প্রশ্ন : একজন ভালো ছাত্রের কি কি গুণাবলী থাকা উচিত?
উত্তর : একজন ভালো ছাত্রের কতগুলো গুণাবলী অবশ্যই থাকতে হবে। যেমন শৃঙ্খলাবোধ, ক্লাসের প্রতি মনোযোগ, সময় সচেতন, হাতের লেখা সুন্দর, রুটিন মাফিক পড়াশোনা, গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, সততা, পাঠ প্রস্তুতি, ধর্মভক্তি, শরীরচর্চা ও জ্ঞান সাধনা ইত্যাদি একজন শিক্ষার্থীর ভালো ছাত্র হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য অপরিহার্য।
প্রশ্ন : ভালো ফলাফলের জন্য পড়াশোনার নির্দিষ্ট রুটিনের গুরুত্ব কতটা? এ ক্ষেত্রে গৃহশিক্ষক বা কোচিংয়ের প্রয়োজন আছে কি?
উত্তর : ভালো ফলাফলের জন্য রুটিনমাফিক দৈনিক ৫-৬ ঘণ্টা অবশ্যই পড়াশোনা করতে হবে। নিয়মিত ক্লাশে মনোযোগী থাকলে কোচিংয়ের প্রয়োজন নেই। যে সব ছাত্রের শ্রেণীতে পাঠদান বুঝতে অক্ষমতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে গৃহশিক্ষক ও কোচিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
প্রশ্ন : সহশিক্ষা কার্যক্রম পড়াশোনায় কি ধরনের প্রভাব ফেলে?
উত্তর : মূল পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের গুণাবলী তৈরিতে সহায়তা করে। এ ছাড়া সহশিক্ষায় সংশ্লিষ্টতা শিক্ষার্থীদের সামাজিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই সহশিক্ষা কার্যক্রম মূল পড়ালেখার পাশাপাশি অপরিহার্য।
প্রশ্ন : তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষ পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিভাবে সহায়ক হতে পারে?
উত্তর : তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে আসতে হবে।
যেহেতু ডিজিটাল পদ্ধতি সর্বত্র ব্যবহার হচ্ছে। এজন্য শিক্ষার্থীদের আপডেট করতেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার জানতে হবে। নইলে তারা পিছিয়ে পড়বে।
প্রশ্ন : সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাসের হার বেড়েছে। শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে কি?
উত্তর : সৃজনশীল পদ্ধতিতে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
এজন্য পাসের হার বৃদ্ধি পেলে ক্ষতির কিছুই নেই। বরং সৃজনশীল পদ্ধতি শিক্ষার্থীকে আরও মেধাবী করে তোলে।
প্রশ্ন : দেশের শিক্ষার্থীরা সাধারণভাবে ইংরেজিতে দুর্বল। তা কাটাতে করণীয় কী?
উত্তর : যে সব শিক্ষার্থী ইংরেজিতে দুর্বল তাদের মনোবল ও সাহস বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিকভাবে পাঠ্যতালিকা সহজ ও সরলভাবে প্রণয়ন করা জরুরি। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার সিলেবাস এবং মাধ্যমিক স্তরের সিলেবাসের মধ্যে অবশ্যই সমন্বয় করা উচিত।
এতে ইংরেজিতে দুর্বলতা অনেকাংশে কমে যাবে।
প্রশ্ন : আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের ভিত্তি কি?
উত্তর : আমার প্রতিষ্ঠানের সাফল্য শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিতি এবং তাদের মনোযোগিতার ওপর নির্ভরশীল। তাছাড়া নিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণ এবং যথাযথ পাঠদানও সাফল্যের পেছনে ভূমিকা রাখছে। রুটিনমাফিক ক্লাস নিশ্চিত করা ও প্রতিদিন অনিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকা করে অভিভাবকদের অবহিতকরণ এবং এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি সাপেক্ষে শ্রেণী কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।