আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাজে টুথপেস্ট দিয়ে মেজে দাতের একি অবস্থা!!

"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার

মাঝে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম বাচ্চারা এখন আর আমাকে দেখতে পারে না। দিন বদলে গেছে এখন বাচ্চারা আবার আমাকে আগের মত না তার থেকেও বেশি দেখতে পারছে। আমার বোনের বাচ্চা তো তার মা খালার পার্থক্যই করে না। এতে আমার লাভ তো হয়ই না সারাদিন বাচ্চা সামলাচ্ছি। সকাল হতেই আমার ঘরে নিয়ে আসি তারপর সারাদিন সামলাই।

আমার পাশের বাসার এক আপুর বাচ্চা আমাদের বাসায় এসে আমাকে দেখেই একটা প্রাণ জুড়ানো হাসি দিয়ে কোলে ওঠার জন্য ভঙ্গি করবে। তখন আমিও আরো বেশি দাত বের করে তাকে কোলে নিই। একে নিতে সমস্যা নাই কিন্তু এ কোলে উঠে আনন্দের আতিশয্যে কোলের উপর লাফাতে থাকবে যার কারণে আমার বাতের ব্যথায় অসুস্থ পা টা বড়ই কষ্ট পায়। কিছুদিন আগে এক কাজিনের বাচ্চাকে কিছুক্ষণ বাইরে ঘুরানোর পর সে তার মায়ের কাছে যেতে অস্মীকৃতি জানিয়েছিল যখন ছোট ছিলাম তখন বুঝতাম না কোন কথাটা কোথায় বলা উচিত না ফলশ্রুতিতে বড়রা বলতো কুটনামি শিখেছি ছোটবেলায় কেউ ফোন করলে তার নাম পরিচয় জিজ্ঞেস করতে ভুলে যেতাম যার জন্য কত অপমান সহ্য করেছি আমাদের সাথে ২টা ছেলে ছিল একটা পলাশ আরেকটা শুভ। পলাশ ক্লাস এইটে আর শুভ নাইনে চলে গেল তাদের বাবার বদলির কারণে।

কিন্তু তারা নিয়ে গেল একবুক ভালবাসা। পলাশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর শুভ রাজশাহী মেডিকেলে পড়ে এখন। এই ২জন তাদের ভালবাসার কথা তখন জানাইতে পারে নাই কিন্তু আজ প্রায় ১০/১১ বছর পর লোক মারফত খবর দিয়ে জানানোর চেষ্টা করছে। যদিও এর মধ্যে একজন অলরেডি অন্য একজনকে বিয়ের জন্য অপেক্ষা করছে আর আরেকজনের সম্ভাবনা নাই বলেই মনে হচ্ছে। বেচারা ছেলে ২টা!!কচিকালের ছ্যাবলা প্রেম ভুলতে পারে নাই।

স্কুলের সবার খবর শুনতে ভালই লাগে তবে এরকম দুঃখজনক কাহিনী সত্যিই মনখারাপ করে দেয়। ছবি তোলার সময় আমি পারতপক্ষে হাসি বন্ধ রাখি। দাতে এত ঝিলিক দেয় পরে নিজেরই লজ্জা লাগে । সাতক্ষীরাতে পিকনিকে গেছিলাম আমরা ডিসিপ্লিন থেকে। কিছু ছবিও তুলেছিলাম, আমি একটু অসাবধানতাবশত দাত বের করে ফেলেছিলাম একটা ছবিতে।

সেই ছবিটাতে আমি আর বান্ধবী ২জনই দাত বের করে হাসছিলাম। ওদের বাসায় ছবিগুলো ওর আম্মুর সামনে ছবিগুলো দেখছিলাম আমরা। আন্টি ওকে ঝাড়ি দিল, এ্যাই মামনি তুমি দাত ব্রাশ করো নি সেদিন!!? বেচারি কিছুই বলল না তার আম্মুকে শুধু আমাকে চোখ রাঙিয়ে বলল, কে তোমাকে বলেছে দাত বের করতে!! আমার কেন জানি মনে হয় আমি একটা বেআক্কেল কিন্তু আমার ২নম্বর আক্কেল দাত উঠছে এবং এইটা নিয়ে আমি বেশ কষ্টে আছি। আক্কেল হতে যদি এত কষ্টই পাওয়া লাগে তার থেকে আক্কেলের দরকার নেই

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।