আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইন্ডিয়া ভ্রমণ

যদি পারতাম দুঃখগুলো নিলামে বিক্রি করে দিতাম

বেশ কিছুদিন পর আবার ইন্ডিয়া ভ্রমণে গিয়েছিলাম। এবারের ভ্রমণটা বেশ লম্বা ছিল। কলকাতা, আজমের শরীফ, জয়পুর, আগড়া এবং দিল্লী হয়ে আবার কলকাতা আসি। আমার দীর্ঘ ৯ দিন ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ ঘুরে বেড়ানোর বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরবো আমার এই ভ্রমণ কাহিনীতে। ঢাকা টু আজমের শরীফ ঃ সাধারণত কলকাতা যাওয়া আসার সময় খুব একটা সরাসরি বাস ব্যবহার করি না।

ভেঙ্গে ভেঙ্গে কলকাতা যাওয়া আসা করি। কিন্তু রমজান মাসের জন্য এবার শ্যামলী পরিবহনের ঢাকা কলকাতা বাসের টিকেট কাটি। কমলাপুর বিআরটিসি বাস ডিপো থেকে বাস ছাড়ার কথা ছিল রাত ১০টায় সেই মোতাবেক শ্যামলী বাস কাউন্টারে পৌছাই। কিন্তু কাউন্টারে যাওয়ার পর জানানো হল বাস আসতে দেরি হবে তাই আরামবাগ কাউন্টার থেকে বাসে উঠতে হবে। কি আর করা চলে এলাম আরামবাগ কাউন্টারে।

১০টার বাস ছাড়ল রাত পোনে ১২টায়। আরিচা ঘাটে সাড়ে তিন ঘন্টা জ্যামে আটকা পড়ার পর দুপুর সাড়ে বারোটায় পৌছলাম বেনাপোল বর্ডারে। এপার-ওপারের ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কলকাতার উদ্দেশ্যে বাস ছাড়ল পোনে ২টায়। সেই বাস কলকাতায় পৌছতে পৌছতে রাত হল সাড়ে ৮টা। এর মধ্যে বেনাপোলে বর্ডারে আরো তিনজনের সাথে পরিচয় হল যারা আজমেরী শরীফ যাবে।

তাদের কলকাতা আজমেরী শরীফ এর টিকেট আগেই কাটা ছিল, তাই তাদের সাথে যেথে হলে আমাকে শিয়ালদহ থেকে আজমের শরীফের টিকেট কাটতে হবে। যাই হোক যেভাবেই হউক আজমের এক্সপ্রেস এর একটা স্লীপার ক্লাসের টিকেট ম্যানেজ করলাম (অবশ্যই ১০০ রুপি বেশী দিয়ে)। আজমের এক্সপ্রেস শিয়ালদহ ষ্টেশন ছাড়ল রাত পোনে ১২টায়। কলকাতা আজমের ২৭ ঘন্টার জার্নি পৌছলাম ৩০ ঘন্টায়। ৮ আগষ্ট রাতে রওয়ানা হয়ে ১০ আগষ্ট সকাল বেলা পৌছলাম আজমের শরীফে।

ষ্টেশনে নেমে ৫০ রুপিতে অটো ভাড়া করে গেলাম দরগা গেইটে। আমার সাথের এক লোক মাজারের এক খাদেম এর ফোন নাম্বার নিয়ে এসেছিল তার বাসায় থাকার জন্য। ফোন করে ঐ খাদেমের বাসায় গেলাম। কিন্তু বাসার কন্ডিশন দেখে আমার পছন্দ হল না। তাই ফিরে এলাম মাজার গেটে।

এখানে অনেক হোটেল আছে। দালাল ডিঙ্গিয়ে অনেক দর কষাকষি করে মাজার গেটের সামনেই হোটেল শাহানশাতে ১০০০ হাজার রুপি করে ৪ জনের জন্য ২টা ডাবল রুম নিলাম। (চলবে) ইন্ডিয়া ভ্রমণ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.