আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অর্থনৈতিক বিরহ

আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়

বিষয়: অর্থনৈতিক বিরহ সময়: জীবনকাল (পরকালের জন্য অগ্রীম সময় দেওয়া হতে পারে) ১.অর্থনৈতিক বিরহ কাকে বলে উহা কত প্রকার ও কি কি উদাহরন সহ বর্ণনা কর। ২.অর্থনৈতিক বিরহের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর। ৩.অর্থনৈতিক বিরহ ও স্বাভাবিক বিরহের পার্থক্য কি? ৪.বিশিষ্ট লোকদের মত অনুষায়ী অর্থনৈতিক বিরহ কি তা উদাহরন সহ আলোচনা কর। ** প্রত্যকটি প্রশ্ন সম পরিমান ফল বহন করে। সেই ছুঠু বেলা থেইকা নানা ধরনের পরীক্ষা দিতে দিতে আমার অবস্থা কাহিল প্রায়।

ভর্তি পরীক্ষা, ক্লাস পরীক্ষা, মটেল টেস্ট, এক ক্লাসে তিন তিন বার পরীক্ষা। আরো কতো। এইসব পরীক্ষা দিতে দিতে যকন আমি জীবনের গতি হারাই ফেলতেছিলাম তকন কুথু থেইকা যেনো একটা চাকরি আইসা প্রায় উইরা আইসা জুইরা বসলো। কিন্তু এর পর কি হইলো হেইডা আপনাগো বলার আগে আজ আমি আরেকটা পরীক্ষা দিবো। অর্থনৈতিক বিরহ।

এই পরীক্ষাতে আপনে পাশ করলে জীবনের এই বিরহ কাটপে বলে আমার বিশ্বাস। আর একন এই অর্থনৈতিক বিরহ পরীক্ষাটা কম্বলছারী করা হইছে। উত্তর দিবার লাগছি ১ নং প্রশ্নের * অর্থনৈতিক বিরহ আসলে এমন একটা বিরহ যা উপর থেকে ততটা বুঝা না গেলেও ভিতরে ভিতরে মানুষকে ভিজা কাপরের মতো উলটাইয়া পালটাইয়া আছরাইয়া চেহারা ভছকাইয়া ফালায়। এই বিরহে মানুষের চরিত্র টিক থাকে না, চুরি ডাকাতি বাড়ে। অর্থনৈতিক বিরহ আসলে কুনু প্রকার নাই।

তবে বিশেষ ভাবে জরিপ করে আপাতত তিনটি প্রকার পাওয়া গেছে। ১. চারিত্রিক বিরহ ২. সামাজিক বিরহ ৩. মানসিক বিরহ উদাহরন: ১. চারিত্রিক বিরহ: এতে সবার চরিত্রে বিশেষ পরিবর্তন দেকা যায়। যেমন- ভদ্দ লুকটিও চুরি ডাকাতি থেকে শুরু করে কাউরো বাসায় গেলে ফ্রিজ থেকে বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য চুরি করে, এতে সহজেই বুঝা যায় চারিত্রিক বিরহটা কিভাবে অর্থনৈতিক বিরহের সাথে জড়িত। ২. সামাজিক বিরহ: এতে সামাজিক ভাবে বিশেষ পরিবর্তন আসে। যেমন- কুনু সামাজিকতা থাকে না, কেউ কারো বাসায় গেলে খেয়ে এসেছেন নাকি যেয়ে খাবেন এই ধরনের কথা বের হয়ে আসে।

৩. মানসিক বিরহ: মানসিক ভাবে সবাই ভেঙ্গে পড়ে। মাথার চুল থাকে না, পাগলামির সংখ্যা বাড়ে। অসুখ বিসুখ বাড়ে। ------------------- একন মাসের শেষ হইবার লাগছে। পকেটে কুনু ট্যকা নাই।

নিজেরে বহুত সামলাইয়া রাকছি উপরোক্ত উদাহরনের হাত থেকে বাচতে। কিন্তু গত রাইত থেইক্যা চারিত্রিক বিরহ দেখা দিছে। বন্ধু শ্যামলের ফ্রিজ থেকে তার পোলার কেকটা চুরি করে নিয়ে আসছি। উত্তর দিবার লাগছি ৪ নং প্রশ্নের * বিশিষ্ট কুনু লুকই পাওয়া যায় নাই যে তাদের মতের উপরে ভিত্তি কইরা অর্থনৈতিক বিরহ কি তা আমরা বোঝাইতে পারি। কিন্তু কুষ্ঠার বাপের মত অনুসারে অর্থনেতিক বিরহ এমন একটা বিরহ যকন মানুষ দুদকের চোখ ফাকি দিয়ে দেশকে রসাতলে ফেলে উপরে দিয়ে চারিত্রিক বিরহ সামাজিক বিরহ মানসিক বিরহের ভান করে।

যেমন- চুর নেতা, শাসক ব্যবসায়ী এরা পাবলিকের ট্যাকা মাইরা কেউ টয়লেটে আবার কেউ বিছনার তলে ডুকায়। ------------------- গতরাতে কপালে ভাত জুটে নাই। হেডে পাথর বাইন্দা সারারাত ছটফট করছি। ঘরে না আছে চাল, না আছে সবজি। এ মাসের বেতন পাইতে একনো ৮টা দিন বাকী।

এই ৮দিন যদি আমি না খাইয়া থাকি তাইলে কি আমি বাচমু নাকি আমারে চারিত্রিক বিরহে নাম লেকাইতে হইবো? প্রশ্ন নং ২ ও ৩ একটি অদৃষ্ট কারনে উত্তর দেখা সম্ভব হয়নি। (আসলে নকলগুলা স্যারে লইয়া গেছে, তয় লুক ভালো খাতা নেয় নাই। ) **পরীক্ষার ফলাফল দিবো এ মাসের ২৮ তারিক। পাশ মনে হয় অনিশ্চিত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।