অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
প্রশ্ন : আমরা অনেক সময় কথা-বার্তায় হাসি-ঠাট্টা ও কৌতুক করে থাকি। এটা ইসলাম সম্মত কি না? রাসূলুল্লাহ (সা ও সাহাবায়ে কিরামের যুগে এর কোন নজীর পাওয়া যায় কিনা? জানালে কৃতজ্ঞ হবো।
এস,এম, খলীলুর রহমান
শ্রীপুর, গাজীপুর।
উ: :
কথা-বার্তায় রাসূলুল্লাহ (সা হাসি-ঠাট্টা করেছেন বলে প্রমাণ আছে। তবে তিনি সত্য কথা বলেই হাসি-ঠাট্টা করতেন।
অনুরূপভাবে, সাহাবায়ে কেরামও হাসি-ঠাট্টা বা কৌতুক করতেন এবং তাকে খারাপ জানতেন না। তারা কখনও কথা-বার্তায় এবং কখনও কাজ-কর্মে কৌতুক করতেন। নিম্নের কিছু উদাহরণ দ্বারা বুঝা যাবে মুসলিম সমাজে কি পরিমাণ ক্ষমা ও গ্রহণ যোগ্যতার অবকাশ রয়েছে।
আনাস বিন মালেক থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী করিম (সা-এর কাছে এসে সফরের জন্য একটি সওয়ারী চান।
রাসূলুল্লাহ (সা বলেন: ‘আমি তোমাকে একটি উটের বাচ্চা দেব। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি উটের বাচ্চা দিয়ে কি করবো? তখন রাসূলল্লাহ (সা উত্তর দেন; সকল উটই তো জন্মগতভাবে বাচ্চা হয়ে জন্মগ্রহণ করে। ' (আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী এটাকে সহীহ হাদীস বলেছেন) আনাস (রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা আমাকে বলেন, ‘হে দুই কান বিশিষ্ট ব্যক্তি! তিরমিযী বলেছেন, আবু উসামার মতে নবী করিম (সা তাঁকে ঠাট্টা করেছেন। (আবু দাউদ, শামায়েলে তিরমিযী)
আনাস থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি গ্রাম থেকে আসল।
তার নাম যাহের। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা-এর প্রতি গ্রামের উপহার পেশ করতেন। তিনি চলে যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ (সা তাকে প্রস্তুত করে দিয়ে বলেন, যাহের হচ্ছে, আমাদের গ্রাম, আর আমরা হলাম শহরবাসী। ' (আহমদ
বর্ণিত আছে, এক ছিল বিশ্রী ব্যক্তি যাকে রাসূলুল্লাহ (সা ভালো বাসতেন। রাসূলুল্লাহ (সা তাঁর কাছে আসেন।
তখন নিজের দ্রব্য বিক্রি করছিল। তিনি তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেন। লোকটি তাকে দেখতে পায়নি। লোকটি বলল, আমাকে ছাড়ুন, কে আপনি? ফিরে নবী (সাকে চিনতে পারল। তার পিঠ নবী করিমের বুকের সাথে লাগায় তিনি আরও ভাল করে ঘেঁষে দাঁড়ান।
নবী (সা বলতে লাগলেন; এ দাসকে কে কিনবে? সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম, আমাকে নিলে লোকসান হবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সা বলেন, ‘তুমি আল্লাহর কাছে লোকসানজনক নও। রাবীর সন্দেহ যে, তিনি হয়তো বলেছেন, তুমি আল্লাহর কাছে বেশি মূল্যবান। ' (আহমদ, হাদীসের রাবীরা বোখারী ও মুসলিমের শর্ত মোতাবেক নির্ভরযোগ্য)
বোল্ড করা অংশগুলো পড়ে বলতে হবে এটা কি ছোটোদের কৌতুক না কি বড়দের কৌতুক?
