আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সমুদ্রে শামুক পাওয়া গেল হাঁটুতে!

আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি

বালক সমুদ্রে স্নানে গিয়েছিলো নিছক আনন্দের জন্যেই। আনন্দ তো মিললই সাথে মিললো বুকে ভর করে হেঁটে বেড়ানো এক অদ্ভুত প্রাণী! যা বাসা করেছিল বালকের হাঁটুতে! সমুদ্রে গেলে আমরা সাধারণত ফেরার সময় সুভ্যেনির নয়ে আসতে ভালোবাসি। বেশিরভাগ সময়েই তা হয় শামুক, ঝিনুক, অথবা প্রবালের খণ্ডবিশেষ। কিন্তু এমন যদি হয়, যে দেহের ভেতরেই করে নিয়ে এলাম সমুদ্র স্নানের জ্যান্ত স্মরণিকা! এমনটাই ঘটেছে, আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায়, পল ফ্র্যাংকলিন নামে চার বছরের এক শিশুর সঙ্গে। ছুটি কাটাতে পারিবারের সঙ্গে ক্যাম্পিংয়ে সমুদ্রের তীরে বেড়াতে যায় সে।

পলের চার বছরের জীবনে বেশ স্মরণীয়ই ছিলো সেই ভ্রমণ, কেবল একটা এবড়োখেবড়ো পাথরের ওপর পড়ে যাওয়ার ঘটনাটা ছাড়া। বেড়ানো শেষ করে বাড়ি ফেরার পরে পলের ডান পায়ে বেশ ব্যাথা হতে লাগলো। কয়েকদিন পরেই ডান পাটি ফুলতে শুরু করলো। স্বভাবতই শিশুর এই অস্বাভাবিক স্ফীতিতে উদ্বিগ্ন হলেন মা। প্রথমেই ভাবলেন, পাথরের অপর পড়ে যাওয়ার কারণেই এমনটা হয়েছে।

ডাক্তারের কাছে নেয়ার পর প্রথমে তেমনটাই ধরে নিয়েছিলেন ডাক্তারও। কিন্তু রোগ যেটা নয়, সেটার চিকিৎসা দিলে আরোগ্য মিলবে কি করে! তাই পথ্যের নিয়মিত প্রয়োগের পরেও পা ফুলতে লাগলো দিনের পর দিন। হাঁটুর খানিকটা নিচে একটা ক্ষতস্থান ফুলে যখন একটা বড়সড় কমলালেবুর আকৃতি নিয়েছে, তখন পলের মা র‍্যাচেল তা চেপে ধরে ভেতরের দূষিত তরলটা বের করে ক্ষতটাকে একটু ছোট করার চেষ্টা করলেন। তারপরেই সেখান থেকে বেরিয়ে এলো কালো রঙের এক শামুক ছানা! হাঁটু থেকে গড়িয়ে পড়ে দিব্যি হেঁটে বেড়াতে লাগলো মেঝেতে। পলের বাবা মনে করছেন, পাথরের মত যে জিনিসটায় খেলার সময় তার ছেলে পড়ে যায়, সেটা সম্ভবত কালো শামুকের বাসা ছিলো।

সেখানের একটা ডিমই ঘটনাক্রমে পলের হাঁটুতে ঢুকে পড়ে। সেই ডিম ফুটে ছানাও বের হয় এই হাঁটুতেই। শেষ খবর অনুযায়ী, পল এই শামুকের নাম দিয়েছে টার্বো। আর টার্বো বর্তমানে পলদের বাসার অ্যাকুয়ারিয়ামে ডরি নামের একটি মাছের সাথে বাস করছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।