডিসিতে বেশি। ওয়ার্ল্ড ক্লাস সেফের রান্না, তার ওপর খাবারের অলংকৃতকরণ ও সুসজ্জিতভাবে পরিবেশনা যেন উচ্চবৃত্তের রে¯টুরেন্টের খাবার। সবগুলো মিলিয়েই তো এই বিশাল খরচ।
সিক্রেট সার্ভিসের অনুমোদিত খাবারের দোকান, গ্রোসারি দোকান, ফার্মাস মার্কেট থেকে ফা¯র্ট ফ্যামিলির খাদ্য দ্রব্য আসে। অনেক সময় সেফ কর্মক্ষেত্রে আসার সময় বুচারশপ থেকে মাংস নিয়ে আসে।
হোয়াইট হাউসে আমেরিকান মদ পান করা হয়। প্রেসিডেন্ট ফোর্ডের সময় থেকে ফ্রা›েসর মদ হোয়াইট হাউসে নিষিদ্ধ। এই মদ আসে সরাসরি আইডাহো, ভার্জিনিয়া ও ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রস্ত–ত ওয়াইন ওয়াইন কো¤পানি থেকে।
ফা¯র্ট ফ্যামিলি নিজেদের লন্ড্রি বা ড্রাইক্লিনিং বিল পে করেন। তাদের লন্ড্রি আনা নেয়া করে হোয়াউট হাউসের ¯টাফ।
প্রেসিডেন্টের জামা, বিছানার চাদর, তোয়ালে-এগুলো হোয়াইট হাউসে ক্লিন ও লন্ড্রি করা হয়। হোয়াইট হাউসের ¯টাফ প্রেসিডেন্টের জুতা পলিশ করে দেয়। পরিধেয় বস্ত্রের বুতাম হুকগুলো লাগিয়ে দেয়। প্রেসিডেন্ট প্রতিদিন ক্লোজেট থেকে বেছে নিজের পছন্দমতো স্যুট পরিধান করেন।
প্রেসিডেন্টের সফর ঃ প্রেসিডেন্ট যখন সফরে বের হন, তখন নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকে।
তার জন্য নির্ধারিত লিমোজিন গাড়িটির বডি ই¯পাত পে¬ট দিয়ে প্রস্ত–ত। যেন একটি সাজোয়া গাড়ি, যে কোন আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার যোগ্য। ১০ হাজার পাউন্ড ওজনের গাড়িতে আছে নিজ¯¦ অক্সিজেন সাপ¬াই। যাতে কোনো প্রকার বিষাক্ত গ্যাস আক্রমণেও প্রেসিডেন্ট নিরাপদে থাকতে পারেন।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে করে প্রেসিডেন্ট যখন কোনো দেশে সফরে যান তখন ঐ দেশে তার সফর সঙ্গীর জন্য প্রয়োজন হয় ৬০০ থেকে ৮০০টি হোটেল কক্ষ।
প্রেসিডেন্টের সফর সঙ্গী হয় হোয়াইট হাউজ ¯টাফ, ¯েটট ডিপার্টমেন্টের অফিসার, সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট, কম্যুনিকেশন টেকনিশিয়ান, এয়ার ফোর্স ওয়ান এর ক্রু। মেরিন ওয়ান (প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত হেলিকপ্টার) ডিপার্টমেন্ট অব ডিফে›স-এর ¯টাফ ও প্রেস (সাংবাদিক)। এই বিশাল সফর সঙ্গীদের সব মিলিয়ে সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৮০০। যার মাঝে ৩০ জন হোয়াউট হাউস ¯টাফ, মেম্বার, সিক্রেট সার্ভিসের ১০০ জনের বেশি সদস্য। পত্রিকা, টেলিভিশন ও রেডিও করেসপনডেন্ট, ক্যামেরা ক্রু, গ্রাউন্ডটেকনিসিয়ান, প্রিন্ট জার্নালি¯ট, ওয়্যার সার্ভিস রিপোর্টার ও ¯িটম ফটোগ্রাফার, এসব মিলিয়ে ১৫০ জনেরও বেশি।