ইমাম বোখারী (র) তাঁর ‘আদব আল-মোফরাদ' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, সাহাবায়ে কেরাম খরবুজা নিক্ষেপ করতেন। যখন তা ঠিকমত পড়ত, তখন তাদেরকে বীর পুরুষ বিবেচনা করা হতো।
উম্মে সালমা থেকে বর্ণিত। আবুবকর (রা) নোআইমান ও সুয়াইবাত বিন হারমালাকে সাথে নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে বোসারীর দিকে রওনা হলেন। তারা দু'জন ছিলেন বদরী সাহাবী। সোয়াইবাত সফরের সম্বলের কাছে ছিলেন। নোআইমান তাকে খাবার দিতে বলেন।
সোয়াইবাত বলেন, আবুবকর (রা) আসলে দেবো। নোআইমান ছিলেন কৌতুকপ্রিয়। তিনি একদল সওয়ারীর কাছে গেলেন এবং বলেন, আমার কাছ থেকে একজন সক্রিয় শক্তিশালী আরবী দাস কিনবেন? তারা বলেন, ‘হ্যাঁ, তিনি বলেন, সে দুই জিহ্বা বিশিষ্ট। সম্ভব: সে এটাও বলবে যে, আমি স্বাধীন। (দাস নই) আপনারা যদি এ কারণে তাকে ছেড়ে দেন তাহলে, আমার ধ্বংস।
তারা বলেন, না, আমরা তাকে কিনবো। তারা তাকে ১০টি যুবতী উষ্ট্রীর পরিবর্তে কিনে নিল। তিনি উষ্ট্রীগুলোকে হাঁকিয়ে নিয়ে আসেন এবং বলেন, এই সে দাস। সোয়াইবাত বলেন, সে মিথ্যাবাদী। আমি দাস নই, আমি স্বাধীন।
তারা বলেন, তোমার সম্পর্কে আমরা জানি। এ বলে তারা তার গলায় রশি লাগিয়ে নিয়ে যেতে থাকল। তখন আবু বকর (রা) আসেন এবং তাকে এ ঘটনাটি বলা হলো। তিনি এবং তার সাথীরা ঐ লোকদের কাছে যান এবং উষ্ট্রীগুলো ফেরত দিয়ে তাকে ফেরত নিয়ে আসেন। তারপর নবী করিম (সা কে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি এবং তার নিকট উপস্খিত সাহাবায়ে কেরাম হেসে উঠলেন।
-------------------------------------
আমার রসবোধ ভালো বলে আমার একটা অনুমাণ ছিলো, অন্তত কৌতুক শুনে বুঝে আমি হাসতে পারি, কৌতুকের মর্মোদ্ধার করতে পারি এমন একটা ধারণা আমার ছিলো, তবে কয়েকবার পড়েও এই কৌতুকগুলোর মর্মার্থ উদ্ধার করতে পারি নি, আমি হাসতেও পারি নি, অথচ এমন সুন্নতী কৌতুক শুনে অন্তত আমার হাসা উচিত, আমি একটু বুঝতে চাই, পাঞ্চ লাইন কোনটা এই কৌতুকস্কিটের?
