একদিন-প্রতিদিন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুর গ্রাম থেকে আবিস্কৃত হয়েছে বাংলার ঐশ্বর্যময় অতীতের নান্দনিক নিদর্শন একটি বিশালাকৃতির বিষ্ণুমূর্তি। বলা হচ্ছে এটি এ অঞ্চলের যাবৎকালের আবিস্কৃত সর্ববৃহৎ বিষ্ণুমূর্তি। গত ১৭ জুন এশিয়াটিক সোসাইটি মিলনায়তনে এই বিষ্ণুমূর্তি-কে নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনী ও আলোচনায় প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা আবিস্কৃত এই নিদর্শনটিকে হাজার থেকে বার শ’ বছরের পুরনো হবে বলে অভিমত দিয়েছেন।
আবিস্কৃত বিষ্ণুমূর্তিটি উচ্চতায় পাঁচ ফুট ও প্রস্তে দুই ফুট ছয় ইঞ্জি। ওজন ২৬২ কেজি।
এটি আবিস্কৃত হয়েছে গত ১৪ জুন। সুলতানপুর গ্রামের মঙ্গল মেম্বারের বাড়ির পুকুর পার ভেঙ্গে পড়ার পর প্রায় পাঁচ মিটার নিচ থেকে এটি আবিস্কৃত হয়েছে। মঙ্গল মেম্বারর নিজে উদ্যোগী হয়ে এটি পুলিশ হেফাজতে হন্তান্তর করেছেন। বর্তমানে তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের দপ্তরে রয়েছে।
আবিস্কৃত বিষ্ণু মূর্তিটির চার পাশে নান্দনিক কারুকার্য রয়েছে।
হাতির উপর রমণী, সিংহের উপর প্রণতিরত রমণী, বীণা হাতে পুরুষ ইত্যাদি চিত্র রয়েছে। যে গ্রাম থেকে মূর্তিটি আবিস্কৃত হয়েছে তার নাম বর্তমান সুলতানপুর হলেও আগে সেটি হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম ছিল এবং এখানে ব্রাহ্মণ্যবাদের চর্চা হতো বলে জানা গেছে।
পুলিশ আবিস্কৃত মূর্তিটিকে মূল্যবান কষ্টিপাথরের মূর্তি হিসেবে চিহ্নিত করে এটির বাজার মূল্য আড়াই শ’ কোটি টাকা হবে বলে নির্ধারণ করেছে।
(গতকাল মধ্যরাতে এটি পোস্ট করেছিলাম। আরো অনেকের জানার জন্য সংক্ষিপ্তভঅবে আবার পোস্ট করলাম।
আগ্রহী হলে/বিস্তারিত জানাতে হলে আমার গতকালের পোস্টটি পড়ে নিতে পারেন। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।