আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোড টু ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড (প্রথম পর্ব) (বা মারামারি পর্ব)

© ২০০৬ - ২০১১ ত্রিভুজ

বিষয়টা নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নিয়ে কম বেশী সবাই পড়েছেন। সায়েন্সফিকশানগুলোতে নানা রকম কল্পনার ফানুস ওড়ানো হয়েছে। তবে ভার্চুয়াল জগৎ এখন আর নিছক কল্পনার বস্তু নয়। ওয়েবে সেকেন্ড লাইফের সফলতা প্রমাণ করে দেয় ভার্চুয়াল জগত আসলে কতটা জনপ্রিয় ও শক্তিশালী হতে পারে।

সেকেন্ড লাইফে যারা অংশগ্রহন করেছেন তারা জানেন ত্রিমাত্রিক ভার্চুয়াল জগতে কত কি করা সম্ভব। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি শুধুমাত্র ভিডিও গেমস বা বিনোদনের কাজেই ব্যবহৃত হচ্ছে না। আমেরিকান সেনাবাহিনী এটির পূর্ন ব্যবহার করছে তাদের সেনা সদস্যদের প্রশিক্ষনের কাজে। বিমান ওড়ানো, প্যারা ট্রুপি থেকে শুরু করে ট্যাংক কামান নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ করে বাস্তব যুদ্ধের কাছাকাছি অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা অর্জনে ভার্চুয়াল পরিবেশ কাজে লাগানো হচ্ছে। ছবির: ভার্চুয়াল জগতে প‌্যারাট্রুপিং (উইকিপিডিয়ার সৌজন্যে) ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নিয়ে বলতে গেলে অনেক কিছুই বলতে হয়।

তবে আপাতত সেই দিকে যাচ্ছি না। আমার মূল দৃষ্টি আপাতত ওয়েব জগতের ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রয়োগের দিকে। অনলাইনে যুক্ত হওয়া মানে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের যেকোন ব্যক্তির সাথে যুক্ত হওয়ার সুবিধাপ্রাপ্ত হওয়া। এই বিষয়টাকে কাজে লাগিয়েই অনলাইন নীর্ভর বিভিন্ন ভার্চুয়াল পরিবেশ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন অনেক গবেষক। সম্প্রতি গুগলও Lively নামে ভার্চুয়াল চ্যাটিং সার্ভিস চালু করেছে যেখানে একটি ভার্চুয়াল কক্ষ বা পরিবেশে আপনি বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।

সেখানে ইচ্ছেমত বস্তু দিয়ে সাজানো, বন্ধুদের সাথে মারামারি, নাচানাচি, আবেগের গ্রাফিক্যাল প্রকাশ ইত্যাদি সম্ভব। ছবি: আরো তিনজন ব্লগার... মারামারি করে ক্লান্ত... আরো কিছু মূহুর্ত...... অনেক গল্পগুজব, আড্ড ও মারামারি করে এখন সবাই বসে টিভি দেখছি। বাদিক থেকে- ব্লগার হনুলুলু, আমি (ত্রিভুজ), প্রলয় হাসান, তামিম ইরফান। রন্টি এবং আরো যারা এসেছিলেন, তারা চলে যাওয়ার পরের চিত্র এটা..! টিভিতে গান হচ্ছে... তাহসানের "আলো"... নাদিয়া নামের একজন খুব মনোযোগ দিয়ে গান শুনছে... গান পাল্টানোর রিকোয়েস্ট এসেছে.. বনজোভির ইটস মাই লাইফ প্লে হবে এখন... ব্লগার মুনিয়া টিভেতে গান দেখে নাচছে... গানের মাঝখানে এসে রন্টি বড়ই জ্বালাচ্ছে... তার মারপিট করার সখ.. ! আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে... বাঁদিক থেকে- প্রলয়, আমি, রন্টি, মুনিয়া.. আর সোফায় শুয়ে আছে কানিশ (আমরা যাকে কার্নিশ বলে ডাকি.. ) বাংলাদেশকে ওয়েষ্ট্রান করে ফেলার পরের একটি দৃশ্য.. টিভিতে মাইকেল জেকসনের নাচ হচ্ছে। কেউ কেউ নাচানাচি করছে.. কেউ কেউ মারামারি... পার্টি জমজমাট...! সামরিক প্রশিক্ষন, সেকেন্ড লাইফ, লাইভলি... এগুলো সবই হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বিভিন্ন প্রকার খন্ডচিত্র।

কিন্তু এই চিত্রগুলো যখন জোড়া লাগতে শুরু করবে তখন কি হতে পারে? আমরা কি ভবিষ্যতে নিজের রুমে বসে মাথায় ত্রিমাত্রিক হেলমেট লাগিয়ে ভার্চুয়াল দুনিয়াতে আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মগুলো সেরে ফেলতে শুরু করবো? কেমন হতে পারে সেই দুনিয়াটা? একটু কল্পনা করার চেষ্টা করলে কেমন হয়? ...(চলবে)... বি:দ্র: পোস্টের প্রথমে সংযুক্ত ছবিটি lively-তে তৈরি করা বাংলাদেশ রুমে সামহোয়্যারইনের তিনজন ব্লগারের আড্ডা দেয়ার চিত্র। চাইলে আপনারাও সবাই একসাথে ঢুকে নানা রকম মজা করতে পারেন। রুমটিকে নিজের মত সাজাতে পারেন। এটি সকলের জন্য উন্মক্ত! বাংলাদেশ রুমে যেভাবে যাবেন এবং যা করতে হবে: বাংলাদেশর রুমের যাওয়ার জন্য: এখানে ক্লিক করুন যদি আপনার পিসিতে কাজ না কারে, তাহলে http://www.lively.com এ গিয়ে ওদের সাপোর্ট টুলটা সেটাপ করে নিতে হবে। - অনেকেই কানেক্ট করে কি করতে হবে বুঝতে পারছেন না।

তারা নিজের গায়ে মাউসের বাম বাটন চেপে ধরে মুভ করুন। হাঁটতে পারবেন। - সোফা বা বিছনায় ডাবল ক্লিক করলেই বসা যাবে। - কারো গায়ে মাউস ক্লিক করলে মেনু পাবেন। ওখান থেকে এ্যাকশন ব্যবহার করতে হয়।

- মাউসের রাইট বাটন দিয়ে ভিউ পরিবর্তন করা যায়। চেপে ধরে মুভ করতে হবে। যাদের নেট একটু স্লো, তারা কানেক্ট দিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হবে। তারপরেও কাজ না হলে নিচের লিংকে ট্রাই করুন- http://trivuz.com/bangladesh.php --- কম্পিউটার গ্রুপে প্রকাশিত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।