পদ-পদোন্নতির বিশৃংখলার জটে জনপ্রশাসন একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে শীর্ষ প্রশাসনে শত শত কর্মকর্তা বছরের পর বছর ধরে পদোন্নতির অপেক্ষায় বসে আছেন । আবার পদ ছাড়াই পদোন্নতি দেয়ায় সংকটের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে । উপরন্তু সরকার পরিবর্তন হলেও কর্মকর্তাদের মাথা থেকে ওএসডি কিংবা শাস্তিমূলক বদলি আতংক দূর করা যায়নি । নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরও রাজনৈতিক অভিযোগে দক্ষ ও অধিকতর যোগ্য কর্মকর্তাদের অনেকে পদোন্নতি পাননি ।
ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা ওএসডি ও ডাম্পিং পোষ্টিংয়ের শিকার হয়েছেন । প্রশাসনে ফের রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি আর নানারকম স্বার্থের দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ায় বেশিরভাগ মানুষের প্রত্যাশার প্রশাসন গড়ে উঠতে পারছে না । এ সরকারের ওএসডি রদবদল গত ৭ জানুয়ারি নতুন সরকারের যাত্রা শুরু হলেও ১০ জানুয়ারি থেকে প্রশাসনিক রদবদল শুরু হয় । এ হিসেবে গত এক মাসে সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারি কমিশনার, ইউএনও, এডিসি, উপ-সচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সবিচব পদে প্রায় ৩শ কর্মকর্তার রদবদল করা হয়েছে । রাজনীতি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে (অলিখিত) ওএসডি হয়েছে ২৩ জন ।
এদের মধ্যে সচিব ৭ জন, অতিরিক্ত সচিব ৪ জন, যুগ্ম সচিব ৭ জন, উপ-সচিব ২ জন এবং সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা ১ জন । ১৯৮৬ সালে এক আদেশে পাঁচ কারণে প্রশাসনে ওএসডি করার বিধান চালু হলেও মূলত এর অপব্যবহার হয়ে আসছে। শেষোক্ত কারণ হিসেবে অনিবার্য কারণবশত ওএসডি করা হচ্ছে । এছাড়া সচিব পদে ৭ জন এবং অতিরিক্ত সচিব পদে ৭২ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে ।
পদোন্নতির বঞ্চনার সাতকাহন
প্রতিটি রাজনৈতিক সরকারের সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কর্মকর্তা চিহ্নিত করে বহু কর্মকর্তাকে প্রাপ্য পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে ।
জোট সরকারের সময় তা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় । কিন্তু বর্তমান সরকারের কাছে কেউ এমন আচরণ প্রত্যাশা না করলেও ঘুরেফিরে সেই শোধ প্রতিশোধের আচরণ ফিরে এসেছে । প্রশাসন দলীয় করার ক্ষেত্রে কারও কোন প্রকার ভূমিকা থাকলেও কিংবা কেউ শৃংখলা পরিপন্থি কোন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে । কিন্তু তা না করে সবাই পুরনো পথ বেছে নিচ্ছে । পছন্দ না হলেও পদোন্নতি হবে না, এমনকি ওএসডি করে ফেলে রাখা হবে ।
বর্তমান সরকারের বয়স বেশিদিন না হলেও ইতিমধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে । বেশ কয়েকজন অধিকতর যোগ্য কর্মকর্তাকে সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়নি । আবার যারা দক্ষতা প্রমাণ করে ভালো পদে কর্মরত ছিলেন তাদের এদিকে বিভাগীয় মামলাসহ নানা কারণে বহু কর্মকর্তা পদোন্নতি না পেয়ে লেফট আউট খাতায় নাম লিখিয়েছেন । পরে তাদের অনেকে দায়মুক্ত হয়ে যোগ্যতা অর্জন করলের পদোন্নতি পাচ্ছেন না । পদোন্নতি বঞ্চিত সিনিয়র ব্যাচের এসব কর্মকর্তার মধ্যে এখনও সিনিয়র সহকারি সচিব আছেন ৮১ ব্যাচের ১ জন, ৮২ ব্যাচের সহকারি সচিব ২ জন, ৮২ বিশেষ ব্যাচের ১৯ জন (৬ জন সহকারি সচিব এবং ১৩ জন সিনিয়র সহকারি সচিব) ৮৪ ব্যাচের ২৮ জন, ৮৫ ব্যাচের ৬৬ জন এবং ৮৬ ব্যাচের ৩২ জন ।
