সুখীমানুষ
আজ একটি কমিটি গঠন করেই ফেল্লাম
'জোছনা দেখা কমিটি'।
এর সভা ডাকা হবে প্রতি মাসের পূর্ণিমা-সন্ধায়
যখন থালার মত চাঁদ ওঠবে আকাশে
তখন এক মিনিট নিরবতা পালন করে
হবে এর কর্মসূচির শুরু।
কোন কোন পূর্ণিমা কাটবে পথে পথে হেটে
কোনটাবা কাটবে নদীর তীরে তীরে।
হয়ত কোন একটি জোছনা রজনী কাটবে
বনের মধ্যে। যেখানে গাছের পাতা চুয়ে চুয়ে
গলে পড়বে চাঁদের মায়াবী আলো।
কখনোবা কমিটির সভা ডাকা হবে গ্রামের পথে
যেখানে পথের মাঝখানটিতে পায়ে চলার ক্ষত
আর বাকী জায়গাটুকু ঢাকা পড়ে আছে ঘাসে।
সারা রাতের কর্মসূচীতে যেমন থাকবে গান,
কবিতা ও গল্প বলার ব্যাবস্থা
তেমনি একটা সময় থাকবে মন খুলে কান্নার।
কেউ বা সুখে কাঁদবে, কেউবা দুঃখে কেউবা
আবেগে। কেউ কান্নার কারন জানতে
চাইতে পারবেনা, এ হচ্ছে শর্ত।
ভোরের ঘোলা চাঁদ দেখতে দেখতে ঘরে ফিরে
যাবো সবাই নিরবে।
তারপর আর একটি জোছনা
দেখার রাতের জন্য অপেক্ষা করতে থাকা।
এ সভার চেয়ারম্যান রইলাম আমি।
যদি মরে যাই, যদি গোমতীর তীরে
কোন একটি মসজিদের পাশে আমার কবর হয়
তো চৈত্র মাসের পূর্ণিমায় তোমরা সভা ডেকো
আমার কবরের কাছে। কান্নার মুহূর্তটুকুন
পর্যন্ত থেকো আমার কাছেই। আমিও তখন
কাঁদবো, তোমাদের সাথে আবেগে কাঁদবো।
এত সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে গিয়েও
তোমাদের স্মরনে বেঁচে আছি এই আবেগে।
২১-০৯-০৭, প্রেমবাগান
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।