এই গ্রম্নপটিকে ২ ভাগে ভাগ করে দুইটি বিমানে নেয়া হয়। একটি এয়ার ফোর্স ওয়ান-এই বিমানে প্রেসিডেন্ট, তার ¯টাফ, সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট, কিছু সংখ্যক রিপোর্টার (যারা এই বিমানের পেছনের সিটে বসেন) এবং হোয়াইট হাউস প্রেস পর্টার। অন্য বিমানটি ইউনাইটেড ৭৪৭-এই বিমানে প্রচার মাধ্যমের সাংবাদিকরা সফর সঙ্গী হন। সফর সঙ্গী সব সাংবাদিকের মধ্যে বাই রোটেশনে ১৪ জন করে এয়ার ফোর্স ওয়ান এ প্রেস সিটে বসেন। মিডিয়া অর্গানাইজেশন বেশ চড়া দামে বিমান ভাড়া পরিশোধ করে।
এই বিমান ভাড়া সাধারণত প্রথম শ্রেণীর বিমান ভাড়ার সমতুল্য। মাঝে মাঝে তার চাইতে বেশি। প্রেসিডেন্টের এই বহরে একটি কার্গো বিমান যুক্ত হয়। এই কার্গো বিমান প্রেসিডেন্টের ব্যবহারের জন্য নিরাপদ লিমোজিন গাড়ি ও মেরিন ওয়ান হেলিকপ্টার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মালামাল বহন করে। প্রেসিডেন্টের প্রতিটি সফরের স্থানে কার্গো বিমান থেকে গাড়ি ও মেরিন ওয়ান হেলিকপ্টারটি নামিয়ে দেয়।
প্রেসিডেন্টকে ঘিরে তার সফর সঙ্গীর যে তালিকা হয় ঐ তালিকার পর আরও একটি বিশেষ প্যাকেজ তালিকা তৈরি করা হয়। ঐ তালিকায় প্রেসিডেন্ট তার সিনিয়র ¯টাফ সিক্রেট সার্ভিসের বিশেষ কর্মকর্তা-যারা এই সফরের জন্য বিশেষভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত তারাও থাকেন। কিছু সংখ্যক সাংবাদিকও। এই বিশেষ প্যাকেজের নাম দ্য নিউক্লিয়াস অব দ্য বাব্লস। এই প্যাকেজটি প্রেসিডেন্টকে অন্য সফরসঙ্গী এমনকি বিশ্ব থেকে আলাদা করে রাখে।
প্রেসিডেন্টর সফরের সময় তাকে পৃথিবী থেকে স¤পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে জর্জ বুশের হোয়াইট হাউস চিফ অব ¯টাফ হেগেন বলেছেন, প্রেসিডেন্টকে এমনি করে লোহার বক্সে বন্দি করে সফর করা যায় না। তাঁকে বের হয়ে আসতে হবে।
হোয়াইট হাউস চীফ অব ¯টাফ ১ বছর আগেই প্রেসিডেন্ট সফর বিষয়ক প¯œ্যান করে ফেলেন। নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাসে হোয়াইট হাউস চীফ অব ¯টাফ ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডভাইজারদের সাথে বসে প্রেসিডেন্টের ৫/৬টি বিদেশ সফরের প¬্যান করেন। এর মাঝে ২টি ট্রিপ নিশ্চিত, একটি জি-৮ সফর।
আরেকটি ন্যাটো সামিট। বাকি সফরগুলো ভিন্ন। যেমন ২০০৮ এর ফেব্র“য়ারি মাসের আফ্রিকায় সফর ছিল আমেরিকান প্রশাসনের পলিসি ও আমেরিকান পতাকার প্রচার।
হেইগেন বলেন, আমি জিওগ্রাফিতে তত ভাল নই। তাই প্রেসিডেন্টের সফরসূচির সময় ন্যাশনাল এডভাইজার অফিসে ম্যাপ খুলে এয়ারফোর্স ওয়ানের পাইলটসহ ঠিক করা হতো কিভাবে প্রেসিডেন্টের সফরের সময় সোভিয়েট রাশিয়া থেকে মুক্ত পূর্ব ইউরোপের কোনো দেশে একটু টাচ দেয়া যায়।
