বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন আগামী ২৬ অক্টোবর পঞ্চায়েত ও ভ্যালি কমিটির এবং ২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচনঃবাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের তফসিল আবারও ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে লেবার হাউজে এই তফসিল ঘোষণা করেন শ্রম পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোঃ সাহেদুজ্জামান।
এর আগে গত ১১ আগস্ট শ্রীমঙ্গলে চা-বোর্ড মিলনায়তনে শ্রমসচিব ড. মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে প্রশাসন, শ্রম বিভাগ, চা-বাগান মালিক পক্ষ ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের বিবদমান দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের সভায় ২১ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েত ও ভ্যালি নির্বাচন এবং ২৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেও পরে তা বাতিল করা হয়।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন, ২০০৮-এর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৬ অক্টোবর পঞ্চায়েত ও ভ্যালি কমিটির এবং ২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৭ অক্টোবর ভোটার তালিকা প্রকাশ, ৯ অক্টোবর আপত্তি ও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
১২ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমা নেওয়া হবে।
শ্রম উপপরিচালক মোঃ রেজাউল হক জানান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার শ্রম পরিচালক মোঃ সাহেদুজ্জামানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছিল মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসককে।
সূত্রমতে, এই নির্বাচনে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার ১৯৮টি চাবাগানের ৮৭ হাজার ৩৬৭ জন চা-শ্রমিক প্রথমবারের মতো গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের প্রথম দিকে 'চা-শ্রমিক ইউনিয়নে গণতন্ত্র ও আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা সংগ্রাম কমিটির নেতৃত্বে চা শ্রমিকরা দুর্নীতিবাজ রাজেন্দ্র প্রসাদ বুনার্জির নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কার্যনির্বাহী পরিষদের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা, আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে আন্দোলন শুরু করেন।
তারা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব নির্বাচন দাবি করেন। আন্দোলনের একপর্যায়ে চা শ্রমিকরা তৎকালীন অগণতান্ত্রিক ও দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বকে হটিয়ে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় 'লোবার হাউস' দখল করে নেয়। চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনার নিমিত্বে এডহক কমিটিকে সরকার সত্যায়ন করলেও সেই থেকে ইউনিয়নের কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দেয়।
'বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নে(সংগ্রাম কমিটি)র প্যানেল চূড়ান্ত বলে জানা গেছে। সভাপতি পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন মাখনলাল কর্মকার।
সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থী রাম ভজন কৈরি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।