যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
আয়ান হারসা আলি। ইথিওপিয়ায় জন্ম গ্রহনকারী একজন মুসলিম-নাস্তিক। যিনি তার পিতার পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে হল্যান্ডে পালিয়ে যান। সেখানে রাজনৈকি আশ্রয় লাভ করে নারীবাদী সংগঠনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। ৯/১১ এরপর ইসলাম নিয়ে তার খোলামেলা মন্তব্যের কারনে দ্রুতই মিডিয়াতে চলে আসেন।
পরে হল্যান্ডের লিবারেল পার্টির টিকেটে এমপি নির্বাচিত হন। এমপি হিসাবে মুসলিম মেয়েদের বোরকা পড়া, প্রকাশ্যে গেজাব নিষিদ্ধ করা, ইসলামী শিক্ষা নিষিদ্ধ করা নিয়ে একাধিক বিল এনে সংসদে হল চৈ ফেলে দেন।
ইতোমধ্যে ইসলামের বিভিন্ন অসংগতি নিয়ে বই লিখেন। তার লেখা চিত্রনাট্যের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা শর্ট ফিল্ম "সাবমিশন" বিতর্কৈল ঝড় তোলে - এবং পরিচালক থিয়ো ভ্যান গগকে হত্যা করা হয়।
কিন্তু আয়ান হারসে আলির নেদারল্যান্ডের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয় সেখানকার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ - মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে রিফিউজী হিসাবে আশ্রয় পাওয়ার অপরাধে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে - এবং তাকে নেদারল্যান্ডস থেকে বহিস্কারের আদেশ দেয়।
ইতোমধ্যে আমেরিকান এক কনজারভেটিভ থিং ট্যাংক তাকে চাকুরীসহ আমেরিকায় থাকার ব্যবস্থা করে।
নেদারল্যান্ডস থেকে আমেরিকা যাওয়ার পথে টরন্টোয় অবস্থান কালে টরন্টোর স্টার পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন -
`I'm a Muslim atheist. When I see things going wrong in my community ... I have an obligation to make it known and challenge it'
[ আমি একজন মুসলিম নাস্তিক, যখন আমি আমার সমাজে কোন ভুল দেখি .. তখন আমায় দায়িত্ব এসে যায় সেইটা জানানো এবং চ্যালেঞ্জ করা]
পুরো সাক্ষৎকার পড়ুন। Click This Link
(২)
যারা বাংলাদেশী নাস্তিকদের শুধু ইসলাম নিয়ে গবেষনা করা কার জানতে চান তাদের জন্যে আয়ান হারসে আলির মম্তব্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। মুসলমান-নাস্তিক শুনতে কাঠালে আমসত্বের মতো শুনা গেলেও ৯/১১ উত্তর দুনিয়ার এর বাজার বেশ তেজী। আজ ব্লগে দেখলাম ফেল্টুস নাস্তিকদের একটা হোম ওয়ার্ক দিয়েছে আর নাস্তিকগন হাবুডুবু খাচ্ছেন তার প্রশ্নের জবাব দিতে।
আয়ান হারসা আলি "মুসলিম-নাস্তিক" বিষয়টা উনাদেরও সহায়তা করবে আশা করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।