দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক
সম্প্রতি এক ভারতীয় সেনার মাথা কেটেছে যে সন্ত্রাসী, তাকে পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই পাঁচ লাখ রুপি পুরস্কার দিয়েছে বলে দাবি করছে ভারত। গত ৮ জানুয়ারির ওই ঘটনা সম্পর্কে ভারতের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা এমআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে। ওই বর্বরোচিত হামলার ঘটনা পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের শান্তি আলোচনার ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত করে তুলেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি কাশ্মীরের মেন্ধার সেক্টরে পাকিস্তানি সৈন্যদের হামলায় দুই ভারতীয় সেনা নিহত হয় বলে নয়াদিল্লি দাবি করে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিহত দুই সেনার একজনের মাথা কেটে নিয়ে গেছে পাকিস্তান এবং অপর সেনার দেহ ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে।
তবে ইসলামাবাদ ওই অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ওই দিন সীমান্তে কোনো সংঘর্ষই হয়নি।
ভারতের সেনা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের দোকানদার আনোয়ার খান ল্যান্স নায়েক হেমরাজের মাথা কেটেছে। আনোয়ার ১৯৯৬ সালে সীমান্তের একই এলাকায় একজন ভারতীয় ক্যাপ্টেনেরও গলা কেটেছিল বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
এমআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএসআইয়ের কর্মকর্তা কর্নেল সিদ্দিকি পুরস্কারের অর্থ আনোয়ার খানের হাতে তুলে দিয়েছেন। ভারতীয় সেনাদের ওপর হামলার কাজে আইএসআই সমর্থিত একটি জেহাদি গোষ্ঠীর সদস্যরাও জড়িত ছিল বলে এমআই উল্লেখ করেছে।
এমআইয়ের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, সীমান্তে গোলযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে হেমরাজের শিরশ্ছেদ ও ল্যান্স নায়েক সুধাকর সিংয়ের লাশ ক্ষতবিক্ষত করার পরিকল্পনা করে আইএসআই। ভারতীয় সেনা গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, গত ৮ জানুয়ারির হামলার আগে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে আইএসআই কর্মকর্তা, গুরুত্বপূর্ণ ‘সন্ত্রাসী কমান্ডার’ ও স্থানীয় গাইডদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে কর্নেল সিদ্দিকি, আজাদ খান, ইউসুফ খান ওরফে পাঠান এবং মেজর আব্বাসি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বুধবার জাতিসংঘের কাছে পাকিস্তানের প্রায় দেড় দশকের গোপন অভিযোগের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দু জানায়, গোলযোগপূর্ণ কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলওসির কাছে ভারতীয় সেনারা গলা কেটে অন্তত ১২ পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছে।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।