ইউটাতে আমি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে ২ দিনের মধ্যে একটা গাড়ী কিনলাম। গাড়ী কেনার ২ দিনপর জানতে পারলাম আমাকে মুভ করতে হবে নিউ ইয়র্কে। নতুন ড্রাইভার আমি, এখনও ইজি হতে পারিনি। কি করি এখন? সিদ্বান্ত নিলাম ২২০০ মাইল ড্রাইভ করেই যাব। শীতের কাপড়,কম্বল, কিছু খাবার ও পানীয়, ইমারজেনসি কিট ও জিপিএস নিলাম।
তারপর ম্যাপ-স্টাডি, রুট আর স্টপেজ প্ল্যান করে আল্লার নামে ড্রাইভ শুরু করলাম ভোর ৫:৩০ এ। তো সে ড্রাইভের কাহিনী বলছি।
১.
ফ্রী ওয়ে আই-৮০ তে নামার সাথে সাথে ঠান্ডা শীতের রাতেও কপাল ঘামতে শুরু করলো বিশাল বিশাল ট্রাক আর তাদের স্পীড দেখে। হিটার বন্ধ করে দিলাম। চেষ্টা করছিলাম যথা সম্ভব ঘন্টায় ৬৫ মাইল স্পীড রাখতে।
সেটাই হল সর্বোচ্চ গতিসীমা, লেখা আছে। ছোটছোট পাহাড় পেচিয়ে পেচিয়ে আঁকাবাঁকা রাস্তা, সব গাড়ী মোটামুটি ৭৫-৮০ তে চালাচ্ছে। আমি অন্ধকারে ড্রাইভ করতে গলদঘর্ম হচ্ছি। কিন্তু হাইওয়েতে নেমে যেহেতু গেছি এখন আর কোন উপায় নাই, তাই শক্ত করে দুইহাতে হুইল ধরে, মনোযোগ দিয়ে চালাতে লাগলাম- আর একটু পরপর খেয়াল হচ্ছিলো যে দাঁতে দাঁত চেপে আছি। বিশেষ করে ট্রাক গুলো আমাকে ওভারটেইক করতে দেখলেই দম আটকে আসে।
ভাবছিলাম কেন যে এই কাহিনী করতে গেলাম। যাই হোক বু্দ্ধি করে একটা ট্রাকের পিছু পিছু যেতে লাগলাম।
২.
এভাবে মোটামুটি ঘন্টা দুয়েক চালানোর পর দিগন্তরেখা ভেসে উঠা শুরু করলো। চারদিক মোটামুটি ফরসা হয়ে যাচ্ছে। কোথাও এক্সিট নিয়ে নাস্তা করতে হবে।
স্পীং রক নামের ছোট্ট পাহাড়ী শহরে পেয়ে ঢুকে পড়লাম। মেক্সিকান রেস্টুরান্টে খেয়ে কফি নিয়ে নিলাম। গ্যাস নিয়ে আবার হইওয়েতে যখন উঠেছি অনেকটা ইজি লাগলো ড্রাইভ করতে। গতি বাড়িয়ে ৮০ তে চালাতে শুরু করলাম। এখন আমি ওভারটেইক করছি কিছু কিছু গাড়ী।
এক হাতে অনেকটা রিলাক্সলী ড্রাইভিং করতে চেষ্টা করছি। চমৎকার সুর্যোদয় হচ্ছে, ছবি তুলতে ইচ্ছা করলো। ড্রাইভ করতে করতেই ক্যামেরা নিয়ে ছবি শ্যুট করলাম।
২য় পর্ব
৩য় পর্ব
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।