সংবিধানের তৃতীয় ভাগ –এ “মৌলিক অধিকার” এর অংশ- “জীবন ও ব্যাক্তি স্বাধীনতার অধিকাররক্ষণ” ৩২- এ বলা আছে, জীবন ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা হইতে কোন ব্যাক্তি কে বঞ্চিত করা যাইবে না।
প্রত্যেকটা দিন তো আর একই রকম হয় না, দিন বদলায়-পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন দিন আসে । নতুনের আগমনী র্বাতা সবার জন্যে মঙ্গলই বয়ে আনে । মুক্তিযোদ্ধার সেই শেষ চিঠিতেও এরকমই একটা কথা ছিল ।
“বাচিঁয়া থাকলে দেখা হইবে তখন স্বাধীন দেশে একসাথে বিজয়ের পতাকা ওড়াবো,দুজনে ।
”
তারপর সবকিছু পরিস্কার । দেশ স্বাধীন হবার পর যারা বিভিন্ন সময়ে ওপরওয়ালার ভুমিকা পালন করেছেন ,তারা শুধু ওপরওয়ালাই ছিল । আর আমরা যারা নীচে আছি বলে তারা মনে করেন , কাধেঁর উপর পা রেখে উন্মাদনায় মেতেছে বছরের পর বছর ।
৭১ র্পূব সময় আমাদের কাছে খুব পরিস্কার । সত্যিই কথা বলতে কি ওটাই ছিল পরির্বতনের সময় ।
তারপর অর্থ্যাৎ ৭১ উত্তর সময় থেকে আজ অবধি; আগামীকাল নির্বাচন,০৮ । কি হয়েছে? হয়নি কিছুই। যারাই এসেছে লুটপাট করে খেয়েছে । ধারাবাহিকতার বহমান পানি একই রকম- কোন নতুন রাস্তা তৈরি হলো না । সেই আ:লীগ, বি এন পি, জাতীয় পার্টি, জামাত ।
আর অন্যদের কথা বললাম না কারণ তারাও এদেরই শাখা - প্রশাখা ।
এরা সবাই একই রকম । খুব অবাক লাগে এরা যখন একজন আর একজনের বিরুদ্ধে বলে, ওরা র্দুনিতিবাজ । ওদেরকে ভোট দেবেন না । প্রসঙ্গ হলো র্দুনিতি করল কারা?খুব সহজ হিসাব ,তোমরাই তো ক্ষমতায় ছিলে ।
কেউ আগে ,কেউ পরে । এখন কেন শুধুশুধু বাজে কথার বুলি ছাড়া হয় সাধারণ মানুষের কাছে ।
র্দুনিতি তো তোমরাই করেছ, করিয়েছ । বাংলাদেশ , ৭১ র্পূবর্বতি সময়ে পশ্চিম পাকিস্থানিরা , ৭১ পরবর্তি সময়ে এই আ:লীগ, এই বি এন পি, এই জাতীয় পার্টি, এই জামাত । আর অন্যদিকে শুধু শুধু ৭১ র্পূববতি সময়ে চলে গেল কতগুলো সাধারন মানুষ ,আর ৭১ উত্তর কালে আজ অবধি এই আমরা ।
অন্যদিকে যে পরিবর্তনের আহ্বাবনে আমরা একত্রিত হয়েছিলাম একদিন, তা আজ সত্যিই ধরাছোঁয়ার বাইরে।
র্বতমানে আমাদের চিন্তা ভাবনার জায়গাগুলিই ভোতা হয়ে গিয়েছে । এই দেশে শিক্ষিতরাও অশিক্ষিত আর অশিক্ষিতদের কথাতো বললামই না । ঘুরে ফিরে আমরা ওই একটি জায়গাতেই আছি । হয় আ:লীগ নতুবা বি এন পি ।
যারা পরপর শুধু লুটপাট করেই গিয়েছে । কিভাবে চলছে এই সাইকেল। এই দুটো দলতো আমাদেরকে দিয়েই তাদের বানিয়েছে । কিন্তু কতকাল ???
