আমি সত্য জানতে চাই
গত দশকে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় সেলফোন ব্যবহারের হার বিদ্যুত্গতিতে বেড়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হেয়েছে প্রযুক্তির কল্যাণে সেলফোনের দাম এখন একেবারেই কমে গেছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও অন্যান্য কারণে গ্রাহকরা ল্যান্ডফোন ব্যবহার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
More people have access to cellphones than toilets
প্রতিবেদনে জানানো হয়, বর্তমানে ১০ পাউন্ড কিংবা তার কমেও সেলফোন কেনা সম্ভব। বিশ্বের ৭০০ কোটি মানুষের মধ্যে ৬০০ কোটির হাতেই সেলফোন রয়েছে।
আর প্রতিযোগিতার কারণে কলরেট নেমে এসেছে মিনিটপ্রতি ১০ পেন্স থেকে ২ পেন্সে। সেই সঙ্গে প্রতিটি শহর ও নগরে হ্যান্ডসেট বিক্রি ও সারানোর দোকান রয়েছে।
তাতে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারলেও যোগাযোগ রক্ষায় সমর্থ হচ্ছে গ্রাহকরা। খবরঃ ডেইলি মেইলের।
ভারতে বর্তমানে প্রায় ৮৯ কোটি ৩০ লাখ সেলফোন গ্রাহক রয়েছে; কিন্তু দেশটিতে ৬২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহারের ক্ষমতা রাখে না।
ইন্দোনেশিয়ায় ২৫ কোটি মানুষ সেলফোন ব্যবহার করে; কিন্তু সেখানে ৬ কোটি ৩০ লাখ লোক উপযুক্ত পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
পাকিস্তানের ৪ কোটি লোক এখনো উন্মুক্ত জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে; কিন্তু দেশটির সেলফোন গ্রাহকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১১ কোটি ১০ লাখের ঘর।
আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার ৩ কোটি ৮০ লাখ লোক উন্মুক্ত পায়খানা ব্যবহার করে অভ্যস্ত। দেশটিতে বর্তমানে ১ কোটি ৪০ লাখ সেলফোন গ্রাহক রয়েছে।
নাইজেরিয়ার ৩ কোটি ৪০ লাখের উপযুক্ত পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা নেই।
কিন্তু সাড়ে ৯ কোটি লোকের হাতে সেলফোন আছে।
নেপালের ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষের জন্য কোনো ধরনের পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধাই নেই। কিন্তু দেশটিতে সেলফোন গ্রাহকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১ কোটি ৩০ লাখের ঘর।
নতুন অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীনে ৯৮ কোটি ৬০ লাখ সেলফোন গ্রাহক আছে। কিন্তু দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করে।
একই অবস্থা নাইজার, সুদান, বুর্কিনা ফাসোসহ আরো কয়েকটি দেশের; যেখানে সেলফোনের মাধ্যমে আধুনিক যোগাযোগসেবার স্বাদ নিলেও নাগরিকরা এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিত করতে পারেনি।
বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এদেশে দিনে দিনে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও এখানে এখনো নিশ্চিত করা যায়নি সকলের জন্য পয়ঃনিস্কাশন সুবিধা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।