মূল কৌশল পাওয়ার বাটনকে ঘিরে। রাস্তার গতিরোধক (স্পিড ব্রেকার) সেতু অথবা ফ্লাইওভারের ঢালুতে পরিকল্পিতভাবে স্থাপন করা থাকবে পাওয়ার বাটন। গাড়ি চলাচলের সময় চাকার চাপ পড়বে পাওয়ার বাটনে। পাওয়ার বাটন এ চাপ ব্যবহার করবে ফ্লাই হুইল ঘোরাতে। আর হুইলের সঙ্গে সংযুক্ত ডায়নামোর মাধ্যমে উত্পন্ন হবে বিদ্যুৎ।
গাড়ি চলাচলের ওপর নির্ভরশীল বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই কৌশলের নাম দেওয়া হয়েছে রোড হারমোনি পাওয়ার টেকনোলজি। বেশি গাড়ি চলাচল করে এমন রাস্তায় প্রতিটা ওয়ান ওয়ে-স্পিড ব্রেকার থেকে ৪০ কিলোওয়াট এবং টু ওয়ে হলে ৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন করা যাবে। সেতু অথবা ফ্লাইওভারে এই প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা নির্ভর করবে এর ঢালের দৈর্ঘযের ওপর। প্রতিটা পাওয়ার বাটনের সাইজ এক মিটার, একটি পাওয়ার বাটন থেকে সর্বোচ্চ ১০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। যদি কোনো সেতু অথবা ফ্লাইওভারে ১০০টি পাওয়ার বাটন বসানো সম্ভব হয় তবে সেখান থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে ১০০০ কিলোওয়াট বা এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
এভাবে পাওয়ার বাটন যত বেশি স্থাপন করা যাবে বিদ্যুৎ তত বেশি পাওয়া যাবে। বর্তমান বিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যত কেৌশল আছে তা থেকে এ কৌশল ভিন্ন, একবার স্থাপন করার পর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ছাড়া আর কোনো খরচ নেই।
রোড হারমোনি পাওয়ার টেকনোলজি ফুটপাত, ফুট ওভারব্রিজেও পরিকল্পিতভাবে স্থাপনের মাধ্যমে অনেক বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এখানে ফুটপাত এবং ফুট ওভারব্রিজে চলাচলরত মানুষের পায়ের চাপকে কাজে লাগানো হবে।
এইচএম ওয়াহিদুজ্জামান বাচ্চুর উদ্ভাবিত রোড হারমোনি পাওয়ার টেকনোলজি বিজ্ঞানসম্মত বলে মত দিয়েছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কযেকজন দেশীয় বিজ্ঞানীর তালিকা বিসিএসআইআরে পাঠানো হয়েছিল পর্যালোচনার জন্য। গত ৮ মে ২০১১ এসব বিজ্ঞানীকে নিয়ে বৈঠকের পর উদ্ভাবিত রোড হারমোনি প্রযুক্তিকে বিজ্ঞানসম্মত বলে মত দিয়েছে এবং এ প্রযুক্তি থেকে দৈনিক কি পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব তা দেখার জন্য কোনো শহরে পরীক্ষামূলক কেন্দ্র স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছে বিসিএসআইআর। ওয়াহিদ বলেন, সম্ভাবনাময় অনেক প্রযুক্তি তার রয়েছে। উপযুক্ত উদ্যোক্তা পেলে প্রযুক্তিতে সহযোগিতা করব।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।