বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ফ্রিজের জলচৌকির নীচে কি যেন একটা ডাকছে। উঁকি দিয়ে দেখি একটা কালো বিড়ালের বাচ্চা। মেও, মেও করছে। আমার মনে হলো গতরাত থেকে ওটা ওখানে বসে আছে।
কারণ সম্ভবতঃ গতরাতের বৃষ্টিতে আহত হয়ে এখানে এসে উঠেছে। আমি ওকে ধরার জন্য হাত ঢুকালাম, কিন্তু নাগালে পেলাম না। কিন্তু বিড়ালটা যদি ওখানে থাকে তবে হয়ত জায়গাটা নোংরা করবে। তাই চাইছিলাম, ওটাকে বের করে দিতে।
একটা লাঠি দিয়ে ওটাকে টেনে বের করে নিয়ে আসলাম।
আমার ছেলে বিষ্ময়ভরা দৃষ্টিতে দেখতে লাগলো। যেন একটা শিশু আরেকটা শিশুকে দেখছে। বিড়ালের বাচ্চাটা ভয় পেয়েছে। বাঁচার জন্য আকুতি করছে। ও ভাবছে আমি ওকে মারবো।
আস্তে আস্তে ঠেলে ঠেলে বের করে নিলাম বারান্দাতে, আরো একটু ঠেলে বের করে দিলাম দরজার বাহিরে রাস্তায়। কিছুক্ষণ রাস্তায় মেও মেও করে আবার সিড়ি দিয়ে উঠে আসলো বারান্দায়। দেখলাম ও যেতে চাইছে না। হয়ত আমার বাসাটা ও নিরাপদ আশ্রয় ভাবছে। ওকে আর বিরক্ত করলাম না।
আমার ছেলে ওটাকে ঘিরে বসে আছে। দেখছে কেমন করে ওটা হাত পা নাড়ছে। কিছুক্ষণ পরে একটা ছেলে এসে ওটাকে নিয়ে গেল। গতকাল রাতে নাকি ওদের বাসা থেকে ওটা হারিয়ে গেছে।
সব মানুষ পশুপাখির বাচ্চাগুলো সব একই রকম।
ওরা যে আসলেই নিঃপাপ তা ওদের চেহারা দেখেই বোঝা যায়। কেমন যেন একটা বোকা বোকা সুন্দর চেহারা। আপনারা একটু খেয়াল করুন, একটা কুকুরের বাচ্চা যখন ভ’মিষ্ট হয় তখন কেমন লাগে দেখতে? খুবই সুন্দর। বড়ই অদ্ভুত। সৃষ্টিকর্তা সব বাচ্চা গুলোকে এক রকম নিঃপাপ চেহারা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান।
আসলেই বড়ই অদ্ভুত নিয়ম। আমার দেখা মতে শুধু মানুষের বাচ্চা ছাড়াই সব কিছুর বাচ্চা জন্মের কিছুক্ষণ পরেই কিছুটা সাবলম্বী হয়ে উঠে। আর একটা মানব শিশু সাবলম্বী হতে কয়েক বছর সময় লাগে। একটা পশুর বাচ্চা জন্মের কিছুক্ষণ পরেই উঠে দাড়ায়। দৌড়াদৌড়ি করে।
খেতে পারে নিজে নিজে। তারপর মা কে ছেড়ে ঘুরে ঘুরে বেড়ায়।
সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীতে যার যতটুকু প্রয়োজন তাকে ঠিক ততটুকুই দিয়ে পাঠিয়েছেন। সত্যিই এ তাঁর এ খেলা বোঝা খুবই কঠিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।