আল বিদা
একদা আমাদের প্রিয় ব্লগার এস্কিমো বাংলা ভাষায় ইংরেজীর ব্যবহার নিয়ে লিখেছিল। তার মতে যারা এমন করে তারা 'বাটপার'। অনেকেই তার মতের সাথে একমত হয়েছিল। তাকে ধন্যবাদ এমন পোস্ট দেয়ার জন্য। সে অর্থে আমিও একজন 'বাটপার'।
বাংলায় বহু আগে থেকেই স্বীকৃতভাবে ইংরেজী, আরবী, ফার্সী, উর্দূ ভাষার শব্দ এসেছে। একথা ব্যাকরন বইতে বহুবার পড়েছি। আমরা অনেকেই বাংলায় ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করি। এটা যে কোন লোক দেখানো তা না। বরং কথা বলার সময় সহজেই এ শব্দগুলো চলে আসে।
আর প্রায় সবাইই এই সাধারন ইংরেজীগুলো বুঝে। কিছু শব্দের উদাহরন দেই - thank you, welcome, mobile, comfort, feel, continuous, indicate, uneasy, stupid, salary, difference . এই শব্দগুলোর ব্যবহার এখন সহজাত হয়ে গেছে। আর যে দুজনের মধ্যে কথা হয় তারা নিজেদের প্রাকটিসের জন্যও পুরো ইংরেজীতে কথা বলে।
তবে এস্কিমো হয়ত বাড়াবাড়ি রকমের ইংরেজী মিশেনো বা বাংলাকে ইংরেজীর মত করে উচ্চারনের কথা বলেছে। আমার এক আত্নীয় নতুন আলুকে 'New আলু' বলে।
এস্কিমো হয়ত এটাকেই নির্দেশিত করেছে।
আমাদের দেহের কিছু অঙ্গ আছে। আবার বিভিন্ন রোগ আছে যা ইংরেজীতে বললে কম অস্বস্তি লাগে। আবার কথা বলার সময় কিছু শব্দের ইংরেজী ব্যবহার অনেক ভাল শোনায়। অফিসের পদ ইংরেজীতে বললেই ভাল শোনায়।
আমরা বহুকাল বাংলা ভাষার ভালবাসায় বা ইংরেজী বলতে না পারার ব্যর্থতায় ইংরেজীকে দূরে ঠেলেছি। এস্কিমোও ইংরেজী বলার বিপক্ষে কিছু বলে নাই। সে বিদেশে থাকায় (হয়ত) বাংলার প্রতি তার মমতা অনেক বেড়েছে।
আমরা মিশরের নাইল কে নীলনদ বলে সমস্যাই করে ফেলেছি। গ্রহদের নামও বাংলা করাটা আমার অন্তত ভাল লাগে না।
আশা করি আমি কি বলতে চেয়েছি তা বুঝতে পেরেছেন।
(আমি এই লেখায় সচেতনভাবে বাংলা শব্দ ববহার করেছি। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।