একই কারণে অনেকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাচ্ছেন না, যারা জুনিয়রদের কাছে নিজেদের পরিচয় দিতে বিব্রতবোধ করেন । এ কারণেও প্রশাসনের মধ্যে চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে ।
পদ ছাড়াই পদোন্নতি
বিধিবহির্ভূতভাবে অনেক সময় পদ ছাড়াই পদোন্নতি দিতে গিয়ে প্রশাসনে এ অরাজক অবস্থা তৈরি হয়েছে । জোট সরকারের সময় একাধিকবার শূন্যপদ ছাড়াই গণপদোন্নতি দেয়া হয় । পদের বাইরে পদোন্নতি দিতে গিয়ে বর্তমান উপসচিব পদে ৫৮৭ জন কর্মকর্তা অতিরিক্ত হিসেবে বসে আছেন ।
যাদের মধ্যে ২৩০ জন এখনও সিনিয়র সহকারী সচিবের চেয়ারে বসে কাজ করছেন । এজন্য পদগুলো সুপারনিউমারি করতে হয়েছে। অবশিষ্টদের মধ্যে ৫০ জনের মতো ওএসডি আছেন এবং অন্যদের বিভিন্ন দফতর ও সংস্থায় প্রেষণে নিয়োগ দেয়া হয়েছে । নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার কয়েকদিনের মাথায় অতিরিক্ত সচিব পদে ৭২ জনকে পদোন্নতি দিতে গিয়ে পদের বাইরে ৪১ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয় । মূলত অতিরিক্ত সচিবের পদ ৬৭টি হলেও পরে প্রেষণ পদের মধ্যে ৪০টি পদ সৃষ্টি করে ১০৭টিতে উন্নীত করা হয় ।
পদোন্নতির অপেক্ষায় বসে আছেন যারা
সময় মতো শূন্যপদের বিপরীতে পদোন্নতি না দেয়া এবং ৮২ বিশেষ, ৮৪ এবং ৮৫ ব্যাচের ন্যায় বৃহৎ তিনটি ব্যাগে ১৫শ’ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার কারণে পুরো প্রশাসনযন্ত্র ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে প্রশাসনের পিরামিড। এ সংকট দুর করতে বহু আগে সুষ্ঠু পরিকল্পনা নেয়ার প্রয়োজন থাকলেও তা করা হয়নি। ফলে ৯ম ব্যাচ থেকে ২১তম ব্যাচ পর্যন্ত ৯টি ব্যাচের ১ হাজার ৪১৬ জন কর্মকর্তাকে ১০ থেকে ১৮ বছর ধরে সিনিয়র সহকারী সচিবের পদে বসে থাকতে হচ্ছে। এর মধ্যে ১৭তম ব্যাচ পর্যন্ত ৮৫৫ জন কর্মকর্তা উপসচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করে বসে আছেন।
কিন্তু সহসা পদোন্নতি পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ শূন্যপদের বাইরে পদোন্নতি দেয়ার কারণে এখনই ৫৮৭ জন উপসচিব অতিরিক্ত হিসেবে বসে আছেন। একই কারণে ওপরের দিকে পদোন্নতি নিয়ে জট লেগে যাওয়ায় যুগ্ম সচিব পদেও বেশি সংখ্যায় পদোন্নতি দেয়া যাচ্ছে না। মঙ্গলবারের এসএসবির বৈঠকে বড়জোর ৮০ জনকে পদোন্নতি দেয়া সম্ভব হবে। অথচ যুগ্ম সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে লেফট আউট ছাড়াই এ মুহুর্তে অপেক্ষোয় আছেন ৮২ বিশেষ, ৮৪ ও ৮৫ ব্যাচের সাড়ে ৮শ’ কর্মকর্তা।
প্রেষণে পদের হিসাব নেই
প্রশাসনে প্রেষণ পদের কোন হিসাব নেই। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায়ও কোন তথ্য নেই। অথচ প্রেষণে প্রশাসন ক্যাডারের ১ হাজারের বেশি কর্মকর্তাকে নিয়োগ নিয়েও প্রশাসনের বিদ্যমান হযবরল অবস্থা দুর করা যাচ্ছে না। অথচ প্রেষণে যথেচ্ছভাবে নিয়োগ দেয়া এবং ক্রমেই প্রেষণ পদের ব্যপ্তি বাড়ানোর ফলে দফতর-সংস্থায় কর্মরত সেখানকার নিজস্ব কর্মকর্তাদের পদোন্নতি আটকে যাচ্ছে। তাদের বহু কর্মকর্তাকে প্রত্যাশিত পদোন্নতি ছাড়াই চাকরি থেকে অবসর নিতে হচ্ছে।
