বাংলাদেশকে নিয়ে শংকিত
প্রতিটি মেয়ে কম-বেশি তার রূপ নিয়ে সচেতন। নিজেকে কি করে আরো সুন্দর করে উপস্থাপন করা যায় এজন্য অনুসঙ্গ হিসেবে প্রয়োজন হয় প্রসাধনী বা কসমেটিকসের। এই কসমেটিকসের সাহায্যে যেমন নিজেকে সুন্দর করে তোলা যায়, আবার কসমেটিকসের যত্ন বা কতদিন পর্যন্ত সেটা ভাল থাকবে সে সম্পর্কে জ্ঞান রাখাটাও জরুরী। আসুন এ প্রসঙ্গে জেনে নেয়া যাক কিছু টিপস্-
০ কসমেটিকস সবসময় বড় মেক-আপ বক্সে রাখা উচিত। প্রতিটির জন্য আলাদা আলাদা খোপ ব্যবহার করবেন।
০ কোনো কসমেটিকসের ঢাকনা খুলে রাখবেন না এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে তা ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকে তি হয়ে র্যাশ বের হতে পারে।
০ যেকোনো প্রডাক্টের গায়ে কিছু ইনস্ট্রাকশন লেখা থাকে। সেটা আগে পড়ে তারপর তা ব্যবহার করবেন।
০ সরাসরি রোদ বা তাপ লাগে এমন জায়গায় প্রসাধনী রাখবেন না।
এমনকি ফ্রিজেও রাখবেন না। এতে করে এক্সপায়ার ডেট শেষ হবার আগেই সেটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
০ কসমেটিকস্ ব্যবহারের বিভিন্ন অনুসঙ্গ হিসেবে ব্রাশ, পাফ বা স্পঞ্জ এইসব নিয়মিত পরিষ্কার করবেন এবং না শুকানো পর্যন্ত তা ব্যবহার করবেন না।
০ মেক-আপ ব্রাশ প্রতি ২-৩ মাস পরপর কুসুম গরম সাবান পানিতে বা সামান্য বেবি শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করবেন। স্পঞ্জ ১০-১৫ দিন পরপর পরিষ্কার করবেন।
সাধারণত: একটা স্পঞ্জ ১-২ মাসের বেশী ব্যবহার না করাই ভাল।
০ নিজের ব্যবহার করা পাফ, স্পঞ্জ, তুলি অন্যকে ব্যবহার করতে দেবেন না এবং নিজেও অন্যেরটা ব্যবহার করবেন না। এতে করে একজনের স্কিন ডিজিজ থাকলে অন্যের তা হতে পারে।
০ লিপস্টিক ফ্রিজে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত ভাল থাকে। শুকিয়ে গেলে বা বাজে গন্ধ বের হলে সেই লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না।
০ আই বা লিপ লাইনার পেন্সিল নিয়মিত শার্প করলে ব্যাক্টেরিয়া জন্মায় না।
০ ওয়াটার বেসড ফাউন্ডেশন অনেক সময় মেয়াদ শেষ হবার আগেই শুকিয়ে যায়। এ থেকে রা পেতে অ্যালকোহল ফ্রি টোনার কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নেবেন।
০ অয়েল বেসড ফাউন্ডেশন মাঝে মাঝে ঝাঁকিয়ে রাখবেন। এতে করে পুরোটা সমানভাবে মিশে থাকে।
কসমেটিকসের মেয়াদকাল
০ চোখের জন্য যেসব মেক-আপ প্রডাক্ট ব্যবহার করা হয় তা সবচেয়ে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। যেমন- মাসকারা, সিল খোলার ৩ মাসের মধ্যে নষ্ট হতে থাকে। মাসকারা জমে গলে কখনও পানি মিশিয়ে সেটা ব্যবহার করবেন না। এতে ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম হতে পারে। এছাড়া কোনো আলাদা প্রডাক্ট একসাথে মিশিয়েও ব্যবহার করবেন না।
০ লিক্যুইড আইলাইনার বা কনসিলারের আয়ু ৬ মাসের বেশী থাকে না। আই এবং লিপপেন্সিল ১ বছর পর্যন্ত ভাল থাকে আর আইশ্যাডো প্রায় ৩ বছর পর্যন্ত ভাল থাকে।
০ লিক্যুইড ও ক্রিম যেসব ফাউন্ডেশন ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত থাকে। ভাল ব্র্যান্ডের কসমেটিকস হলে অবশ্য ১ বছর পর্যন্ত ব্যবহার উপযোগী থাকে।
০ পাউডার বেসড প্রডাক্ট ২ বছর ভাল থাকে।
০ ব্লাশঅন ভালো থাকে ৬ মাস।
০ ক্রিম ও জেল কিনজার মোটামুটি ১ বছর ভাল থাকে।
০ নেলপলিশ ১ বছর ভাল থাকে আর ঠিকমত সংরক্ষণ করতে পারলে আরও কিছুদিন ভাল রাখা যাবে।
০ ফেসিয়াল কিনজার প্রায় ৬ মাস ভাল থাকে। আর ফেসিয়াল টোনার নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন ১ বছর পর্যন্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।