এই পথ যদি না শেষ হয় . . .
যারা জরুরী অবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। যারা জরুরী অবস্থাকে তুলে নিতে বলছেন। তাদের কিছু কথা এবং আমার উত্তর :
১) দেশে যে সাধারন আইন আছে তাই দিয়ে দেশকে নিয়ন্ত্রন করা যায় তাহলে জরুরী অবস্থার দরকার কেন?
উত্তর: হ্যা আপনি ঠিকই বলছেন। যখন দেশকে সাধারন নিয়ম দিয়ে চালানো যায় তখন জরুরী অবস্থার কোনই প্রয়োজন নেই। তবে আপনি কি একথা অস্বীকার করবেন জরুরী অবস্থা জারী করার আগে দেশ সাধারন আইন দিয়ে চালানো সম্ভব হচ্ছিল।
যদি রাজনৈতিক দাঙ্গা সাধারন আইন দ্বারাই প্রতিহত করা যেত তাহলে তো আর জরুরী অবস্থার কোনই প্রয়োজন ছিল না।
২) জরুরী অবস্থা দিয়ে দেশের মানুষকে নিয়স্ত্রন করে রাখা হয়েছে। জরুরী অবস্থার করনেই সরকার দুই বছর টিকে আছে। নইলে জনগনের আন্দোলনের কাছে সরকারের পতন অনেক আগেই হয়ে যেত।
উত্তর: জরুরী অবস্থা দিয়ে জনগনকে নিয়ন্ত্রন করে রাখা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।
তবে জরুরী অবস্থা দিয়ে যে সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়েছে তা বোধহয় বাংলাদেশের প্রতিটি সাধারন জনগনই মানবেন। আমার নিজের এলাকার সন্ত্রাসীদের আমি অনেকদিন দেখতে পাই না। একসময় মনে হয় কিব্যাপার এরা গেল কোথায়। কিন্তু গনতান্ত্রিক সরকার আমলে তাদেরকে খোঁজার দরকার হতো না। তখন আমরা ভাবতাম এদের হাত থেকে কি আমাদের মুক্তি হবে কখনও।
তাহলে আপনি জনগন বলতে কাদেরকে বুঝাতে চেয়েছেন। রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদেরকে নয়কি। যারা দেশের ভালো করার নামে হরতাল-অবোরোধের সময় আমাদের মূল্যবান সম্পদ ধ্বংস করে। যারা দেশের জন্য আন্দোলনের নামে নিজের খোরাক জোগায়।
৩) জরুরী অবস্থা বিধানটি সংবিধান থেকে তুলে দেওয়া উচিত।
উত্তর: অবশ্যই। জরুরী অবস্থার মত অসাংবিধানিক ধারার সংবিধানে কোন স্থান নেই। তবে জরুরী অবস্থা আমাদের যে উপকার করেছে তার প্রতি একটু মায়া নিশ্চয় আমার মত কারও না কারও হচ্ছে। তবে আমি জরুরী অবস্থার সম্পূর্ন বিপক্ষে । কারন এর অপব্যবহার করা হলে কি করা যায় তা সহজেই অনুমেয়।
৪) জরুরী অবস্থা তুলে না নিলে আমরা নির্বাচনে যাব না।
উত্তর: ভালো কথা । আপনাদেরকে নির্বাচনে আমরা চাইয়ো না। আপনাদের মত রাজনৈতিক ব্যক্তিরা যখন স্বাধীনতা পরবর্তী এই দীর্ঘ্য সময়ে বাংলাদেশের দুই বৃহত দলের ভিতরে কোন বন্ধুত্বপূর্ন মনোভাব গড়ে তুলতে পারেন নাই। তখন আপনাদের মত বাধা মাতোব্বরদের দিয়ে আবারও যে কিছু হবে তা ভাবতেও আমার লজ্জা লাগে।
আপনার বলতে লজ্জা লাগে না?
৫) খালেদা-হাসিন বৈঠক হয়েছে। এরপর আর দুই দল কোন বড় সংঘর্ষে যাবে না। তাই এখনই সঠিক সময় জরুরী অবস্থা উঠিয়ে দেওয়া।
উত্তর: আপনি বোধহয় দেশের খবর রাখেন না। এখনও সন্ত্রাসীরা প্রহর গুনছে কবে জরুরী অবস্থার অবসান হবে।
আর রাজনৈতিক সংঘাত তো লেগেই আছে। নিজেদের মধ্যে মারামারি-ধ্বস্তাধ্বস্তি। এগুলো তো টিভি খুললেই চোখে পড়ে। জরুরী অবস্থা তুলে নিলে সাধারন আইন কি আবার আগের(জরুরী অবস্থা পূর্ববর্তী) মত নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠ পরিবেশ গড়ে তুলতে পারবে ???????
খালেদা-হাসিনা এরা যদি আগে আলোচনায় আসতেন তাহলে আজ এই দিন দেখতে হত না। কিন্তু তারা আলোচনায় আসেন নি।
কারন এতে উভয় দলেরই ছাড় দেওয়া লাগতো। আজ যখন তাদের আলোচনা না করলে তাদের ক্ষতি হচ্ছে ছেন তখন তারা আলোচনায় এসেছেন। এতে পরিষ্কার বোঝা যায় তারা দেশের জন্য কাজ করেন না বরং নিজের লাভের জন্য কাজ করেন। যখন তাদের লাভ হবে তখন তারা সেই কাজটি করবেন। না হলে দেশে আজ জরুরী অবস্থা আসতো না।
খালেদা-হাসিনাকে : আপনারা জনগনের কথা কি কখনও ভুলেও ভাবেন?
৬) এই সরকার অবৈধ সরকার। এই সরকারের আমালে আমাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বেড়ে গেছে।
উত্তর: বিগত রাজনৈতিক সরকার আমলে আমাদের দেশ দুনীতিতে হ্যাটটিক করেছিল। আর এ সরকারের সময় দেশ প্রথম হয়নি। অতএব এটি সাধারন মানুষ সহজেই বুঝতে পারে কোন সময় দুনীতি বেশি হযেছিল।
উপরে উল্লেখিত মন্তব্যগুলো দুই দলের বাঘা বাঘা নেতারা করেছেন। আমি তাদের উত্তর দিযেছি মাত্র। একজন সাধারন জনগন হিসাবে। কারন সাধারন জনগন শান্তি চায় । আমরা আমাদের মঙ্গল চাই, দেশের মঙ্গল চাই।
কোন নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠির নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।