১০৬) স্বাতীর ভাবনায়
আকাশের বুকে তারাগুলোকে
কালো চাদরে স্বর্ণালী কারুকাজের মত
শোভিত লাগছিল।
স্বাতীকে মনে পড়ছিলো যুবকের।
হাইওয়ের গতিশীলতায়
ঝিমিয়ে থাকা সময়।
পথের ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে থাকে মেয়েরা।
শুধু ষ্টিয়ারিং এ হাত রাখা যুবক
সামনে তাকায়।
পার্থ গায়,"সারাদিন তোমায় ভেবে হলোনা
আমার কোন কাজ।
হলোনা তোমাকে পাওয়া
দিন যে বৃথাই গেলো আজ। "
পাশে বসে থাকা নারী
ড্যাশবোর্ডের উপর পা উঠিয়ে
নাচায় আর আকাশ দেখে।
যুবকের তৃষ্ণার্ত চোখে তখন স্বাতী ভাসে।
একটা খালি মাঠে থামে ওরা।
গাড়ীর গায়ে হেলান দিয়ে যুবক আকাশ দেখে।
আর সেই নারী যার নাম নীলা
বুকের খুব কাছে এসে ম্যাজিশিয়ান এর মত বলে,
"স্বাতীকে মনে পড়ছে?"
যুবকের ঝাপসা চোখে বৃষ্টি নামে।
অনেক বছর আগে
যুবকের জীবনের প্রথম নারী
নায়লা শায়লার মা.....স্বাতী
হারিয়ে গেছে এক ঝড় বাদলের রাতে।
ভীষন এক এ্যাক্সিডেন্টে।
যুবক এবং নীলা
দুজনে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে।
ওরা বিশ্বাস করে স্বাতী আকাশ থেকে
ওদের দেখে।
অবাক হয় যুবক নিজে।
এই এক জীবনের কত স্মৃতি যে থাকে।
এই এক জীবনে কত জীবন যে থাকে।
কাছের নারীটি ভাবে
একবার শুধু একবার
যদি ও স্বাতী নক্ষত্রকে ছুঁতে পারতো
তাহলে ও স্বাতী হয়ে যেতো!
চোখ বন্ধ করে যুবক স্বাতীকে ছুঁতে চায়।
চোখ বন্ধ করে নারী স্বাতীকে ছুঁতে চায়।
আর স্বাতী তখন
নায়লা শায়লা কে আলোয় ভরিয়ে দেয়
জ্যোছনা হয়ে।
ছোট্ট মেয়ে দু'টো জ্যোছনায় ভেসে বেড়ায়।
এক স্বপ্ন থেকে অন্য স্বপ্নে ভাসে।
এভাবেই পৃথিবীতে একটা রাত কাটে।
কারো কারো প্রত্যাশা এবং কারো কারো প্রাপ্তিতে।
কবিতায় গানটির লিন্ক:
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।