আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্লিলি - ২,৩ - ড্রাফ্ট

ধুম ধাম ধুম।

ক্লিলি ১ ২. আমি বসেছিলাম অবসারভটরিতে, অনেকক্ষণ। হঠাৎ সবকিছু আমাকে পেছনে ঠেলে দিলো যেন, অনেকক্ষণ আমার মনে পড়লো ফেলে আসা সব সময়গুলোর কথা, আর আমি হারিয়ে গেলাম সেগুলোর মাঝে। আমি কেমন ছিলাম তখন ? আমার এখন মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে তখনকার আমাকে অনুভব করতে .. একটা সাহসী তরুণ.. যে স্বপ্ন দেখতে দেয়াল ভাঙা কিছু করার .. বিশ বছরের ছেলেটা কি কখনো ভেবেছিল ওর শেষটা এখানটায় হবে ? অনেক উঁচু একটা বিল্ডিং এর একাকী একটা ফ্লোরে.. কৃত্রিম একাকীত্বতে ? আমি জানি না, এটাই কি আসলে আমার শেষ ? আমি আমার শেষ বছরগুলো এখানটায় কাটিয়েছি.. পৃথিবী থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে.. আমার খুব বেশি আগ্রহ ছিলো না, সবকিছু নিয়ে.. আমার ভালো লাগতো আমার পিসির কিবোর্ডে হাত রেখে আমার উল্টোপাল্টো চিন্তাভাবনা লিখতে, আমার খুব ভালো লাগতো যখন অনেক বিচ্ছিন্ন শব্দ সব একসাথে হয়ে অর্থ তৈরী করতো, একটা গভীর বোধ, যেটা আসে অনেক ঝড় পার করে আসার পর, শান্ত সমুদ্রের ঢেউর মতো.. আমার ভাললাগতো আমার মতো করে লিখতে, শেষ কয়েক বছর আমার মাথায় অতিরিক্ত অ্যাবস্ট্রাক্ট জিনিস খুব ঘুরছে। আমি কিছু একটা অনুভব করছি, আমি অনেক অনেক শব্দ লিখবো, কিন্তু কেউ যখন লেখাটা পড়বে, সে শব্দগুলোকে আলাদা করে দেখতে পাবে না, সে শুধু অনুভব করবে আমি কি অনুভব করছিলাম, লেখাটা লেখার সময়।

আমার মনে হচ্ছে আমি ইদানিং ইকটু ইকটু করে ভালো হচ্ছি এই ধরণের লেখাতে। কি অদ্ভূত, যে আমি এ ধরণের লেখা লিখতে শুরু করেছিলাম প্রায় ত্রিশ বছর আগে! ক্লিলির লেখা পড়তে আমার খুব ভালো লাগে একই কারণে, সেও অনেকটা এভাবে লিখে, পড়তে পড়তে হঠাৎ মনে হয় সব শব্দগুলো অদৃশ্য হয়ে গেছে, আর কেউ আমার হাত ধরে আমাকে একটা অদ্ভূত জগতে নিয়ে গেছে, এবং আমাকে ওর চোখ দিয়ে সবকিছু দেখাচ্ছে, একটা একটা অনুভূতি ছুঁয়ে ছুঁয়ে .. কোন সন্দেহ নেই, এ কারণেই ওর উপন্যাস প্রচুর বিক্রি হয়, অনেক বেশি দাম থাকা সত্ত্বেও.. কিন্তু.. আমি আমার ভাবনার লুপ থেকে বের হতে পারি না। আমার এখনো কেবল মনে হচ্ছে প্রথম দিনগুলোর কথা। আমার উপর বিষন্নতা চেপে বসেছিল, আর আমি কিছুতেই বের হতে পারছিলাম না, আমি যতবারই খুব আগ্রহ নিয়ে লিখতে বসছিলাম, আমার লেখায় খুব বাছাই করা শব্দ আর আমার পুরনো কবিতার পুনরাবৃত্তি ছাড়া কিছুই ছিল না.. সেটা ছিল খুব দু:খজনক, আমি চুপচাপ বসে থাকতাম প্রচন্ড শূণ্যতা নিয়ে.. একটা অভিমানী ছেলে, যে সব কিছু ছেড়েছিল নিজের মতো লেখালেখি করার জন্য.. কিন্তু সে কিছুতেই লিখতে পারছিলো না.. আমি তখন পিসি শাট ডাউন করতাম, আমার বারান্দাটায় বসে থাকতাম, আর মেঘ দেখতাম। এটা কি ধরণের বিষন্নতা? কেন? আমি একটা ব্যর্থ মানুষ ছিলাম বলে? কিন্তু, আমি নিজেকে ব্যর্থ বলে স্বীকার করিনি বলেই কি আমি সব ছেড়ে ছুড়ে চলে আসিনি? তাহলে কেন আমি নিজেকে ব্যর্থ ভাবছি? আমার নিজেকে খুব তুচ্ছ এবং গভীরতাহীন মনে হতো, এবং ত্রিলিনির সেরা গানগুলোও আমার স্পিরিটকে একটু জাগাতে পারতো না।

