পাবনার ঈশ্বরদীর দড়িনাড়িচা এলাকা থেকে আজ শুক্রবার সকালে এক তরুণ দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামী-স্ত্রীর লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত দম্পতি হলেন ইমরান হোসেন (২০) ও তাঁর স্ত্রী আলো খাতুন (১৮)।
ঈশ্বরদী থানার পুলিশ ও নিহত দুজনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ছয় মাস আগে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি এলাকার ইমরান হোসেনের সঙ্গে ঈশ্বরদীর দড়িনাড়িচা এলাকার আলো খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ইমরান শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন।

ইমরান ঈশ্বরদী বাজারে মুরগির দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
আলোর মা সীমা খাতুন প্রথম আলো ডটকমের কাছে দাবি করেন, এটি হত্যাকাণ্ড। তাঁর মেয়ে ও জামাতাকে কে বা কারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, প্রতিদিনের মতো গতকাল বৃহস্পতিবার ইমরান ও আলো বাড়িতে ছিলেন। রাত দুইটার দিকে ঘুম ভেঙে বাইরে এসে তিনি তাঁদের ঘরে আলো জ্বলতে দেখেন।

বিষয়টি অস্বাভাবিক লাগায় তিনি ঘরের পাশে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। একপর্যায়ে তিনি দুজন প্রতিবেশীকে ডেকে ঘরের বেড়ার টিন ফাঁক করে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়ে আলোকে দেখতে পান। এ সময় পাশেই ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলে ছিলেন ইমরান।
পুলিশ জানায়, এলাকাবাসী ঈশ্বরদী থানায় খবর দিলে আজ সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাশ জানান, দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রীকে জবাই করে স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।

তবে ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। ।