জীবিকার অন্বেষনে তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলো থেকে সোনার হরিণের খোঁজে প্রতিদিন বৈধ বা অবৈধ পন্থায় অভিবাসীরা ইউরোপের দেশ গুলোতে প্রবেশ করছে। অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ রোধ করার জন্য ইসির সরকার প্রধানগন একধিকবার বৈঠক করে অভিবাসী আইন প্রনয়ন এবং আইন কার্যকর করার বিষয়ে একমত পোষন করেন। আইন যতই শক্ত করা হোক না কেন সেটি মনবতাকে উপেক্ষা করে বা মানবিক অধিকারের পরিপন্থি এমন কোন আইনকে সেখানে অনুমোদন দেয়া হয় নাই। এরপরও কিছু কিছু দেশের আইন সৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অমানবিক ভাবে সেখানে বসবাসরত অভিবাসীদের অপদস্ত ও নির্যাতিত হতে দেখা গিয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ ইতালীর নাম বলা যেতে পারে।
কিছুদিন পূর্বে ইতালীর পুলিশ সেনেগালের এক অভিবাসীর পরিচয়পত্র পরীক্ষার প্রাক্কালে, একপর্যায়ে পুলিশ কর্তৃক বেদম প্রহারে সে মারাত্মক আহত হয়। সবচেয়ে স্পর্শকাতর ঘটনাটি ঘটে সিয়ামপিনোর বিমান বন্দর এলাকায়। বিমান বন্দর পুলিশ সোমালিয়ার এক মহিলা যাত্রীকে মাদক ব্যাবসায়ী সন্দেহে উলংগ করে তার সারাদেহ তল্লাসী চালায়।
কয়েকদিন পূর্বে গ্রীসের আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সদস্যরা এক অভিবাসীকে চিহ্নিত করার সময় অভিবাসীকে প্রকাশ্য দিবালোকে বাধ্যতামূলক তার জননেন্দ্রিয় পরীক্ষা করে। পুলিশ কর্তৃক এই অপমানজনক ঘটনার অবতরণা করার জন্য গ্রীসের মানবাধিকার সংস্হা ও অভিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদের মুখে পুলিশ কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি তদন্ত করতে রাজী হয়।
কাপর খুলে অভিবাসীর যৌনাংগ পরীক্ষা করার ছবিটিকে " এথেন্থের গোয়ান্তানামো" বলে গনমাধ্যমে প্রকাশ করা হলে বিষয়টি সেখানে ব্যপক আলোচিত হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।