আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএসএফের রায়ে অসন্তোষ ভারতের মানবাধিকার সংগঠন গুলির

ফেলানী খাতুন হত্যাকান্ডে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর আদালতে বিচারের রায় নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মানবাধিকার সংগঠন 'জন সংহতি কেন্দ্র'।

আজ শনিবার সংগঠনের ডিরেক্টর অনুরাধা তালোয়ার জানান, অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ান অমিয় ঘোষের ক্ষেত্রে বিএসএফের 'আভ্যন্তরীন তদন্ত' হওয়া উচিত নয়, বিচার প্রক্রিয়াতে স্বচ্ছতা আনতে পুলিশকে নিযুক্ত করে কিংবা বাংলাদেশ সরকারকে এর মধ্যে অন্তভূর্ক্তি করে, তাদেরকে পাশে নিয়ে এই তদন্ত করা উচিত ছিল। যাতে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের কাছেই বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আস্থা জন্মায়। কিন্তু এই বিচার প্রক্রিয়া যতবেশি গোপনভাবে করা হবে রায় ততই অপরিস্কার হবে।

তাঁর মতে 'তদন্ত' কিংবা 'কোর্ট মার্শাল' যাই হোক না কেন, সেখানে অনেক বেশি স্বচ্ছতা থাকা উচিত।

তাঁর অভিযোগ নিরাপত্তার নামে সেনাবাহীনির জওয়ানদের বিভিন্ন ভাবে আড়াল করার একটা প্রচেষ্টা করা হয়, তাদের তথ্যগুলি লুকিয়ে রাখা হয়। স্বভাবতই সেই বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকে না।

অন্য একটি প্রশ্নে তিনি বলেন, ভারতে এসে নিজের মেয়ের বিচার প্রক্রিয়া করতে চাইলে সেক্ষেত্রে নিহত কিশোরীর বাবা নুরুল ইসলাম সহ তাঁর পরিবারকে সব রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। ভারতে থেকে মামলা লড়ার জন্য ফেলানীর বাবাকে আইনি লড়াইয়ে সহায়তা করা থেকে শুরু করে সমস্ত সাহায্য করা হবে।

বিশষ্টি এই মানবাধিকার কর্মীর মতে সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে অত্যাচারিত হওয়ার খবর নতুন নয়।

সীমান্ত সংলগ্ন সমস্ত জায়গাতে প্রতিনিয়ত এধরনের ঘটনা ঘটে। ভারত এবং বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিএসএফের দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, নিরাপত্তার নামে বিএসএফ অত্যাচারী হয়ে উঠছে কিনা তা দেখার সময় এসেছে। একইসঙ্গে এই ধরনের অন্যায়ের জন্য বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তোলেন অনুরাধা তালোয়ার।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.