আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্টক আপাতত শেষ

আমি কি হনুরে... ৩ ... ;)

আগের কৌতুক পোস্টের লিংক: এক: Click This Link দুই: Click This Link তিন: Click This Link চার: Click This Link --------------------------------------------------------------------------------- ১. পরলোকে গডের দরবার। মৃত মানুষদের বিচার চলছে। তিনি এবেলা সম্পর্কের সততার উপর ভিত্তি করে একেকজনকে পরলোকে চলাফেরা করার জন্য বিভিন্ন রকম যান বাহন দিচ্ছেন। তো কোরবানের বিচার হয়ে গেল, কোরবান মোটামুটি ভাল লোক ছিল। বিয়ের বাইরে যদিও কোন পরকিয়া করেনাই, কিন্তু মনে মনে ইচ্ছা ছিল।

বিয়ের পর বউ সাথে থাকা অবস্হায়ও অন্য নারীদের দিকে ইতিউতি তাকিয়েছে, মাঝে মাঝে হা হুতাসও করেছে। কিন্তু বাস্তবে কিছু করেনাই। তো সব কিছু বিচার করে গড তাকে দিল একটা হার্লে ডেভিডসন মোটর সাইকেল। তাতেই কোরবান মহা খুশি। ভোঁ করে মোটর সাইকেল নিয়ে মহানন্দে কোরবান ঘুরে বেড়াচ্ছে ।

তো হঠাৎ দেখল কি, এক লোক মার্সিডিজ থামিয়ে ফুটপাথে বসে বসে কাঁদছে। কোরবানের আবার দরদী মন। ভাবল ব্যাপারটা কি বুঝা দরকার। সে এগিয়ে গেল, জিজ্ঞেস করল, -"কি ভাই... মার্সিডিজ পাইসেন, এইটা তো খুবই খুশির খবর। আপনি কাঁদেন ক্যান?" লোকটা কাঁদতে কাঁদতে বলল, -"ভাই আমি মার্সিডিজ পেয়েছি ঠিকই, অনেক খুশিও হয়েছিলাম।

কিন্তু একটু আগে রাস্তায় দেখলাম আমার বউ সাইকেলে করে যাচ্ছে!!!!! " ২. একটা মেয়ে ১০০ তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে পড়ে যাচ্ছে। পড়তে পড়তে যখন ৭০ তলায় এসেছে, বারান্দা থেকে হাত বাড়িয়ে এক আমেরিকান তাকে ধরেছে। মেয়েটা বলল -"প্লিজ আমাকে বাঁচাও!!" ছেলেটা বলল, "বাঁচাতে পারি কিন্তু এক শর্তে। তোমাকে আমার সাথে টিংকু (ফিজিক্যাল রিলেশান) করতে হবে। " - "ছি ছি... কখনোই না।

" ছেলেটা মেয়েটাকে ছেড়ে দিল। মেয়েটা পড়তে পড়তে ৩৫ তলায় পৌঁছাল। তখন এক আফ্রিকান মেয়েটাকে ধরল। মেয়েটা তাকেও বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করল, কিন্তু ঐ ব্যাটাও টিংকু করতে চাইল । মেয়েটা রাজি হলনা।

তাই আফ্রিকানটাও মেয়েটাকে ছেড়ে দিল। মেয়েটা আবার পড়তে পড়তে যখন ২০ তলায় এসে পৌঁছল এক আরব মুসলিম মেয়েটাকে হাত বাড়িয়ে ধরে ফেলল। মেয়েটা ছেলেটাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে নিজেই বলতে শুরু করল, -"প্লিজ আমাকে বাঁচাও, ছেড়ে দিওনা। তুমি যা চাও আমি তাই করব, দরকার হলে টিংকুও...." -আস্তাগফিরুল্লাহ... লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাত... বলে আরবের হস্ত প্রত্যাহার এবং ...... (আহারে! ) ৩. এক যে ছিল ঠগ, তার নাম কাউলা। তো সে একদিন হাটে গেল, উদ্দেশ্য কাউকে ঠকিয়ে যদি কিছু হাতানো যায়।

ঘুরতে ঘুরতে দেখতে পেল এক হুজুর টাইপ ব্যাক্তি একটা সুন্দর ঘোড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কাউলা ঘোড়ার দাম জিজ্ঞেস করল, দাম শুনেই তার মনটা ফুরফুরে হয়ে গেল। এত কম দাম !! কাউলা বুঝতে পারল শিকার পাওয়া গেছে। সে বলল, -"ভাইসাহেব, আপনি কি এই এলাকায় নতুন?" -"জ্বি... খুব বিপদে পড়ে আমার প্রিয় ঘোড়াটাকে বিক্রি করতে অনেক দূর থেকে এসেছি। " -"হুমম আমিও তাই ভাবছিলাম।

শুনেন ভাইজান যে দাম বলেছেন এটা আর কারো কাছে বলবেন না, এই এলাকার লোকজন খুবই রগচটা। এত বেশি দাম শুনে হয়তো আপনাকে হাট থেকে বের করে দিবে। আপনি যখন বিপদে আছেন আমি এই দামেই এটা কিনে নিচ্ছি। " লোকটা খুশি হয়ে গেল। টাকা পাওয়ার পর কাউলা ঘোড়ায় উঠে লাগাম ধরে টান দিল, কিন্তু ঘোড়া একচুলও নড়েনা।