নিচের দিকে শূন্যপদের ছড়াছড়ি ১৯৯৯ সালের ক্যাডার কম্পোজিশন অনুয়ায়ী প্রশাসন ক্যাডারের মোট পদ ৪ হাজার ১৬৬টি । এর মধ্যে ক্যাডারের লাইন পোষ্টে ১নং গ্রেডে ২টি, ২নং গ্রেডে ১২টি, ৩নং গ্রেডে ২০টি, ৪নং গ্রেডে ১৩টি, ৫নং গ্রেডে ১৩৮টি, ৬নং গ্রেডে ২ হাজার ২০১ টি এবং ৯নং গ্রেডে ১ হাজার ৭৮০টি । কিন্ত প্রশাসন ক্যাডার এখন লাইন পোস্টের বাইরে সচিবায় ও বিভিন্ন প্রেষণ পদের বেশিরভাগ জায়গাজুড়ে অবস্থান করছে। নিচের দিকে এন্টি পদে সহকারী কমিশনার পদের সংখ্যা ১ হাজার ৭৮০টি হলের বাস্তবে কর্মরত আছেন ১ হাজার ৯৮ জন । শূনপদ রয়েছে ৬৮২ টি ।
যে কারণে ডিসি অফিসগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সহকারী কমিশনার বা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নেই। সিনিয়র সহকারী কমিশনারের পদেও মাঠ প্রশাসনে ব্যাপক শূন্যতা রয়েছে। সচিবালয়ে এ পদের নাম সিনিয়র সহকারী সচিব। কিন্ত এখানেও ৩ শতাধিক পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ২৩০ জন উপসচিব সুপারনিউমারি হিসেবে এ পদে বসে আছেন।
যে কারণে নন-কাডার কোটায় সহকারী সচিব পদে দেড়শতাধিক কর্মকর্তার শূন্য পদে ৩ বছর ধরে পদোন্নতিও আটকে আছে।
আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য
সচিবালয়ে উপসচিব থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পদগুলো সব ক্যাডারের জন্য বন্টন হওয়ার কথা থাকলেও এখনও কোটা পদ্ধতিতে পদোন্নতি অব্যাহত আছে। যে কারণে প্রশাসন ক্যাডার ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ বেশি সুবিধা পেয়ে আসছে । কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের রায় লাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এ কারণে প্রশাসন বহর্ভূত অন্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ রয়েছে।
আবার একথাও সত্য, পুলিশ পররাষ্ট্র এবং কাষ্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তারা লাইন পোষ্টে দ্রুত পদোন্নতি পেয়ে ওপরে উঠে গেলেও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বহু জেলার এসপি কর্মরত ডিসিদের চেয়ে ৭ ব্যাচ জুনিয়র।
সংকট উত্তরণে নানা মত
প্রশাসনে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, যেভাবে প্রশাসন চলছে বা চালানো হচ্ছে তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, জনপ্রশাসন নামক প্রতিষ্ঠানটি নিকট ভবিষ্যতে মুখ ত্থবড়ে পড়বে। হয় এটি সরকারি দলের বৃহৎ কোন দলীয় অফিসে পরিণত হবে, নতুবা ্েরফ কেরানিগিরি করা ছাড়া ক্যাডার কর্মকর্তারা দেশের কল্যাণে ক্রিয়েটিভ কোন কাজ উপহার দিতে পারবেন না। বিশেষ কওে এ বেহালদশা দেখে নতুন চাকরিপ্রার্থীরা এ সার্ভিসে যোগ দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
