এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র দুই রকমের মানুষ আছে। ভালো মানুষ যারা ভালো কাজ করে। আর খারাপ মানুষ যারা খারাপ কাজ করে। এটাই মানুষদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য। আর কোন পার্থক্য নেই... আমি ভাল মানুষ...☺☺☺
শিরোণাম পড়ে অবাক হবেন না।
শিরোণামটা কিন্তু ভুল নয়। পুরোপুরি সত্য। এর রহস্য জানতে পোস্টটি পড়ুন।
আমরা মানুষরা যেমন আমাদের জীবনকাল শেষ হলে মারা যাই তেমন নক্ষত্রের-ও একটা নির্দিষ্ট জীবনকাল আছে। এই জীবনকাল শেষে নক্ষত্রটিতে বিস্ফোরণ ঘটে।
নক্ষত্রটি যদি সূর্যের ১.৪গুণ বা তার বড় হয় তবেই এটা ঘটে। নক্ষত্রের এই বিস্ফোরণকে বলা হয় সুপারনোভা । সুপারনোভা লেখাটিকে আমি লিংক হিসেবে দিয়ে দিয়েছি। এটাতে ক্লিক করলেই সুপারনোভা কি জানতে পারবেন।
এই বিস্ফোরণের ফলে নক্ষত্রের ভেতরে তৈরী হওয়া জটিল পরমাণুগুলো মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
সেগুলো লক্ষ-কোটি বছর পর মহাজাগতিক ধুলিকণা এবং অন্য সবকিছুর সাথে মিলে হয়তো কোথাও সৌরজগতের সৃষ্টি করে। সেই সৌরজগতে থাকে সূর্য। থাকে পৃথিবীর মতো গ্রহ। সেই গ্রহে জীবের জন্মের জন্য প্রয়োজনীয় অণু পরমাণু। এগুলোর জন্ম হয়েছে নক্ষত্রে এবং সুপারনোভা বিস্ফোরণে তা ছড়িয়ে পড়েছে মহাবিশ্বে।
পৃথিবীর মানুষদের প্রত্যেকের ভিতরেই আছে নক্ষত্রের অংশ। আমাদের রক্তের ভেতরকার লৌহ পরমাণু, দাঁতের ক্যালসিয়াম, মস্তিষ্কের পটাশিয়াম সবগুলোর জন্ম হয়েছে কোন এক নক্ষত্রে। ঐ দূর আকাশে আমরা যে নক্ষত্রগুলোকে জ্বলজ্বল করে জ্বলতে দেখি সেরকম নক্ষত্র আমাদের মধ্যেও আছে।
পুরো প্রক্রিয়াটির একটি ভিডিও আপলোড করেছি নেটে। ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
। ।
আমি এই মজার তথ্যগুলোকে পেয়েছি মুহাম্মদ জাফর ইকবাল-এর "একটুখানি বিজ্ঞান" বই থেকে। আমি নিজের ভাষায় পুরো ব্যাপারটা উপস্থাপন করেছি। ।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।