লোকটা বলল, "এই ঘোড়া সাধারণ ঘোড়া না। যদি আপনি বিসমিল্লাহ বলেন ঘোড়া চলতে শুরু করবে, আলহামদুলিল্লাহ বললে ঘোড়া লাফ দিবে, সুবহানাল্লাহ বললে ঘোড়া তার গতি বাড়াবে আর যদি থামাতে চান বলতে হবে ইন্নালিল্লাহ। " কাউলা বিসমিল্লাহ বলতেই ঘোড়া দৌড়াতে শুরু করল। আনন্দে সে বার বার সুবহানাল্লাহ বলতে লাগল আর ঘোড়া তুফানের বেগে ছুটতে লাগল। হঠাৎ সে খেয়াল করল সামনে খাদ, ঘোড়াকে তো থামানো দরকার।

কি জানি বলতে হয় থামাতে হলে??!! -"মনে হয়...মাশাল্লাহ!! হায় হায় থামেনা তো ... ইনশাল্লাহ ইনশাল্লাহ !! হায় হায়...ইয়ারহামুকুমুল্লাহ... যাযাকাল্লাহ... রাহমাতুল্লাহ...ধুরর...এ্যাই বজ্জাত ঘোড়া থাম্‌!! " ঘোড়া আরেকটু হলে নিচে পড়ে যাবে, কাউলা চিৎকার করে উঠল, -"হায় হায় রে... আমি গেলাম রে...ইন্নালিল্লাহ... " ঘোড়া ঠিক ঢালু জায়গাটায় এসে ব্রেক করে থেমে গেল। সামনেই অতল খাদ। কাউলা সেদিকে তাকিয়ে ঘাম মুছে স্বস্তির নি:শ্বাস ছেড়ে বলল, -"বাঁচছি!!! শুকুর আলহামদুলিল্লাহ!! " ৪. একবার এক লোক মন খারাপ করে সমুদ্রের পার দিয়ে হাঁটছে। হঠাৎ এক সময় দীর্ঘশ্বাস ছেঁড়ে বলে উঠল "আহারে যদি গড আমার একটা ইচ্ছা চাওয়ামাত্র পূরন করত!!" সাথে সাথে আকাশ থেকে লোকটি দৈববাণী শুনতে পেল, -"বল হে মানব, তুমি কি চাও?? তোমার একটি ইচ্ছা আমি অবশ্যই পূরণ করব। " লোকটি ঘাবড়ে গিয়ে বলল, "ইয়ে মানে এই সমুদ্রের উপর একটা ব্রিজ বানিয়ে দাও যাতে আমি এর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে আমার নিজের দেশে চলে যেতে পারি।

" গড বললেন, "এ কাজ তো মানুষই করতে পারে। এমন কিছু চাও যা আমাকে মহিমান্বিত ও গৌরবান্বিত করবে..." -"ও গড, আমার ২ বার বিয়ে হয়েছে, ২ জন স্ত্রীই আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। তুমি আমাকে মেয়েদের মনের কথা বুঝার ক্ষমতা দাও। তারা কিসে খুশি হয়, কিসে দু:খ পায়, যখন তারা বলে কিছু না তখন আসলে তারা কি বুঝায়, কিভাবে মেয়েদেরকে সুখী করা যায় এসব কিছু যাতে আমি বুঝতে পারি..." গড কিছুক্ষন পর বললেন, "ইয়ে মানে, তুমি ঐ ব্রিজটাতে ২ টা লেন চাও না ৪ টা??" ৫. এক ভালুক আর এক খরগোশ একই জঙ্গলে বাস করে কিন্তু কেউ কাউকে তেমন দেখতে পারেনা। একদিন তারা ঘুরতে ঘুরতে এক সোনালি ব্যাঙের দেখা পেল।

তারা অবাক হয়ে গেল যখন দেখল যে ব্যাঙটা কথা বলতে পারে। সোনালি ব্যাঙ বলল যে তার সাথে সহজে অন্যদের দেখা হয়না, কিন্তু যখন দেখা হয় সে একেকজনের ৩টা করে ইচ্ছা পূরণ করে। সে ভালুক আর খরগোশকে ৩ টা করে জিনিস চাইতে বলল। ভালুক প্রথমে চাইল, "আমি ছাড়া এই জঙ্গলের অন্য সব ভালুককে মেয়ে বানিয়ে দাও। " "তোমার ইচ্ছা পূরণ হোক", ব্যাঙ বলল।

এবার খরগোশ চাইল,"আমি একটা হেলমেট চাই" । ব্যাঙ তাকে হেলমেট দিল, খরগোশ সেটা পরে ফেলল। এবার ভালুক চাইল, "আমি ছাড়া আশেপাশের জঙ্গলের অন্য সব ভালুককে মেয়ে বানিয়ে দাও। " এটাও পূরণ হল। খরগোশ চাইল এবার একটা মোটর সাইকেল... মোটর সাইকেল পেয়ে খরগোশ উঠে স্টার্ট দিল।

খরগোশের কান্ড দেখে ভালুক হাসল আর বলল যে খরগোশ অনন্য সুযোগ হেলায় নষ্ট করছে । ভালুক এবার চাইল "আমি ছাড়া পৃথিবীর অন্য সব ভালুককে মেয়ে বানিয়ে দাও। " ব্যাঙ তাও পূরণ করল। এবার খরগোশের শেষ ইচ্ছার পালা। খরগোশ বলল, "আমি চাই তুমি ভালুক কে গে (gay) বানিয়ে দাও "।

বলে খরগোশ মোটর সাইকেল চালিয়ে হাওয়া!!!


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.