আমাদের চিত্রগ্রাহক, ভাই-বেরাদর অতি প্রিয় সুব্রত রিপন ক্যান্সারাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাকালীন অবস্থায় ভারতের এক হাসপাতালে গত ৮ই অক্টোবর রাতে মৃত্যবরণ করেন।
ঈদের আগের দিনও একসাথে ঘুরছি, শপিং করসি। চিকিৎসা শেষে ফিরে এলে কি করব তার প্লান করসি।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী'র প্রথমদিক্কার ভাই-বেরাদার আমাদের রিপন ভাই। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী'র প্রায় সব ভিডিও ফিকশান, বিজ্ঞাপনের কাজ করসেন তিনি।
সংখ্যায় এত যে বলে শেষ করা যাবেনা। তাঁর একটা ইচ্ছে ছিল সেলুলয়েডে কাজ করবেন। তাঁর একমাত্র এবং শেষ কাজ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ছবি "থার্ড পার্সন সিগুলার নাম্বার"। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ছবিটি তিনি দেখে যেতে পারেননি।
মনে আছে একটা বিজ্ঞাপে রিপন ভাইয়ের সাথে হেলিকপ্টারে উঠসিলাম।
সে এক অভিজ্ঞতা। হেলিকপ্টারের দুইপাশের ডরজা খুলে ফেলা হয় আর রিপন ভাইকে বাঁধা হয় দড়ি দিয়ে শক্ত করে । হেলিকপ্টার উপরে শটের সময় যখন কাঁত হয় .... নিচের দিকে তাকানো যাচ্চিলনা। ঐ অবস্থায় রিপন ভাই শট নিল উপড় হয়ে।
নিচে নেমে শান্তি।
সেই বিরল এবং ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা ভাবতেসিলাম আর সবাইকে বলতেসিলাম। রিপন ভাই শুধু চিনেমাটোগ্রাফারই না আমাদের ভাই। একসাথে থাকি, আড্ডা দেই, রাতদুপুরে চা খাই। আমাদের ক্ষুদা লাগলে রিপন ভাই, তাঁর কাসে বিস্কুট, মুড়ি, রুটি, বাদাম থাকতই। অথবা নেমে গেসি রাস্তায়, কোথাও খাব।
রিপন ভাই খুব ভালো রান্না করত। গল্প করতে করতে রান্না করে ভাত-ভাজা রান্না করে খাওয়াসিল। সেইসব বলে এখন লাভ নাই আসলে ।
তার মৃতদেহ ভারত থেকে নিয়ে আসা হলে টি,এস,সি তে নেয়া হবে সবাই শেষবারের মত দেখার সুযোগ পাবেন, এরপর তাঁকে নরসিংদী নিয়ে দাহ করা হবে।
** প্রোফাইলে দেয়া আমার ছবিটা রিপন ভাইয়ের তোলা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।