-------------------------------------------
সঙ্গীতপিপাসুদের জন্য অপরিহার্য সংবাদকণিকা-
শিশির ভেজা সকাল
সঙ্গীত পিপাসুদের কাছে অতি পরিচিত নাম আমিরুল মোমেনীন মানিক, সুমন আজিজ, জাফর সাদেক, মনিরুল আলম মনির, ইউছুব বকুল, আব্দুল আউয়াল, দুরুল হক বাবুল, মাইনুল ইসলাম ও কাজী আনাস, জনপ্রিয় এই শিল্পীদের কণ্ঠে গাওয়া এই প্রথম অডিও সিডি “শিশির ভেজা সকাল” বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, ঢাকা, রাজশাহী ও প্রাকৃতিক শোভামণ্ডিত বিভিন্ন লোকেশানে চিত্রায়িত এই এলবামে গানগুলো হচ্ছে: এই পৃথিবী গড়েছে, শুভ্র কবুতর যারে, দ্বীন দুনিয়ার, তোমার নামে পাহাড়ের কান্না, মন ছুটে আমার, তোমার রহমত ইত্যাদি| গানে কথা ও সুর আমিরুল মোমেনীন মানিক, ইউছুব বকুল, জাফর সাদেক, মনিরুল আলম মনির চিত্রগ্রহণে সম্পাদনা ও পরিচালনা জাফর সাদেক, কারিগরী সহযোগিতায় আইএমসি|
সঙ্গীত পিপাসু ভাইদের জন্যই আমার কুইজ, আপনারা কেউ কি এই গায়কদের কাউকে চিনেন, কিংবা কখনও তাদের কোনো সঙ্গীত শ্রবন করেছেন? তারা অবশ্য শুধুমাত্র ঢোল বাজিয়ে গান করেন, এটাই ইসলামসম্মত গানের ধারা।
স্বপ্নের পাখিরা
সৃজনশীল মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশন কো: আইসিবি প্রোডাক্টস-এর ব্যানারে সম্পন্সতি নির্মিত হয়েছে, শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে কলকাকলি সিরিজের প্রথম ইসলামী গানের ভিডিও সিডি “স্বপ্নের পাখিরা”| গানগুলোতে অংশগ্রহণ করেছেন তামান্না সুমাইয়া, রিমেল, প্রিয়া, নিশু, ইয়াছমিন, মীম, তানিয়া, সায়মা ও পান্না| প্রাকৃতিক শোভামণ্ডিত বিভিন্ন লোকেশানে চিত্রায়িত এই এলবামে গানগুলো হচ্ছে: প্রশংসা সবই, এই সেই ঘর, রাব্বুল আলামীন, টিকটিক যে ঘড়ি, হিজল বনে ও নদী তুমি, কোন একদিন যে ফুল যুগ ইত্যাদি| প্রতিটি গানের শিল্পীদের কণ্ঠের সাথে বিষয়বস্তুর ছবি দেখানো হয়েছে, যা আলাদা বৈশিষ্ট্য বহন করবে| সঙ্গীত পরিচালনায় এমএ নাছির, চিত্র গ্রহণে মুহাম্মদ আহছান মোরশেদ বাবুল, ব্যবস্খাপনা সহকারী আনোয়ারা হোসেন (সাগর) এবং সম্পাদনে হাবিব রেজা ও রেহান|
অডিও সিডিগুলো বাজারজাত করেছে_ ইসলামী ক্যাসেট বিতান, ৪৯, শাহী জামে মসজিদ মার্কেট, আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম|
----------------------------------------------------------------------------
ইসলামী বিপ্লবই একমাত্র সমাধান
যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয় বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে নিগৃহীত অধিকারহারা জাতির নাম কি? এক কথায় উত্তর হওয়া উচিত মুসলিম জাতি। আবার যদি প্রশ্ন করা হয় কোন সে জাতি যে তার নিজের ইতিহাস জানে না? উত্তর হওয়া উচিত মুসলিম জাতি। কেননা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিল্প-বাণিজ্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ মুসলিম জাতি বিরাট প্রতিরোধের মুখোমুখি। পাশ্চাত্যের বিকৃত সংস্কৃতির আগ্রাসনের শিকার আমাদের সমাজ।