আমি জানি না.. আমি নিজেকে কিছু বোঝাতে পারিনি.. আমি বিষন্ন ছিলাম, এবং আমার বিষন্নতার রূপটা আমার স্ক্রীনে ছুড়ে ফেলতে ইচ্ছে করতো.. আমি পিসিটা খুলে লিখতে শুরু করতাম, অর্থহীন.. সম্পূর্ণ অর্থহীন লেখা.. সেগুলো কোন কবিতাও হতো না, কোন চেনা ভঙ্গীর লেখাও হতো না, কিন্তু আমি অনুভব করতাম সেগুলো আমার খুব ভেতর থেকে বের হয়ে আসছে, আর মাঝে মাঝে নিজেকে খুব শব্দমাতাল মনে হতো, যখন আমি ঝোঁকের উপর লিখতে থাকতাম ঘন্টার পর ঘন্টা .. আমি কেন এসব ভাবছি? আমি কি এগুলো নিয়ে যথেষ্ট ভাবিনি? সবকিছু অনেক পাল্টে গেছে, আমি এখন আর আগের মতো করে চিন্তা করি না.. আমি হঠাৎ যেন ঘোর থেকে বের হয়ে আসলাম, আমার আগের জীবণ থেকে। সন্ধ্যা হচ্ছে.. এখান থেকে সন্ধ্যা দেখতে খুব অদ্ভূত লাগে.. সূর্যটা একটু একটু করে আতলান্তিকে ডুবে যাচ্ছে.. আদিগন্ত সমুদ্রটা কিছু আলো শুষে নিচ্ছে.. কিছু আলো পানিতে লেগে আছে.. মেঘগুলো একটু সরে আছে আকাশের সাথে.. আমার পেছনে একটা মহাদেশ সূযার্স্ত দেখছে.. অন্তত এখানটায় দাড়িয়ে সেরকম লাগে.. আমাকে একটা ফোন করতে হবে.. ৩. সমুদ্রের মধ্য দিয়ে আমাদের ছোট্ট সাবমেরিনটা অনেক দ্রুত ছুটে চললো। আমরা অ্যান্তারতিকায় যাচ্ছি .. রাইটারবটগুলোর অনেক অনেকগুলো করে প্রসেসর থাকে, আর অনেক অনেক বড় ডাটা ব্যাংক। জিনিসগুলো খুব দ্রুত গরম হয়ে যায়, আর সেগুলো ঠান্ডা করতে প্রচুর খরচ পড়ে.. অ্যান্তারতিকা কয়েক শতক থেকে মোটামুটি মুক্ত একটা জায়গা, সব দেশগুলোই একটা টুকরো নিয়ে বলতে পারে এখন থেকে আমি এখানটায় থাকবো। তাই বেশিরভাগ রাইটারবট, পৃথিবীর সব বড় বড় ডাটা ব্যাংক, সবকিছু অ্যান্তারতিকার পাশের সমুদ্রের গভীরে, প্রচন্ড ঠান্ডায়।

আমি এর আগে কখনো সাবমেরিনে চড়িনি। প্রথম কিছুক্ষণ খুবই অসাধারণ লাগলো আমার, একটা নীল সমুদ্র , উপর থেকে আলো এসে পানিতে পড়ছে, সেই পানির মধ্য দিয়ে আলোগুলো অনেকবার প্রতিসরিত হয়ে সবকিছু আলোতে ভরানোর চেষ্টা করছে, ছোট ছোট মাছের ঝাঁক ঘুরে বেড়াচ্ছে.. কিন্তু যতই সাবমেরিনটা নিচে নামতে থাকলো সবকিছু ঘোলা হয়ে যেতে থাকলো.. তারপর একটা সময় সব অন্ধকার হয়ে গেলো, আমি তখন একটু হতাশ হলাম। আমার ছোট্ট গোল জানালাটা থেকে আমার মুখ ফিরিয়ে নিলাম, আর কল্পনা করার চেষ্টা করলাম ব্যাপারটা কিরকম হবে.. আমি জানি না আমি ক্লিলিকে কি জিজ্ঞেস করবো.. আমি সত্যিই জানি না। আমি আমার সবকিছুই এরকম অপ্রস্তুত অবস্থায় করি, আর আমার কেন জানি মনে হয়, আমার কাজগুলোতে তখন কোন খাঁদ থাকে না, এবং তখন জিনিসগুলো অনেক স্বত:স্ফূর্তভাবে আসতে থাকে। কিন্তু , ক্লিলির সাৎক্ষাকাতকারটাও ? ক্লিলির ডকে যখন আমাদের সাবমেরিনটা এসে ঢুকলো, একটা বেঁটে মোটাসোটা এবং আটোসাঁটো জামা পড়া লোক আমাকে স্বাগত জানালো, মুখে হাসি নিয়ে।

