সামুতে বারবার ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করলেও কর্তৃপক্ষের নিশ্চুপ থাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে ব্লগিং বন্ধ করলাম এখানে। ধিক্কার সামুর কর্তৃপক্ষকে
আমি একেবারে কঠিন ধার্মিক না! কারন সবকিছু মেনে চলার মত মানসিকতা আসে নাই,দেখা যায় নফল পালন করতে গিয়ে ফরয বাদ পরে যায়! তবে চেষ্টা করি পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়ার!বাহিরে আসার আগে চিন্তা করতাম যে নিজে নিজেই মনে হয় নামাজ পড়তে হবে! আর জুমার নামাজ না পড়ে হয়ত যোহর পড়তে হবে! যা হোক জাপানে পৌছার পরের দিনই ছিল শুক্রবার! দেখলাম ইন্টাঃ হলের কমনরুমে নামাজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে! শুধু নামাজের সময়ই গায়ের চাদর পেড়ে নামাজের ব্যবস্থা আর নামাজ শেষ হলেই সব গোছানো! অনেকটা গুলিস্থানের ফুটপাথের দোকানের মত! এরপর দেখলাম যোহর-আছর-মাগরিব-এশা সবই পড়া যায়! মুসল্লী মোট ৮জন! আমরা বাংলাদেশীর সংখ্যাগরিষ্ঠ মোট তিনজন!
১ম দিন অত খেয়াল করি নাই, কিন্তু একটু খটকা লাগছিলো!পরশুদিন হলুদ রঙের গায়ের চাদরটা পুরোপুরি ভাজ খুলেই বুঝলাম আসল কাহিনী!এ যে MADE IN BANGLADESH! মাথায় ছোট্ট করে লেখা 'অন্তরা'! বাকি বাংলাদেশীদেক দেখালাম, ওরাও খেয়াল করে নাই! বাকী বিদেশীগুলোকে দেখালাম যে বাংলাদেশের গায়ের চাদরে তোমরা নামাজ পড়ছো, ওরা বলল,লেখাটা বাংলায় হওয়ায় ওরা কিছুই বুঝছিলো না, এখন ক্লিয়ায়! সম্ভবত, দেশী কেউ যাবার সময় রেখে গেছেন! ভালৈ লাগলো, দেশীয় জিনিস দেখে! আসলে বাংলাদেশের কোন কিছু থাকলেই মনটা ভরে ওঠে!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।