আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আশ্বিনের বৃষ্টি ও চঞ্চল মেঘমালার গল্প...

আমি আজ এসেছি এইখানে..মানব হয়ে

আশ্বিন এসে গেলো। শিশির পড়ছে আকাশ থেকে কিংবা রেণু বৃষ্টি। প্রবল হাওয়ার রাত। হু হু করে ঝাপটে ঝাপটে বয়, সেই মন কেমন করা দীর্ঘতম হাওয়া। মনে হয় এই হাওয়া অবধিবিহীন বইতে থাকবে; শেষ হবেনা।

বাগানের মাথায় ধুলোর ধূসরতা। ওগুলো কি মেঘ? মেঘই সম্ভবত। ছেঁড়া মেঘ চাঁদের মুখ ছুঁয়ে ছুঁয়ে বয়ে যাচ্ছে। ছড়িয়ে পড়ছে। ক্রমশঃ উপরে ঠেলে উঠছে।

বৃষ্টি হবে কিনা বলা যায়না। কেমন ভারী সোঁদা গন্ধ মেশানো হাওয়া বাগান ছুঁয়ে, গায়ে সহসা ঝাপটা দিয়ে চলে যায়। শরীর বলে উঠে বৃষ্টি আসছে। অজস্র মুকুল আর ফল নষ্ট হবে। শরীরে মাথায় হাতে বৃষ্টির ভারী ফোঁটা পড়লো বেশ কয়েকটি।

হাওয়া আরো ঘন হয়। মন কোথায় হারিয়ে যেতে থাকে। এই সময় মানুষের অদ্ভূত জন্ম ও জীবনের জন্য, মন খারাপ করা অস্ফূট বেদনার কথা মনে হয়। কি সেই বেদনা বোঝা যায় না। কি করতে হোতো; হয় নি।

কি যেনো করতে হবে; অথচ হবেনা। কি যেনো কাহিনী ছিলো, শুরু হয়েছিলো; থেমে গেছে। সব ভুল হয়ে গেছে। কোথায় সে আলোকিত নগরী, মাটি ফুঁড়ে উঠতে চেয়েছিলো কোনো এক উৎসবের রাতে। তারপর আকাশে সেই কল্পনার বাড়ী-ঘর, আতশ বাজীর মতন মিলিয়ে গেলো।

ঝড় এলো। বৃষ্টি এলো। শরীর উম্মুখ হয়ে আছে, শীতল পানির স্পর্শ লাভের জন্য। শুকনো দাবদাহে জ্বলন্ত, তৃষ্ণার্ত দেহ বৃষ্টি ভালোবাসে। যেমন ভালোবাসে মাটি।

মানুষের দেহ নাকি মাটি থেকেই তৈরী হয়েছে। তীব্র ঠান্ডা ফোঁটা গায়ে হুল বেঁধাচ্ছে। বৃষ্টি স্নাত শরীর থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাচ্ছে, এই জন্ম ও জীবনের সব ক্ষত চিহ্ন। সব যন্ত্রণা। তারপর আকাশ শান্ত হয়ে গেলো।

বৃষ্টি আমাকে এক আশ্চর্য ভালো লাগার অনুভূতিতে সিক্ত করে, স্নাত আকাশে অজস্র নক্ষত্র ফুটিয়ে দিলো। আমি সেই নক্ষত্র উজ্জ্বল গভীর কালো আকাশের পানে, স্তব্ধ হয়ে চেয়ে রইলাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।