এখন প্রশ্ন হল এই সবের জন্য দায়ী কে? ইসলামের দুশমনরা না- কি আমরা নিজেরাই? জবাব হওয়া উচিত আমরা নিজেরাই। কেননা আমরা আজ ভুলে গেছি আমাদের সেই সোনালী ইতিহাস তথা শৌর্য-বীর্যের, ঐশ্বর্যের, প্রভাব-প্রতিপত্তির তথা সর্বদিক দিয়ে বিজয়ের ইতিহাস ছিল আমাদেরই। অর্ধ জাহানের আকাশ চূড়ায় পতপত করে উড়তেছিল আমাদেরই বিজয় নিশান। এই সব কিছুর মূলে ছিল আমাদের পূর্বপুরুষদের কুরআন-সুন্নাহর যথাযথ অনুকরণ ও বাস্তবায়ন। কিন্তু আজকে কোথায় সেই যাকাত আদায়ে সীসার মত কঠোর আবু বকর (রা? কোথায় সেই তেজস্বী ওমর? কোথায় সেই যুদ্ধে দৃঢ়প্রাণ তারেক ও সালাহউদ্দিন আইয়ূবী।
আজকে বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশের মধ্যে ৬০টি দেশই আমরা মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও, বিশ্ব সম্পদের শতকরা ৬০% সম্পদ আমাদের ফেভারে থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের ৬০০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মুসলমান প্রায় ১৫০ কোটি হওয়া সত্ত্বেও আজ আমরা বিশ্বের মধ্যে সবচাইতে নির্যাতিত, নিপীড়িত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, অপমানিত ও অবহেলিত জাতি। কেননা আমরা আমাদের আল্লাহর বদলে পশ্চিমা চালকদেরকে আসনে বসিয়েছি।
এমন আবেগতাড়িত লেখাগুলোতে যখন শৈর্য্য এবং বীর্য থাকে তখন একটাই প্রশ্ন জাগে- শৈর্য্য কি বীর্যসিক্ত কোনো অনুভব? বীর্য কতটুকু মাখলে সেটা শৈর্য্য হবে?
-:ইসলামের পুনর্জাগরণে মুসলমানদের করণীয় br />
পাশ্চাত্য আধিপত্যের যাঁতাকলে নিশেষিত মুসলমানগণ যখন ইসলামকে সংকীর্ণতার গন্ডিতে সীমাবদ্ধ করে ফেলছি, রাজনীতি ও অর্থনীতিকে যখন ধর্ম বহির্ভূত বিষয় মনে করা হচ্ছে তখন আমাদের পরাধীনতার শৃকôখলে আবদ্ধ মুসলিম বিশ্বের ঘুমন্ত মুসলমানদের সামনে ইসলামের নির্ভেজাল মূলমন্ত্র উপস্খাপন করতে হবে।
চিন্তার প্রসারতা : দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য বিজ্ঞানসম্মত কর্মপদ্ধতি প্রণয়ন এবং সেই বিপ্লবী চিন্তাধারাকে বাস্তবায়িত করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে। বলা হয়ে থাকে- “ময়দানের মুকাবিলায় ভীত হয়ে দুর্গের মধ্যে আত্মগোপন করা কাপুরুষতার সুস্পষ্ট নিদর্শন।
”
চিন্তার প্রসারতা শব্দটাও চমৎকার একটা শব্দ, কট্টরপন্থীদের ব্রা- প্যান্টির ইলাস্টিক এবং আন্ডারওয়ারের ভেতরে গুমড়ে কাঁদা শিশ্নই শুধু প্রসারিত হয়, তবে সেটা কতটুকু চিন্তাকে ধারণ করতে পারে এটা নিয়ে এখনও মৌলিক জ্ঞানসম্পর্কিত বিতর্ক চলছে।
---------
ইসলামকে একটি পূর্ণাঙ্গ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবন বিধান এবং আধুনিক যুগে মানুষের সকল সমস্যা সমাধানের বাস্তব ও বিজ্ঞানসম্মত উপায় হিসেবে উপস্খাপন করতে হবে। কুরআন ও হাদীসের আলোকে ইসলামের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও পরিবারনীতি, শিক্ষাব্যবস্খা, পররাষ্ট্রনীতি এবং ইসলামের কৃষ্টি সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে অকাট্য প্রমাণের দ্বারা যুক্তিবাদী বিবেকের সামনে আয়নার মত করে তুলে ধরতে হবে।