ওর মাথার চুলগুলো পিছন দিকে ঠেলে আঁচড়ানো, আর মুখে একটা জাঁদরেল ভাব আছে, হাসিটুকু ঠিক মাপা। আরেকটু বেশি হাসলে হয়তো তাকে খুব ব্যাক্তিত্বহীন মনে হতো, আর আরেকটু কম হাসলে গম্ভীর লাগতো। আমাকে বসানো হলো একটা ছোট্ট সাজানো ঘরে। আমাকে কিভাবে ক্লিলির সামনে নেবে? ওর হলোগ্রাফিক ইমেজ দিয়ে? কিন্তু ক্লিলির কি হলোগ্রাফিক ইমেজ আছে? ক্লিলি কিভাবে কথা বলবে? ছেলের গলায়, না মেয়ের গলায়? আমি এসব ভাবতে ভাবতে খুব অবাক হলাম, যখন আমাকে একটা স্ক্রিনের সামনে বসিয়ে দিলো, আর সামনো খোলা ছিল একটা চ্যাট উইন্ডো, আর একটা কালো কি-বোর্ড। স্বাভাবিক ব্যাপার, ক্লিলি যখন একটা রাইটারবট, নিশ্চই ওরা লেখা ছাড়া আর কিছু নিয়ে মাথা ঘামাবে না ওর ডিজাইন করার সময়।

এবং ক্লিলি নিশ্চই সবচে চমৎকারভাবে কথা বলতে পারবে যখন ওর লেখা লাগবে। আমি কিছুক্ষণ চুপচাপ কিবোর্ডে হাত দিয়ে বসে থাকলাম, কি লিখবো? স্ক্রিনে হঠাৎ লেখা ভাসলো - হ্যালো! : ) প্রাচীন মানুষরা এভাবে কথা বলতো.. এটা হচ্ছে একটা প্রাচীন পদ্ধতি কথা শুরু করার জন্য। আমি কিছু লেখার আগেই আবার ক্লিলি কথা বলতে শুরু করলো। - তোমার সাথে পরিচিত হয়ে আমি খুব খুশি মিস্টার কিওভস্কি। তোমার নিউজ ফিড পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।

শেষ শব্দগুলো আমার কানে বাধলো, একটা মেশিনের কি ভাবে ভালো লাগে ? একটা মেশিনের ভালো লাগার অনুভূতিটা কেমন ? আমি প্রাচীন মানুষ নই, আমি কোন সম্বোধনে সময় নষ্ট করি না। - তোমার ভালো লাগার অনুভূতিটা কেমন ? স্ক্রিনটা আটকে থাকলো সাদা শূণ্যতায়, কিছুক্ষণের জন্য। যদিও আমার মনে হচ্ছিল না আমি খুব বাজে প্রশ্ন করেছি। কিন্তু যখন জবাব আসলো না বেশ কিছুক্ষণের জন্য, আমি একটু অস্থির হয়ে পড়লাম, বোধ হয় আমি ঠিক প্রশ্নটা করিনি। এলিট রাইটারবটদের একজনকে অনুভূতি নিয়ে প্রশ্ন করা কি উচিত ? বিশেষ করে যখন তারা খুব অনুভূতিময়ভাবে লিখতে পারে? - হি হি হি! তুমি আমাকে বলতে পারো কিওভস্কি, তুমি আমাকে ঠিক কি ভাবো? - উমম.. একজন লেখক ? - অবশ্যই তা নয়, তুমি প্রশ্নটা করার সময় আমাকে একটা মেশিন ভাবছিলে।

