আমার কল্পনার রঙে সাজানো ভালবাসার ছড়া-ছড়ি
ভেবেছিলাম ভালবাসার ছড়া ছাড়া ব্লগে এ আর কিছুই লিখবনা। ভেবেছিলাম ছড়ার ছন্দ্যে মানুষকে এই যান্ত্রিক জীবনে কিছুটা আনন্দ দিব। কিন্ত অনেক ঘটনা আছে যা দেখে ছড়ার ছন্দ্যে হারিয়ে যায়। এভাবে চুপ করে বসে থাকা যায়না। আজ অন্য কিছু লিখতে বাধ্য হলাম।
চারদিকে সব দেখে শুনে থমকে দাঁড়াই।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌণ হয়রানির অভিযোগ থেকে শিক্ষক ছানোয়ার হোসেনের রেহাই পাওয়া নিয়ে- একটা মেয়ে হিসবে আমার চেয়ে ওই ছাত্রীর কস্ট কেইবা বেশি বুঝবে। আমি মেয়ে আমি জানি, কতটা অপারগ হয়ে ওই মেয়েটি তার মুখ খুলেছে। সহজে কোন মেয়ে নিজের গায়ে কাদা ছুড়তে চায় না। কাদা ঘাটাঘাটীর এই খেলায় আমাদের সমাজে মেয়ে রা সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার পুরো জীবন টাই কাদায় লেপ্টে যায়।
একটি মেয়ে, যে তার জীবন শুরু করেছে মাত্র, এখন তাকে চলতে হবে জীবনের অনেক টা পথ- কেনইবা সে ওই অপবাদ নিজের গায়ে নেবে। জীবনে আর কোন দিন ওই মেয়ে হয়তো স্বস্তির নিঃস্বাস নিতেও পারবেনা। সে কোথাও যাবার আগেই পৌঁছে যাবে তার কাহিনী। সবার আড়চোখের চাহনি তাকে বার বার দগ্ধ করবে। এসব কথা তো আমাদের সবারই জানা।
এত কিছু জেনেও কেন একটা মেয়ে মিথ্যে অভিযোগ করবে, বেঁচে থেকেও অসহনীয় জীবন যাপন করতে হবে তাকে। তবু মেয়েটি প্রতিবাদি হইয়েছিল হয়তো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করার চেয়ে ওই অসহনীয় জীবনটাকেই বেছে নিয়েছিল- ভেবেছিল তবুও এর প্রতিকার হক অন্তত তার জীবনের মুল্যে। হয়তো ছানোয়ার বদমায়েশের এই জানোয়ার চরিত্র সবাই ভুলে যেতে পারেন, কিন্ত ওই মেয়েটির নির্যাতনের মানবিক কস্ট, তার গ্লানি, কালিমা ওই জানোয়ার কে সায়েস্তা করলেও মিটবেনা। হইত কিছুটা মানষিক শান্তি হত এই ভেবে যে ভবিষ্যতে আর কোন জানোয়ার এভাবে কাউকে হয়রানি করবেনা। কিন্তু এর বিচার চাওয়া মানে যে আরেক হয়রানি।
নিজেকে নির্লজ্জের মত প্রমাণ করতে হয় কি ভাবে তার হয়রানি হয়েছে, সে যে কতটা লজ্জার তা কেইবা বুঝবে।
এরকম জানোয়াররা যখন ছাড়া পেয়ে যাবে তখন বাকি জানোয়াররা খুবই উৎসাহে, খুবি সুচতুর ভাবে আদিম খেলায় মেতে উঠবে, এবং তার শিকার হব আমি, আমার বোনেরা ,আমাদের মেয়েরা। যারা এই ষড়যন্ত্রে শামিল তাদের কে বলছি- আপনার ঘরেও রয়েছে অরকম একটি মেয়ে বা বোন। আজকে তাদের কিছু হলে আপনি কি প্রমান খুঁজতেন? অবিশ্বাস করতেন আপনার বোন কে? তবে আজ এই ভিন্নতা কেন বিশ্বাসে বা বিচারে? তবে ত মেয়েরা আত্নহত্যার পথই বেছে নেবে প্রতিবাদী হবার পরিবর্তে।
আসুন আমরা সবাই বন্ধু কৌশিকের সাথে হাত মিলিয়ে বলি-
একজন বিশেষ ছানোয়ারের বিরুদ্ধে নয়, যৌন নিপীড়ক সব জানোয়ারদের বিরুদ্ধে দাড়াই , প্রণয়ন করি একটা স্থায়ী নীতিমালা যা সেক্টরওয়াইজ নিপীড়ণের চিত্রকে স্পেসিফিক্যালী চিন্থিত করে শাস্তিবিধান করতে সক্ষম হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।