আল বিদা
Click This Link
সিঙ্গাপুর নিয়ে আর যা কিছু লিখতে চাচ্ছি তা হল মুস্তাফা সেন্টার, সেন্টোজা আইল্যান্ড, জুরং বার্ডস পার্ক আর অতি অবশ্যই গেলাং -এর নারীসঙ্গ!
মুস্তাফা সেন্টার যেন এক টুকরো বাংলাদেশ। এখানে সিঙ্গাপুরের কোন নাগরিক দেখা যায় না। প্রায় সবাই বাংলাদেশ, ভারত আর শ্রীলঙ্কার মানুষ। আমরা যখন এই এলাকায় গেলাম দেখি পুরো এলাকা বিশেষভাবে সাজানো। ভাবলাম সিঙ্গাপুরের কোন ফেস্টিবল।
পরে দেখি দিপাবলী পল সাজানো। সিঙ্গাপুরে হিন্দু কম্যিউনিটি এত বিশাল। এমনকি একটা মিনা বাজারও বসে গেছে।
সিঙ্গাপুরের পরিষ্কার পরেচ্ছন্নতার যে কথা আমরা শুনি তা এখানে পাওয়া যায় না। এমনকি ট্রাফিক আইনও কেউ মেনে চলে না।
সিঙ্গাপুর ড্রাইভাররা এ কারনে এদেশীয় ও ভারতীয়দের গালি দিয়ে দেয়।
মুস্তাফা সেন্টার সেরাংগুন এলাকায়। আমাদের নিউ মার্কেট, চাদনি চক, গাউসিয়া নিয়ে যে সার্কেল এমন বিশাল এলাকা নিয়ে এই মুস্তাফা সেন্টার। আলপিন থেকে এরোপ্লেন সবই একটু কম দামে পাওয়া যায়।
প্রতিটা দোকানে বাংলা বা হিন্দিতে লেখা।
দোকানেও এই সাব কন্টিনেন্টের লোক কাজ করে।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় এখানে বসে বাংলাদেশীদের আড্ডা। বিশেষকরে রবিবারে তো পা ফেলার জায়গা হয়না। সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশী যে যেখানেই থাকুক সন্ধ্যায় মুস্তাফা সেন্টারে আসে। ঠিক বাংলাদেশের মত রাস্তার পাশে, ড্রেনের উপর, পার্কিংএ, পার্কে যে কোন জায়গায় গোল হয়ে বসে চলে আড্ডা।
এমনকি ক্যারাম খেলারও ব্যবস্থা হয়ে আছে। বেশারভাগেরই মনে একটা বেদনার ছাপ। হয়ত এ ছাপটা স্বপ্ন ভঙ্গেরও।
আমি এখানে প্রথম বাংগালীদের দেখে খুব খুশী হয়ে গেলাম। বিদেশের মাটিতে দেশের মানুষ! কিন্তু তারা কেন যেন তেমন একটা পাত্তা দিল না।
প্রথমে একটু খারাপ লাগলেও পরে বুঝলাম এত বাংলাদেশী এখানে যে আলাদা করে আর দেশের মানুষের জন্য কোন ফিলিংস থাকেনা।
মুস্তাফা সেন্টারের কথা শেষ করার আগে একজন বাংলাদেশীর কথা মনে না করলেই না। তিনি হল আমির ভাই। বাড়ী নোয়াখালী। সিঙ্গাপুরে একটা বাংলাদেশী সমিতি আছে।
সব দেশেই প্রবাসীদের একটা থাকে। এখানে আলাদা করে একটা নোয়াখালী সমিতিও আছে। আমির ভাই নোয়াখালী সমিতির সাধারন সম্পাদক। ওখানে 'দাউদকান্দি রেষ্টুরেন্ট' এ কাজ করে। আমার এক বন্ধুর কিছু পার্সেল আনতে তার কাছে গেলাম।
ডিনারও তার হোটেলে করলাম। প্রায় ১০০০/- টাকা বিল উঠার কথা। কিন্ত তিনি কিছুতেই বিল নিবে না। আমার কলিগ তার হাতে ধরে ফেলল। খুব করে রিকোয়েস্ট করল বিল নেয়ার জন্য।
আমির ভাই শুধু বলল বিলের কথা বললে তিনি কষ্ট পাবেন। তারা যে কষ্ট করে ঐ দেশে থাকে তার উপর আবার এত টাকা খসল। আমাদের ভেবে খারাপই লাগল।
আরা একটু নারী সঙ্গ চান তারা অবশ্যই গেলাং এ যায়। এই গেলাং এর কথা পরের কোন পর্বে বলব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।