- উমম.. কিন্তু তুমি তো আসলেই একটা মেশিন, তাই না? - আমি আসলে সেই অর্থে বলিনি, আমি বলেছি তুমি আমাকে 'মেশিন' ভাবছিলে। কারখানার ফুড প্যাকেজিং এ যে ধরণের মেশিনগুলো চব্বিশ ঘন্টা কাজ করে, সেরকম মেশিন। : ) - কিন্তু অবশ্যই তুমি মানুষ নও, এবং অবশ্যই তোমার ভালো লাগাগুলো ঠিক মানুষদের মতো নয়। - তুমি কেন এত নিশ্চিত ভাবে বলছো ? তুমি মানুষ বলে ? আমি কিছুক্ষণ থমকে থাকলাম, আমি আসলে ক্লিলিকে অপমান করতে চাইনি। কিন্তু শব্দগুলো সব একসাথে ঘোট লেগে গেছে.. - আমি তোমাকে অপমান করতে চাইনি।

আমি শুধু অবাক হচ্ছিলাম, কিভাবে একটা রাইটারবট অনুভব করে। কিভাবে রাইটারবটরা আসলেই অনুভব করে যে জিনিসগুলো তারা বই এর পাতায় লিখে, আর যেই লেখাগুলো মানুষকে বিশুদ্ধ সাহিত্য থেকে পুরোদস্তুর তাড়িয়ে দিয়েছে শেষ কয়েক শতকে, তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে তাদের সীমাবদ্ধতাগুলো দেখিয়ে। আমি শুধু কৌতুহলী ছিলাম, আমি ... - খিক খিক খিক! তুমি কিভাবে অনুভব করো কিওভস্কি? আমি আবার থমকে গেলাম। আমি কিভাবে অনুভব করি? আমি অনুভব করি যে আমার অনুভূতিগুলো ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে। আমি মেঘের দিকে এখনো তাকিয়ে থাকি প্রত্যেক ভোরে এবং আমি এখন আর সেভাবে অনুভব করতে পারি না, আমার বিশের বয়সে আমি যেভাবে পারতাম।

আমি ঠুনকো সৌন্দর্য খোঁজার চেষ্টা করি আমার কল্পনায়, কিন্তু সবকিছু কেমন সাজানো আর কৃত্রিম হয়ে যায় একটা পর্যায়ে। তখন আমি জোর করে চেষ্টা করি অনুভব করার জন্য। তারপর হঠাৎ মাঝে মাঝে অনুভূতিগুলো ঝরনার মতো এসে আমাকে ভিজিয়ে দেয়.. আমি ভিজে চিটচিটে হয়ে বসে থাকি, ভালোলাগা আর দু:খ নিয়ে.. কিন্তু.. আমি আসলে কিভাবে অনুভব করি? - আমি জানি না .. - তুমি একটা মানুষ! কাম অন! বলো আমাকে তুমি কিভাবে অনুভব করো? - আমি আসলেই জানি না.. আমার মনে হয় অনুভূতিগুলো সহজাত, অনেকটা খাবারের গন্ধ আর স্বাদের মতো। - ব্যাপারটা কি আসলেই তাই ? একই ঘটনা সবার মধ্যে একই অনুভূতি আনে না। - হয়তো জিনিসগুলো নির্ভর করে মানুষটার আগের অভিজ্ঞতার উপর, আগের চিন্তাভাবনার উপর.. ধরো, কেউ যদি প্রচন্ড মিষ্টি একটা জিনিস খায়, তারপর সেটার চেয়ে কম মিষ্টি আরেকটা জিনিসের স্বাদ সে কিছুতেই পাবে না।

- তুমি রূপান্তর করছো। তুমি কি আসল প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছো না? - নাহ! আমি চাচ্ছিলাম সমান্তরাল উপমা দিতে, যাতে আমার চিন্তাগুলো আমি তোমাকে বোঝাতে পারি। আমি আসলে জানি না কিভাবে সোজাসুজি এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায়। - আমি তোমার সাথে কথা বলে মজা পাচ্ছি কিওভস্কি। তুমি আমাকে একটা প্রশ্ন করেছো, যে প্রশ্নের 'সরাসরি' উত্তর তুমি নিজেও জানো না, এবং তুমি আশা করো যে আমি - একটা 'মেশিন' তোমাকে বুঝিয়ে বলতে পারবো কিভাবে আমি অনুভব করি।

তোমার মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। ইন্টারেস্টিং। কিন্তু আমি ব্যাপারটার মধ্যে কোন কিছু ইন্টারেস্টিং পেলাম না, নিজেকে খুব বোকা মনে হচ্ছিল। আমি তো কথাই বলতে পারছি না ক্লিলির সাথে, সাৎক্ষাতকার নেবো কি? আমার খুব পিছিয়ে বসতে ইচ্ছে করলো.. আমি এখানটায় কয়েকদিন থাকবো, আজকে ছুটি নিলে হয় না? কিন্তু.. কথা শুরু না করতেই আমি কিভাবে বলি আমি খুব ক্লান্ত, আমায় ছুটি দাও? চলবে ..

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.