দাগ খতিয়ান নাইতো আমার/ঘুরি আতাইর পাতাইর...
বাংলাদেশের এলিট বাহিনী র্যাবের দুর্বল ওয়েব সাইট হ্যাক করে দেশ-বিদেশে আলোচনায় চলে আসে টিনেজ বয় শাহী মীর্জা। সোমবার দুপুরে এই জিনিয়াস বয় টানা ২২ দিন হাজত খেটে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। গত ৭ সেপ্টেম্বর তার সহপাঠী চার বন্ধুসহ তাকে মীরপুর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। তার প্রকৃত নাম ও মেইল এড্রেসের সূত্র ধরেই তাকে আটাক করতে সম হয় র্যাব।
শাহী মীর্জাকে মুক্তি দিতে শুরু থেকেই বিভিন্ন পর্যায় থেকে জোড়ালো দাবি উঠে।
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া তাকে নিয়ে পজেটিভ প্রচারণা চালায়। যার ফলে তাকে আইটি সেক্টরে কাজে লাগানো যায় কিনা তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ পর্যায় থেকেও দাবি উঠে।
সাহসী বালক শাহী মীর্জা গ্রেফতারে আমরা আমাদের জাতীয় প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা কত দুর্বল তা প্রত্য করেছি। র্যাবের ঝানু অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদে সে অকপটে র্যাবের ব্যর্থতার কথা বলেছে এবং মিডিয়ায় তার প্রতিফলন ঘটেছে। শাহী মীর্জা জানিয়েছিল খেলার ছলেই সে এসব করেছে, এজন্য সে লজ্জিত।
সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতেই সে মূল ওয়েব পেইজের প্রথম ও শেষ পৃষ্টার তথ্য না মুছে শুধু ওলটপালট করতো তাদের সচেতন করতে। আর এ জন্য সে নাম ও মেইলে ছদ্মনাম ব্যবহার করতোনা। তার এই বক্তব্য দেশপ্রেমিক সব মানুষেরই মতের প্রতিফলন। কারণ সেও শংকিত ছিল জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে।
শাহী মীর্জা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে প্রযুক্তির ক্ষেেত্র আমাদের এলিট বাহিনী কত পিছিয়ে।
ক্রসফায়ারে তারা বলিয়ান হলেও নিজেদের প্রযুক্তিগত নিরাপত্তায় তারা ব্যর্থ।
জয়তু শাহী মীর্জা। তোমার মেধার মূল্যায়ন হোক। আমরা তোমার আশু স্থায়ী মুক্তি কামনা করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।