আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরনো তরিকা

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। জানি বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। কারণ এখন আমাদের সময় আমরা সবাই আমাদের দেশ নিয়ে ভাবি। দেশকে এগিয়ে আমরা এমন একটা জায়গায় রাখতে চাই যেখানটা সম্মান ও গৌরবের।

কিন্তু সে জায়গায় আমাদের কেউ যেতে দিতে চান না। রাজনীতির একটা দুষ্টু আবরণ আমাদের ঢেকে রেখেছে। কাদের মোল্লার ফাঁসির দিতে হবে, এমন জোরালো দাবি সবখানে। দোষী প্রমাণিত মোল্লার ফাঁসি কেন হল না, তা আমার বোধগম্য নয়। কারণ এই ট্রাইবুনাল মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া দলটি করেছে।

তারা নির্বা্চনি ইশতিহারেও এটি ঘোষণা করেছিল, যুদ্ধাপরাধের বিচার করবে। তরুণরা এ জন্য তাদের ভোট দিযেছে বলে দাবি মহাজোটের। এখন মহাজোটের তৈয়ার করা ট্রাইবুনালের রায় মহাজোটই মানছে না। এখানে ফাঁকটা কোথায়? জামায়াতের সাথে আঁতাতের পুরনো তরিকা আওয়ামী লীগ ভালোই জানে। এবারো কি তেমনটা ঘটেছে।

? সন্দেহ করছেন অনেকে। কিন্তু মহাজোট নেতারা এখনো এ বিষয়টি খোলাসা করেননি। শাহবাগে যারা জড়ো হয়েছেন, তাদের সামনের দিকটা এক রকম, ভেতরটা অন্য। সেখানে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা এসেছেন, বর্তমনারও আছেন। আছেন বাম দলের ছাত্র নেতারা।

ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীরা পরীক্ষা এবং ক্লাস বর্জন করবেন বলে যে ব্যানরটা প্রকাশ করা হয়েছে, তার লেখার হরফ আর কাপড় দেখে চিনে নিতে কষ্ট হয় না এটা বামদের করা। বামরা ভালো কাজ করে কিনা জানি না। তবে সামাজিক আন্দোলনগুলো শুরু করে কিছু প্রতিবাদী তরুণ-তরুণী, তারা সামনে এসে নেতৃত্বটা কেড়ে নেয়। এবার এ নেতৃত্ব নিয়ে বামরা যেমন লড়েছে, তেমনি সরকার দলীয়রাও। এটা আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক দশকের অভিজ্ঞতা থেকে বললাম।

বর্তমান সরকারের আমলে আমরা বিপরীত মুখি অবস্থান দেখি। স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিতে তত্বাবধায়ক পদ্ধতির সরকারের যে দাবি বিরোধীদল করে আসছিল তা আদালতের মাধ্যমে মীমাংসা করেছে। আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ করেছে, তবে এটি আরো দুবার ব্যবহারেরও সুযোগ রেখেছে। তবে পরের অংশ বাদ দিয়ে আগের অংশ নিয়ে মহাজেটরে নেতৃত্বে থাকা সব দল একযোগে বক্তৃতাবাজি করছে। আদালতের দোহাই দিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক থেকে ড. ইউনূসকে সরানো হয়েছে।

সে সময় এ নিয়ে যারা কথা বলেছেন তারা আইনের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন বলে দরে নেয়া হয়েছিল। এখন নিজেদের ট্রাইবুনালের রায় নিয়ে কেন আপত্তি, সেটি বুঝতে পারছি না। সাংবাদিকরা সবাই ফেসবুকে প্রতিবাদ করছে দেখছি। নির্মোহভাবে কেউ গঠনার পেছনের ঘটনা অনুসন্ধান করছেন বলে মনে হয় নঅ। আজ সবগুলো পত্রিকায় চোখ বুলালাম, কিন্তু কোনো সঠিক কারণ খুঁজে পেলাম না।

কাদের মোল্লার প্রতি সমবেদনা জানানোর ইচ্ছে আমার নেই। তেমনি সরকারের নজরকে ভালোভাবে নেয়ারও সুযোগ নেই। যার যার অপরাধের জন্য তার তার শাস্তি ভোগ কররেত হবে। সেটা ইহকালে না হলে পরকালে হলেও। তবে আসল অপরাধীদের আমরা ইহকালেই শাস্তি চাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।