একটু পেছনে ফেরা যাক । আ:লীগ, বি এন পি, জাতীয় পার্টি, জামাত এরা কিভাবে চালিয়েছে এই সাইকেল ।
৭১ পরবর্তি কিছু সময় পেরিয়ে যাবার পর এরশাদের দশটি বছর তো বলার অপেক্ষা রাখেনা । তার দুর্দশাগ্রস্ত দশটি বছর বাদ দিয়ে অন্যান্য র্নিবাচনের দিকে একটু তাকাই,
দল ১৯৯১ ১৯৯৬ ২০০১
বি এন পি ১৪০ ১১৬ ১৯৩
আ:লীগ ৯৬ ১৪৬ ৬২
জাতীয় পাটি ৩৫ ৩২ ১৪
জামাত ১৮ ৩ ১৭
অন্যাণ্য ৮ ২ ৮
সতন্ত্র ৩ ১ ৬
সুত্র: নিউ এইজ ওয়েব ।
আসন বন্ঠনগুলি এভাবেই ছিল গত র্নিবাচনে । তাই উপরের টেবিলটিই প্রমান করে, তোমরা এসেছ তোমরা খেয়েছ ,আপনারা এসেছেন আপনারা খেয়েছেন, আবার তোমরা এসেছ তোমরা খেয়েছ । আবার সেই তোমরাই খাবারের জন্যে তৈরী হচ্ছ আগামীকাল থেকে ,২৯ ডিসে-০৮ ।
মাঝখানে দুটি বছর গেল, স্বাদের মধ্যর্বতি সরকার । মোটা অংকের টাকা গলা দিয়ে পেটে ঢোকার জন্যে এই সময়টুকুই যথেষ্ট ছিল তাদের জন্যে ।
আগামীকালও তাই হবে । ৯১,৯৬,০১ এর প্রতিচ্ছবি । তোমরাই আসবে ,তোমরাই খাবে ।
আর আমরা পরির্বতনের অপেক্ষা করে যাবো, সপ্ন দেখব বদলানোর । হাসিনা বলেছে ,২০২০ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বে । কথা হচ্ছে র্নিবাচনের মধ্যে দিয়ে যদি সে ক্ষমতায় আসে স্থায়িত্বকাল হবে ৫ বছর , সেখানে ২০২০ সাল র্পযন্ত পরিকল্পনা করেন কিভাবে ?খালেদা জিয়া বলেছে, ভুল হয়ে গেলে ক্ষমা করে দেবার । একজন প্রধানমন্ত্রি ভুল করতে পারেন না ?অন্যদিকে আর যারা বাকী থাকল তাদের কথা বলবেন বিজ্ঞজনেরা ।
যদিও বিজ্ঞজনদের নিয়ে আমার একটা মতামত নিউ এইজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীরের বক্তোব্বের কাছাকাছি, এদেশের বিজ্ঞজনেরাও হয় আ:লীগ নতুবা বি এন পি পন্থি ।
র্বতমান সি ই সির একটা কথা দিয়ে শেষ করব । বলেছেন,“না” ভোট যেন খেলার বিষয় না হয় ,কারণ এটা জনগনের স্বাধীন মতাধিকার । প্রশ্ন হলো এই “না” ভোট তো অনেক আগে থেকেই ছিল । কেন গত র্নিবাচনগুলোতে এই স্বাধীকার প্রয়োগের বিষয়টি থাকেনি ।
আমরা যারা সাধারণ মানুষ তারা সবসময়ের জন্যে মুক্তিযোদ্ধা ।
তাই আগত সন্তানদের বুকফাটা কান্নার সাথে জানিয়ে দিয়ে আজও চিঠি লিখে যাই ,
“বাচিঁয়া থাকলে দেখা হইবে তখন স্বাধীন দেশে একসাথে বিজয়ের পতাকা ওড়াবো,দুজনে । ”
সেই চিঠি কোনদিনও আগন্তুকরা পাবে কিনা জানিনা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।