দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি ,তাই যাহা আসে কই মুখে ।
ইয়াহিয়া খান-জুলফিকার আলি ভুট্টোর অগণতান্ত্রিক আগ্রাসী আচরণ নয় । নয় বাংলাদেশজুড়ে নিয়াজী-ফরমান আলিদের খান সেনার ভয়াবহ নরসংহার যজ্ঞ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের পিছনে ছিল নয়াদিল্লির ভেদনীতি ।
না !!!
কোনো কষ্ট কল্পনা নয়, নিজের যন্ত্রস্হ উপন্যাস '' ইন্ডিয়া ডকট্রিন '' -এ ঠিক এভাবেই ১৯৭১ সালের মুক্তি সংগ্রামকে বর্ণনা করেছেন বাংলাদেশের আইনজীবী লেখক এম বি আই মুন্সি।
বেমালুম চেপে গেছেন রাজাকার আলবদর বাহিনীর অবর্ণনীয় হত্যালীলা কিংবা পাক জেলে বন্দি বঙ্গবন্ধুর উপর অত্যাচারের কথা। তাঁর অভিযোগ, ইন্দিরা গান্ধির নিপুণ ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছিল রাওয়ালপিণ্ডি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই কূটনৈতিক মহলে উত্তজনা। যার পরিণতিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক অবনতি। আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলে।
এই অবস্থায় বিতর্ক এড়াতে নাকি এম বি আই মুন্সি পুরো দায় চাপিয়েছেন ঢাকাস্থিত পাক দূতাবাসের ঘাড়ে। তাঁর অভিযোগ, উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিটি আরও তথ্যবহুল করার উদ্দেশ্যে তিনি পাক হাই কমিশনে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে আই এস আই-এর নির্দেশে পাকিস্তানি লেখক আহমেদ কুরেশি ও ব্রিগেডিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) ওসমান খালিদ তাতে নানা বিকৃত তথ্য সন্নিবেশ করেন। শুধু তাই নয়, বইটির শেষ অধ্যায়ে ভবিষ্যতে ফের পাকিস্তান-বাংলাদেশ এক হয়ে যাবে বলে তাঁর মন্তব্য হিসাবে যা ছাপা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে আই এস আই-এর দূরভিসন্ধি বলে অভিযোগ ইসলামাবাদ ঘনিষ্ঠ এই লেখকের।
( ভারতের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।