আমাদের বাড়ির পশ্চিমের
রাস্তার পাশে যে বটগাছ,
তার নিচে রোজ বসতাম। আর
দেখতাম কৃষক কেমন জমিতে
সোনার ফষল ফলায়,
কাঁধ ভর্তি ধানের আঁটি নিয়ে
কেমন দুলতে দুলতে যায়
ছয় বছরের ছোট্ট ছেলেটি,
যে কিনা স্কলে যাওয়া শেখেনি।
ভাবতাম পড়াশুনা না শিখলেও
অন্তত কৃষকতো হতে পারব।
কৃষকদের পড়তে হয়না,
তাদের ছেলেমেয়েরাও স্কুলে যায়না।
দিনরাত জমিতে পরিশ্রম করে
অন্য যোগায় নিজেদের ও সাহেবদের।
সাহেবারা চিরদিন অন্যের উপর
বসে বসে খান, পরের ধনে
পোদ্দারি করেন, আর সময়মত
নিচু শ্রেণীর মানুশগুলোর টুটি চেপে ধরেন।
এসব দেখে দেখে এখন আমারও
সাহেব হতে ইচ্ছা করে।
সাহেবেরা ভাল খান, ভাল কাপড় পড়েন
কখনো সেজন্য নয়। সমাজের
এই নিচু শ্রেণীর জাতটাকে
সাহেবদের হাত থেকে বাঁচাতেই
আমার সাহেব হতে ইচ্ছা করে।
আমি এখন সাহেবদের শহরেই থাকি
প্রতিদিন ক্লাসে যাওয়ার সময় দেখি
জীর্ণ শরীরে রস্তার পাশে বসে থাকে
আমারই কোন নিকট আত্মীয়
যে কিনা আমারই মত সাহেব হতে চাই।
যাদের ছেলেমেয়ে সাহেব হয়ে, প্রচলিত নিয়মে
টুটি চেপে ধরবে তাদেরই কোন নিকট আত্মীয়ের।
যখন নিচু শ্রেণী থাকবে না
তখন সাহেবেরা সাহেবদেরই টুটি চপে ধরবে।
হে জগতের সাহেবেরা
তোমরা সাবধান হও।
তোমাদের তৈরি করা নিয়ম ভেঙ্গে ফেল।
না হলে তোমাদের টুটি চেপে ধরবে,
নিচু শ্রেণী থেকে সদ্য পাশ করা কোন সাহেব।
কারন তারা যে কোন নিচু শ্রেণী পাবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।