তারা বলেছেন, সরকারকে সৎ মন দিয়ে প্রথমে প্রশাসনকে দলীয়করণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এরপর সৎ, যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তাদেও পোষ্টেং ও পদোন্নতি দেয়ার ক্ষেত্রে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। পদোন্নতি দেয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যামান নীতিমালার বাইওে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক কোন পথ বের করতে হবে। এদিকে প্রশাসনের এ দুরবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় জানতে যুগান্তরের পক্ষ থেকে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. আকবর আলি খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, প্রশাসনের বিদ্যমান সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন ।
কিন্ত কোন পরিকল্পনা নেই। প্রয়োজন প্রশাসনিক সংস্কার। নিক্ত তাও নেই। আওয়ামী লীগ সরকার এর আগেও ক্ষমতায় থাকার সময় প্রশাসন সংস্কাওে কমিশন গঠন করলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটেনি।
আকবর আলি খান দুঃখ প্রকাশ কওে বলেন, এখানে প্রতিটি সরকার ক্ষমতায় এসে শুধু প্রশাসনের অতীত ভুল সংশোধন নিয়ে ব্যস্ত থাকে ।
যে কারণে তারা শুদ্ধ কাজ করার সময় পায় না। এক একটি সরকার এসে প্রশাসনের মধ্যে রাজনীতিকরণ করতে গিয়ে কিছু কর্মকর্তাকে পদোন্নতিও ভালো পোষ্টিং থেকে বাদ দেয়। আবার পওে সরকার ক্ষমতায় এসে এর প্রতিশোধ নিতে কিছু কর্মকর্তাকে ওএসডি কিংবা চাকরিচ্যুত কওে বিদায় করে। বিপরীতে নিজেদেও পছন্দেও কিছু কর্মকতৗাকে প্রাইজ পোস্টেং আর দ্রুত পদোন্নতি দিয়ে সন্তষ্ট রাখে। যেমনটি করেছে বিগত জোট সরকার।
তারা রাজিৈতক বাছবিচার করতে গিয়ে পদোন্নতি না দেয়ার ক্ষেত্রে মারাত্মক কিছু ভুল কওে গেছে। এখন তার শোধ চলছে। কিন্ত এভাবে একটি প্রশাসন চলতে পাওে না। সাবেক এ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চাকরিতে সবাই পদোন্নতি পাবে না। এজন্য বাছাই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ পদ্ধতি বের করতে হবে।
কিন্ত এখন প্রশাসনের মধ্যে কিছু কর্মকর্তা যোগ্যতা অর্জন করেও বছর বছর পদোন্নতির দিকে চেয়ে আছেন। আবার কিছু পদে পদেও চেয়ে অতিরিক্ত সংখ্যায় পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। ফলে প্রশাসনের মধ্যে একটা বিশ্রংখল অবস্থা তৈরি হয়েছে। পদেও চেয়ে পদোন্নতি বেশি হলে কিছু লোকের কাজ থাকে না। তারা বসে থাকে আর রাজনীতি করে।
তিনি বলেন, এভাবে প্রশাসনকে আর বেশিদিন চালানো যাবে না। দ্রুত প্রয়োজনীয় বাবস্থা নিতে হবে। এছাড়া ক্লাষ্টার কওে বিশেষায়িত কর্মকর্তা তৈরি করতে হবে। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আবু সোলায়মান চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ভালো কথা বলে তো লাভ নেই। যাদেও করার দায়িত্ব মূলত তাদেরই এর গুরুত্ব বুঝতে হবে।
তাই তিনি কিছু বলতে চান না। তবে তিনি মনে করেন, কর্মকতৗাদেও যোগ্যতা-দক্ষতাকে বিবেচনায় নিয়ে পদায়ন ও পদোন্নতি নিশ্চিত করতে না পারলে সৃষ্ট সংকট থেকে বেরিয়ে আসা যাবে না। সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান ও প্রশাসন বিষয়ক কলামিস্ট বদিউর রহমান বলেন, অতীতে নিয়োগ এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনিয়ম করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, সমাধানের পথ একটাই সরকারকে কঠোর হতে হবে। শুন্যপদ ছাড়া পদোন্নতি দেয়া যাবে না।
এসএসবির বাইওে কোন কমিশন কিংবা সরাসরি পিএসসির মাধ্যমে পরীক্ষা পদ্ধতি চালু কওে পদোন্নতি দিতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।