আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাপানের ডায়েরী-১৫!

সামুতে বারবার ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করলেও কর্তৃপক্ষের নিশ্চুপ থাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে ব্লগিং বন্ধ করলাম এখানে। ধিক্কার সামুর কর্তৃপক্ষকে
আগে থেকেই সাইকেল ভালোই চালাতে পারতাম! এইচ এস সি পর্যন্ত চালিয়েছি, এরপরে চালালেও তা ছিলো হঠাৎ করে! জাপানে এসে আবার এখন নিয়মিত সাইকেল চালনা শুরু করেছি! কারন নতুন বাসায় সকল আবাসিকের জন্য একটা করে সাইকেল ফ্রি আমার সাথের এক ভাই, সবসময় বলে পুলিশ ধরে না কেন! যাহোক গত রবিবারে দুজনে ইচ্ছামত শহরে ঘুরলাম সাইকেলে...........আর রাস্তা কিছুটা ঢালু হওয়ায় প্যাডেল চালাতে হচ্ছিল কম, ভালোই লাগছিলো, কিন্ত ফেরার পথে পুলিশ মামুর সাথে মোলাকাত থামলাম, প্রথমেই শুরু করল নিহঙ্গ ওকে (জাপানিজ ওকে ), আমি বললামঃ ইংলিস ওকে! কারন আগেই সিনিয়ররা কাছে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলেন পুলিশের সাথে জাপানিজে কথা না বলাই ভালো, কারন তখন নাকি বেশি প্যাঁচায়! আর আমাদেরও সমস্যা ছিলো না, কাগজপাতি সব ওকে আর সাইকেলেও আমাদের নামের স্টিকার লাগানো আছে! ওদেক আমাদের পরিচয়পত্র দেখালাম, বিশ্বঃ বিদ্যালয়ের নাম জাপানিজে বললাম! জাপানে সব সাইকেলেই নিজস্ব ইউনিক নাম্বার আছে, যা ঐ সাইকেলের জন্য নির্দিষ্ট, ঐ নাম্বারটা রেজিঃ করা আমাদের নতুন আবাস্থলে (ইন্টার ইউঃ সেমিনার হাউজ)সব তথ্য ঠিক থাকায় ওরা ধন্যবাদ দিয়ে কাগজপাতি দিয়ে দিলো, কিন্তু শুরু করে দিলো আমাদের সাথে গল্প, কোন দেশ থেকে এসেছি...............বাংলাদেশ বলার পর এই প্রথম নাম শুনলো, মনে হল................... ( কবে যে বাংলাদেশকে সবাই এক নামে চিনবে ) ভারতের পাশে, বঙ্গপোসাগর, মায়ানমার.....ইত্যাদি বলে ওদের কিছুটা হলেও ধারনা দিতে পারলাম! এরপর শুরু হল, আমরা কি খাই..প্রধান খাদ্য কি.................! মহা মছিবত বললেও বোঝে না, আবার আগ্রহও কম না! যা হোক কিছুটা জ্ঞান দিয়ে মামাদের কাছ থেকে হাসিমুখে বিদায় নিয়ে আসলাম................ ছবিঃ জাপান-গাইড থেকে! চলবে.....।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।