পাশ্চাত্য সভ্যতা ও চিন্তাধারার অসারতা প্রমাণ : আমাদেরকে কলম সৈনিক তৈরির মাধ্যমে আল্লাহদ্রোহী পুঁজিবাদ, নাস্তিকতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে মোট কথা পাশ্চাত্য সভ্যতা ও চিন্তাধারার উপর প্রচণ্ড আঘাত হানতে হবে। কুরআন-সুন্নাহর বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে আমাদের হারানো সেই ইসলামী সভ্যতা।
ইসলামী জীবন দর্শন : আল্লাহর বাণী : নিশ্চয় ইসলাম একমাত্র পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্খা (আল ইমরান : ১৯)
কুরআন ও হাদিসের অকাট্য যুক্তি দ্বারা ইসলামের বিশ্বজনীন ও সার্বজনীন আবেদনকে বিশ্ববাসীর সামনে গ্রহণযোগ্য করে উপস্খাপন করতে হবে এবং বিভিন্ন ইসলামী লেখনী শক্তির দ্বারা সন্দেহাবর্তে নিমজ্জিত বিশ্ববাসী ও জড়বাদী সংকীর্ণ দর্শন পূজারীদের কাছে ইসলামের পরিচয়, হাকীকত এবং মৌলিক বিশ্বাসের দার্শনিক ও বুদ্ধিভিত্তিক যুক্তি উপস্খাপন করতে হবে।
নীরব বিপ্লব করতে হবে : মানব জীবনের প্রতিটি সেক্টর বিশেষ করে জ্ঞান ও গবেষণা প্রভৃতিতে কমপক্ষে ৮-১০টি করে মেধাকে আমাদের নীরব বিপ্লব গড়ে তুলতে হবে।
অবশ্য এই মেধাকে কিভাবে নীরব বিপ্লব গড়ে তুলতে হয় এটা আমার জানা নেই,
রাসূল (স বলেছেন ‘আমি তোমাদের নিকট দুটি বস্তু রেখে যাচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা এ দুটিকে আঁকড়ে ধরে রাখবে ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। একটি আল কুরআন অপরটি আল হাদীস।
' তাই আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে কুরআন ও হাদীসের আলোকে ঢেলে সাজাতে পারলেই আবার ইসলামের পুনর্জাগরণ সম্ভব।
উপরোক্ত পর্যালোচনা শেষে বলা যায়, ইসলাম একটি সর্বকালীন, সার্বজনীন চিরশাশ্বত জীবনব্যবস্খার নাম। এর দিক-নির্দেশনা ও হিদায়ত অত্যন্ত সুস্পষ্ট। এটি পৃথিবীবাসীর জন্য একটি মহোত্তম আদর্শ। আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং মানবীয় সমতা হচ্ছে ইসলামের মূল ভিত্তি।
পৃথিবীতে মুসলিম কোন সম্প্রদায় বা জাতি নয়, মুসলিম হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানব পরিবার, ইসলাম কেবলমাত্র একটি ধর্ম নয় সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি জীবন বিধান। এ জন্য ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি ও আবেদন আন্তর্জাতিক। বর্ণ, গোত্র, রক্তের সম্পর্ক ও ভৌগোলিক সীমারেখার চৌহদ্দি পেরিয়ে মানব জীবনের প্রতিটি বিভাগ ও স্তরে ইসলামের প্রভাব ও প্রাণ শক্তি প্রতিফলিত হয়েছে।
পাশ্চাত্য বা ইসলামের প্রতিপক্ষ শক্তি যেভাবেই দেখুক না কেন, মানুষের জন্য এবং পৃথিবী নামক এ গ্রহের জন্য আজ ইসলামের উথান অনিবার্য হয়ে উঠেছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, ইসলামের এই স্বাভাবিক পুনর্জাগরণকে পৃথিবীর কোন শক্তিই রুখতে পারবে না।
ইনশাআল্লাহ্।
আমার এই আশাবাদ চমৎকার লাগে, তবে সম্পূর্ণ আলোচনা পড়ে আমার কখনই উপলব্ধি হলো না কেনো এটা অনিবার্য- সাইয়েদ কুতুব মিয়া নামক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাতের জন্য আমি দিওয়ানা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।