আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সহশিক্ষা যৌনকল্পনা উস্কে দিতে পারে-

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

গল্লটা বিশুদ্ধ যৌনকল্পনারও হতে পারে কিংবা নিজস্ব অবদমিত কামনার ভীতি হতে পারে, তবে নর-নারীর একান্তে সময় কাটানো, ঘি- মোমবাতি- আগুণ আর দাহ্যতার গল্পগুলোর সাথে শপথের তেমন পার্থক্য নেই। বিপথগামী হওয়ার অনেক পথই সব সময় খোলা থাকে। বিপথগামী হওয়াটাই স্বাভাবিক, অন্তত মানসিক বিকাশ অপরিপূর্ণ হলে অবশ্যসম্ভাবী পতনকে রোধ করা কঠিন। অব্যহত মানসিক পীড়ন যখন ফোবিয়াতে পরিণত হয় তখন স্বাভাবিক সুস্থতার বিপরীতে মর্ষকামীতাই প্রধান যৌনউপজীব্য হয়ে উঠে। ভীতি এবং ফোবিয়া কাটিয়ে উঠবার বিকল্প পন্থা নিজস্ব দুর্বলতার বিপরীতে গিয়ে কঠোর একটা অবস্থান গ্রহন।

মানসিক অসুস্থতার সবগুলো পর্যায় পেরিয়ে গেলে ধর্মাচরণের ভেতরেও আদতে যৌনসুরসুরি খুঁজে পাওয়া সম্ভব। বিশাল সত্ত্বার কাছে আনত মানুষও শেষ পর্যন্ত সহপাঠী কিংবা প্রার্থনা সঙ্গীর দেহের বাঁকে মন হারিয়ে ফেলতে পারে। নিয়মতান্ত্রিক মানসিক বিকলাঙ্গতা নির্মাণের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগগুলো চমৎকার। ধর্ম মানুষকে কল্যানের দিকে নিয়ে আসে। এসো মুক্তির পথে, এসো কল্যানের পথে- তোমার মনুষ্যত্ববোধকে জাগ্রত কর, তোমরা নারীকে সম্মান করো- তোমরা পরস্পরের অধিকারের দিকে খেয়াল রাখো।

তুমি তার জন্য ঢালস্বরূপ তেমনই সেও তোমার জন্য ঢালস্বরূপ। তোমরা পরস্পরকে নিজস্ব বিবেচনায় নিয়ন্ত্রন করবে, নিজস্ব বিবেচনায় সম্মান করবে। তোমরা প্রতিবেশীর প্রতি খেয়াল রাখবে। এই গোত্রপ্রীতি কিংবা সংঘবদ্ধতার ধারণাগুলো ধর্মের মৌল শুভবোধের জায়গা। বাইয়্যাতিদের আরোপিত ভাবনার খোঁয়ারে ঢুকিয়ে দিয়ে সীমানা প্রাচীর চিহ্নিত করে দেওয়া এবং তাদের ভেতরে অহেতুক যৌনকল্পনা এবং সঙ্গমবাস্তবতার সম্ভবনা উস্কে দেওয়ায় আদতে কখনই স্বাভাবিক ভাবনার বিকাশ হয় না শপথের কর্মীদের।

মোটা দাগে পার্থিক জীবনের লালসা এবং কামতৃষ্ণায় জর্জরিত হয়ে থাকবা ভাবনা সার্বক্ষণিক- তারা সামাজিক জীবনে নারীর প্রতি কামার্ত হলেও সাম্ভাব্য কামক্রীড়া অনুষ্ঠিত হইবার সম্ভাবনা খুঁজে পায় না, তবে যদি যৌথকামলীলার অনুশীলন হতো, তবে তারা হয়তো নারী পুরুষ যেকোনো ঐক্যবদ্ধ সমাবেশেই সঙ্গমরত নারী-পূরুষের শীৎকার শুনতে পেতো। যদি কখনও পরিস্থিতি বদলায়, যদি বাংলাদেশেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যেখানে নির্দিষ্ট একটা লোকালয়ে অসংখ্য নারী পুরুষের বিস্ফোরিত চোখের সামনে যৌনলীলায় মেতে উঠতে পারতো শপথের কর্মীরা তবে শপথের কর্মীরা সে দিকেই ধেয়ে যেতো নিশ্চিত রূপেই। তারা এখনও নারীকে পূর্নাঙ্গ মানুষ হিসেবে কল্পনা করতে শিখে নি, প্রাতিষ্ঠানিক ভাবেই তাদের নারীকে অর্ধমানব অর্ধযোনীভিত্তিক একটা অস্তিত্ব হিসেবে ভাবতে শেখানো হচ্ছে। তাইসংশয়ে থাকে , কখন কোন যোনী শপথের কর্মীকে গ্রাস করে ফেলে, যোনীর অতলে তলিয়া যায় যাবতীয় প্রতিরোধ- বরং পালিয়ে পালিয়ে বাঁচি। সিঙ্গেল সেক্স এডুকেশনই ভালো।

নর-নারী একান্ত বসে কুরআন পাঠ করিলেও কুরআনের বানীর তুলনায় রমণীর কামউত্তেজক প্রশ্রয়ী সুললিত কণ্ঠও যৌনতাড়িত করে শপথ ভেঙে দিতে পারে। কাস্টোমাইজ শিশ্ন হলে ভালো হতো। ইদানিং কাস্টোমাইজ শিশ্নই প্রয়োজন , সৌদি আরবে ডিলডো গিয়েছে কিন্তু কাস্টমাইজ শিশ্ন এখনও পৌঁছায় নি, পৌঁছালে হয়তোশপথের কর্মীদের জন্য উপকার হতো। সৌদি আরব থেকে উপঢৌকন হিসেবে, ত্রান হিসেবে আসতো কাস্টমাইজ শিশ্ন। তারা বাইরে যাওয়ার সময়ে, নারীসমাবেশে যাওয়ার সময়ে শিশ্ন বাক্সে পুরে তালাচাবি দিয়ে চলে যেতে পারতেন।

যৌনকল্পনাআচ্ছন্ন মনে হয়তো কামভাব জাগতো তবে সেটা অগ্নিআহূতি হতো না। ম্যাশিন না থাকলে কি পাগলা গর্ত খুড়ে বসে থাকা যায়? আঙ্গুল আর থাবা দিয়ে পাগলা কতটুকু গভীর যেতে পারবি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।