শেয়ারবাজারের বহুল আলোচিত স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণ (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) কর্মসূচির (স্কিম) চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাতে ১৩ সদস্যের স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় এই কর্মসূচির অনুমোদন দেওয়া হয়। বিএসইসির নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে আজই এটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
কর্মসূচিটি অনুমোদনের ফলে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি আলাদা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি এখন কেবল প্রক্রিয়াগত সময়ের ব্যাপার। আর স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতিসহ পরিচালনা পর্ষদের স্বতন্ত্র বা স্বাধীন পরিচালকদের সংখ্যাগরিষ্টতা থাকবে।
অনুমোদিত কর্মসূচিতে বলা হয়েছে, ১৩ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে ৭ জনই হবে স্বতন্ত্র পরিচালক, শেয়ারধারী পরিচালক হতে পারবেন সর্বোচ্চ পাঁচজন, আর ভোটাধিকারের ক্ষমতাসহ এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও পরিচালক হবেন।
শেয়ারধারী পাঁচ পরিচালকের মধ্যে ন্যূনতম একজন হবেন কৌশলগত (স্ট্র্যাটেজিক) বিনিয়োগকারী। যতদিন কৌশলগত বিনিয়োগকারী পাওয়া যাবে না ততদিন ওই পদটি শূণ্য থাকবে।
এর ফলে বর্তমান শেয়ারধারীদের মধ্যে পরিচালক হতে পারবেন মাত্র চারজন।
এদিকে ডিমিউচুয়ালাইজেশন কর্মসূচির বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানিতে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে ১৫ জনের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের প্রস্তাব করা হয়। স্টক এক্সচেঞ্জের সেই প্রস্তাবকে বিবেচনায় নেয়নি বিএসইসি।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।