যা তুমি আগামিকাল করতে পার, তা কখনো আজ করতে গিয়ে ভজঘট পাকাবে না...
০১.
আজ সকালে পেপার হতে নিয়েই দেখলাম নিজ এলাকায় স্বতস্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতীক পেয়েছেন বিএনপির সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া। তার পাওয়া হাঁস প্রতীকটিও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে ক্রিকেট খেলায় এই প্রতীক যিনি পান, তিনি সঙ্গে আরো অনেক উপহার পান দর্শকদের কাছ থেকে।
০২
কবিতা লেখার জন্য কতোজন নানাভাবে উত্যক্ত করেছেন মাহাকবি মেহেদীকে। তিনি নেহাত ভাল মানুষ বলে সেগুলোর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেননি।
কালের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন তার অমর সৃষ্টি।
আমি অবাক হয়ে ভাবি, মহাকবি কেমনে বুঝলেন এই হাঁস নামক প্রাণীটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে জড়িয়ে যাবে? অবশ্য তিনি বরাবরই রাজনীতি সচেতন কবি ছিলেন।
০৩
যা হোক, অনেক আগে, যখন আরবের লোকেরা বর্বর ছিল (অবশ্য এখনো আছে) সেই জামানায় মহাকবি মেহেদী মান্নান ভূঁইয়ার নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে একটি কবিতা লিখেছিলেন। আজ সেটি আবার পাঠকদের সামনে হাজির করা গেল। এখানে উল্লেখ্য, অত্যন্ত উদার মহাকবি বলেছেন, তার নাম উল্লেখ করে তার কবিতা ব্যবহার করা যাবে।
পেঁক পেঁক
মোঃমেহেদী হাসান মেহেদী
পেঁক, পেঁক, পেঁক
আমরা সবে চলি,
সারি দিয়ে চলি।
পেঁক, পেঁক, পেঁক
চলি একে বেঁকে
চলি মোরা পুকুরে,
হেঁটে, হেঁটে, হেঁটে
পেঁক, পেঁক, পেঁক
খেলি আমরা সাঁতারে,
পেঁক, পেঁক, পেঁক
ডুব দিয়ে মাছ ধরি,
কেঁক, কেঁক, কেঁক
ছাড়ি আমরা সোনার ডিম।
পেঁক, পেঁক, পেঁক
তুলি ঝিনুক শামুক আর,
কেঁক, কেঁক, কেঁক
০৪
আমার মনে হয় মান্নান ভূঁইয়া যদি দুরদর্শী হন তাহলে তার নির্বাচনী জনসভায় নিয়মিত এ কবিতাটি আবৃত্তি করতে পারেন। এখানে তিনি নিজ গলায় এটি আবৃত্তি করতে পারেন অথবা মহাকবিকে তার জনসভায় সম্মান জানিয়ে আমন্ত্রনও জানাতে পারেন। আমার ব্যক্তিগত ধারণা মহাকবি সম্ভবত এ আমন্ত্রন গ্রহণ করবেন।
০৫
মহাকবি আবারো ব্লগে কবিতা লেখা শুরু করেছেন। তার সাম্প্রতিকতম কবিটির নাম চিৎপটাং। আপনারা তার ব্লগে কবিতাটি পড়তে পারেন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, মহাকবি এ কবিতার মাধ্যামে কোন ঘটনার পূর্বাভাষ দিলেন? কে হতে যাচ্ছে চিৎপটাং? জানতে হলে নজর রাখুন মহাকবির ব্লগে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।