কয়েকদিনের মধ্যে মুসলিম ব্রাদারহুডের এনজিও রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হচ্ছে বলে দেশটির সলিডারিটি মিনিস্টারের মুখপাত্র হানা মাহানার উদ্ধৃতি দিয়ে শুক্রবার জানিয়েছিল আল আকবর।
কিন্তু এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মিশরের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে শেরিফ শাবকি বিবিসিকে বলেছেন, সিলিডারিটি মিনিস্টার এমন কোনো সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেননি।
১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডকে ১৯৫৪ সালে নিষিদ্ধ করেছিল মিশরের তৎকালীন সেনা সরকার। তারপর থেকে ২০১১ সালে মিশরের সাবেক সেনা শাসক হোসনি মুবারকের পতনের আগ পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিল মুসলিম ব্রাদারহুড।
মুবারকের পতনের পর প্রকাশ্যে কার্যক্রম শুরু করে ব্রাদারহুড।
কিন্তু ব্রাদারহুডের আইনি বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিরোধীরা আদালতে মামলা করার পর মার্চে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) হিসেবে নিবন্ধিত হয় সংগঠনটি।
ফ্রিডম এন্ড জাস্টিস পার্টি নামে ব্রাদারহুডের নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক শাখা আছে। মুবারকরে পতনের পর ২০১১ সালের জুনে রাজনৈতিক দল হিসেবে এটি নিবন্ধিত হয়।
এই পার্টির প্রার্থী হিসেবে মিশরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বিজয়ী হন ব্রাদারহুডের অন্যতম ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ মুরসি। কিন্তু এক বছর ক্ষমতায় থাকার পর পর পর কয়েকদিন ব্যাপক সরকার বিরোধী বিক্ষোভ ও রক্তপাতের সূত্র ধরে ৩ জুলাই তাকে ক্ষমাতচ্যুত করে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্র্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করে ব্রাদারহুড। তাতে এ পর্যন্ত প্রায় হাজার খানেক মানুষ নিহত হয়।
এ প্রতিক্রিয়ায় ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবাইকে গ্রেপ্তার করে গোষ্ঠিটির বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করে দেশটির সেনা সমর্থিত অর্ন্তবর্তী সরকার। সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসিসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের বিরুদেধ হত্যা ও সহিংসতা উস্কে দেয়ার অভিযোগ এনে বিচার শুরু ঘোষণা দেয়া হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।