যখনই তোমাকে মিস করি আকাশ থেকে খসে পরে একটি করে তারা ♥ এমন কোন জ্যোৎস্না রাতে যদি আকাশে তাকিয়ে দেখ একলা চাঁদ বসে কাদছে, কোন তারা নেই তারসঙ্গে... তবে মনে রেখ দোষ তোমারই... আমাকে একা করে দিয়ে তোমাকে এত মিস করার সুযোগ দিয়েছ, আর এখন চাঁদ টিকে একা করে দিলে
দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ২৮ ও ২৭ মে দুপুরের জোয়ারে সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্মরণকালের ভয়াবহ ভাঙন এবং জলোচ্ছ্বাসের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙনে ২১টি বসতবাড়ি সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। তাছাড়া সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাজারে ও জলোচ্ছ্বাসে ৬টি দোকান বিধ্বস্ত হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের চতুর্দিকে ভাঙন ধরলেও মারাত্মক ভাঙন ধরেছে উত্তর ও পশ্চিম অংশে বিশেষত কবরস্থানের বেশিভাগই ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।
অনেক কবরে মৃতদেহ উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। পুলিশ ফাঁড়ির বাউন্ডারি বিধ্বস্ত হয়েছে। তাছাড়া ৬ জন মাঝি-মাল্লাসহ একটি ফিশিং ট্রলার সাগরে ডুবে গেছে। মাঝিমাল্লারা সাঁতরে তীরে ফিরলেও ফিশিং ট্রলারটি সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সেন্টমার্টিন ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আবদুর রহমান মেম্বার আলহাজ নুর আহমদ ওই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপের ইতিহাসে এত অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের ভয়াবহ ভাঙন এবং জলোচ্ছ্বাস এর আগে আর হয়নি।
এমনকি ইতিহাসবিখ্যাত একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। সেন্টমার্টিন দ্বীপের পুলিশ ফাঁড়ির আইসি হারুনুর রশিদ ভাঙন ও জলোচ্ছ্বাসের সত্যতা স্বীকার করেছেন। প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুর রহমান ও সাবেক মেম্বর আলহাজ নুর আহমদ জানান, ২৮ মে দুপুরে জোয়ারের পানি ৮ থেকে ১০ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। সাগরের ঢেউ জনবসতিতে এসে পড়ে। এতে দ্বীপের চতুর্দিকে ভাঙন ধরে।
এতে উত্তরপাড়ার আবদুস সালামের ছেলে হাফেজ আহম্মদ, ফজল আহমদের ছেলে শামসুল আলম, ফজল আহমদের ছেলে রবিউল আলম, ফয়জুর রহমানের ছেলে ছদু মিয়া, সিরাজুল ইসলামের ছেলে শামসুল আলম, আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মো. ছিদ্দিক, নজির আহমদের মেয়ে ফাতেমা খাতুন, হাবিবুর রহমানের ছেলে আবদুল কুদ্দুস, নজির আহমদের মেয়ে মরিয়ম খাতুন, কবির আহমদের ছেলে সাবের এবং মছিউল্লাহ, ছৈয়দ উল্লাহ, আমিন উল্লাহ, মছিউল্লাহ, ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণপাড়া দুদু মিয়ার ছেলে ফজল আহমদ এবং ডেইলপাড়ার আমিন উল্লাহ, শামসুল আলম, মো. রফিক, ফিরুজা বেগমের বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে বসতভিটা সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। জলোচ্ছ্বাসে সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাজারের মো. আমিন, মনির উল্লাহ, আলী আহমদ, হাবিব উল্লাহসহ ৬টি দোকান বিধ্বস্ত হয়েছে। তারা আরও জানান, দ্বীপের উত্তর ও পশ্চিম অংশে অর্ধকিলোমিটার, শীলবনিয়াপাড়া থেকে দক্ষিণপাড়া মসজিদ পর্যন্ত, নেভী গেট থেকে জাদিবিল কবির মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত, হোটেল সীমানা পেরিয়ে থেকে গলাচিপা পর্যন্ত ভাঙন দেখা দিয়েছে। এদিকে শাহ পরির দ্বীপ থেকে প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল মেম্বার জানান, ২ দিন ধরে শাহ পরির দ্বীপের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।