জর্জ বুশ ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বে তার জনপ্রিয়তা ছিল খুবই কম। কিন্ত– পূর্ব ইউরোপের দেশে তার জনপ্রিয়তা বেশি। কাজেই সদ্য সোভিয়েত বলয় মুক্ত দেশ আলবেনিয়া সফর করে ডেমক্র্যাসির কথা বলে জনতার ভালবাসার কভারেজ পেয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট যে দেশ সফর করেন ঐ দেশে যে হোটেলে প্রেসিডেন্ট রাত্রি যাপন করেন সেই হোটেল কক্ষে হোয়াইট হাউস কম্যুনিকেশন এজে›িস নিজ¯¦ কম্যুনিকেশন সি¯েটম সংযুক্ত করে। সেখান থেকে সরাসরি যে কোন দেশে কথা বলা যায়।
যেমনি করে হোয়াইট হাউস থেকে প্রেসিডেন্ট ফোন করেন বিশ্ব নায়কদের সাথে। প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটির কারণে বিদেশ সফরের সময় সেল ফোন বহন করেন না। তবে তার যোগাযোগের সকল রকম সুব্যবস্থা আছে। প্রেসিডেন্টের লিমোজিনে যে সেল ফোন সংযুক্ত ঐ সেল ফোনে ব্যাক গ্রাউন্ডে কোন শব্দ শোনা যায় না। গাড়ির ভেতর এমনি নীরব থাকে যেন গাড়ির বাইরে বোবার জগত।
প্রেসিডেন্ট গাড়ির বাইরে লোকজন দেখেন কিন্ত– তাদের কথা শোনেন না।
এয়ারফোর্স ওয়ানে প্রেসিডেন্টের জন্য ঘুমাবার ব্যবস্থা রয়েছে। কেবিনটি বিমানের আগভাগে নজের কাছে। ডাবল বেডের কেবিন। গোছল করার ব্যবস্থাও আছে।
বসতে বসতে হাটু জমে পেলে দৌড়-র্যালি আছে, যাতে দৌড়ের কাজ সেরে নিতে পারেন। এয়ারফোর্স ওয়ানে খানা রেডি করেন মিলিটারি ¯টুয়ার্ট।
প্রেসিডেন্টের সফর সঙ্গী সবাই অত্যন্ত সাহসী। অভিজাত ¯টাফ মেম্বার প্রেসিডেন্টের সফর সঙ্গী হন। বিশেষ অবস্থায় কি অবস্থান নিতে হবে কি পরিধান করতে হবে, বিদেশি স¤মানীত অতিথিদের সঙ্গে শিষ্টাচার বিনিময় ও কি কৌশলে কথা বলতে হবে এইসব বিষয়ে অভিজ্ঞ তারা।
অতীতের সকল ফা¯র্ট ফ্যামিলি হোয়াইট হাউস পছন্দ করেছিলেন। রোনাল্ড রিগ্যান কিন্ত– হোয়াইট হাউসকে ফিস বউল বলে মন্তব্য করেছিলেন।
হোয়াইট হাউসে রয়েছে মুভি থিয়েটার। হলিউডের সকল লেটে¯ট মুভি দেখার সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। হলিউড মুভি ¯টুডিও থেকে ওভার নাইটে তাদের জন্য মুভি পাঠানো হয়।
আছে সুইমিং পুল। এই সুইমিং পুল থেকে বাথ স্যুট পরে ফোর্ড সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছিলেন। আছে টেনিস কোর্ট ও চিলড্রেন গার্ডেন।
সবকিছু মিলিয়ে অত্যন্ত খোশ মেজাজের বাড়ি হোয়াইট হাউস। ২ শতাধিক বছর ধরে এই বাড়ি থেকে সৃষ্টি হয়ে আসছে ইতিহাস।
সৃষ্টি হচ্ছে ইতিহাস। হোয়াইট হাউসে ফা¯র্ট ফ্যামিলি আসে আর যায়। হোয়াইট হাউস ¯টাফ থেকেই যায়। বারবারা বুশের ভাষায় প্রেসিডেন্ট আসে আর যায়, বাটলারগণ থেকে যায়। সূত্র সাপ্তাহিক সচিত্র সময়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।